পরাজিত হতে হতে আমি উঠে দাড়িয়েছি এবার ফিরে যাবো না খালি হাতে, স্তব্ধতা আর সৌন্দর্যের পায়ে পায়ে এগিয়ে যাই যে কবি সে কখনো খালি হাতে ফিরে যেতে পারে না ।
২১ তারিখ বিকাল ৪ টায় নজরুল মোবাইলে জানাল সন্ধায় আমার বই আসছে । সন্ধায় বইয়ের মোড়্ক উন্মোচন হবে। সপরিবারে যাত্রা শুরু করলাম । মেলায় বিরাট ভীড় ঠেলে শুদ্ধস্বরে পৌছে দেখি এলাহী ব্যাপার , ব্লগার মেলা বসেছে ।
আহমেদুর রশীদ ভাই আমাকে ডাকলেন আর পরিচয় করিয়ে দিলেন মাসুদা আপার (মাসুদা ভাট্টি ) সাথে । তার ’স্বাতীর উঠোন’ ইতিমধ্যে কেনা হয়েছে । সামনাসামনি শ্রদ্ধেয় লেখককে পেয়ে কে হাতছাড়া করে অটোগ্রাফের সুযোগ । তিনি বইটি নিয়ে লিখলেন ’ মুক্তির জন্য উদ্বেলিত সৈনিককে মাসুদা ভাট্টি '। আমার পক্ষে এই সম্মানের প্রতিক্রিয়া জানানো সম্ভব না ।
আমার বই আসছে । এদিকে বেলা যে পড়ে গেল । মাহবুব লীলেন প্রসঙ্গক্রমে মুস্তাফিজ ভাইকে শুনালেন রানারের গল্প । এদিকে নজরুল টুটুল ভাইকে তাড়া দিচ্ছে সাতটা তো বেজে গেল , টুটুল ভাই বললেন আর ১০ মিনিট । সিদ্ধান্ত হল আমার বই আসার পরই অনুষ্ঠান হবে কিন্তু আগে নজরুল মঞ্চের দখল নিতে এক দল ব্লগার মার্চ অন করুক ।
টুটুল ভাই বললেন মানিক ভাই দোয়েল চত্বরে তার সহকারী বই নিয়ে পৌছেছে চলুন আমরা এগিয়ে গিয়ে বইগুলি আনি । যেই কথা সেই কাজ । আমি আর টুটল ভাই দিলাম দৌড় । আমার মত একজন লেখকের বইয়ের জন্য স্বয়ং প্রকাশক দৌড়িয়ে যাচ্ছেন নিজ হাতে বই আনতে এটা কি নিছক প্রকাশনা ব্যবসা , শুদ্ধ প্রকাশনা শিল্পের ব্রত , নাকি ভালবাসা ? এত ভালবাসার যোগ্য আমি নই ।
কিন্তু ব্লগারবৃন্দ এই অযোগ্য , অধম লেখক কে ভালবাসা জানাতে জড় হয়েছে নজরুল মঞ্চে ।
শেখ জলিল ভাই যথার্থই বলেছিলেন 'ভালবাসা দেখা যায়' ।
আমিও দেখলাম ব্লগারদের ভালবাসা , মৃদুলের চমৎকার উপস্থাপনা , গুরু লীলেনের অমৃতকথন । আমার বইটির মোড়ক উন্মোচন করলেন মাহবুব লীলেন আর সে সাথে আমার সম্পর্কে অনেক প্রশংসামুলুক কথা বললেন , এগুলি ভালবাসা নয়তো কি ?
আনন্দে আমার কান্না এসে গিয়েছিল , জানিনা তা’ ক্যামেরাবন্দী হয়েছে কিনা ?
মৃদুল ভাইয়ের আহ্বানে আমি একটাই কথা বলেছি মোড়ক উন্মোচনে , এখানেই বলছি -
এই গ্রন্থের নাম দেয়া হয়েছে ’স্বাধীনতা যুদ্ধের অপর নায়কেরা’ । আমাদের জাতীয় ইতিহাস চর্চায় , মিডিয়ায় , সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে তারা উপেক্ষিত অনালোচিত তাই আমরা অপর শব্দটি ব্যবহার করেছি । আমি চাই না আগামী সংস্করনে অপর শব্দটি থাকুক ।
এই কাজটি একা সম্ভব নয় , আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ইতিহাসের সেই সব মহান নায়কদের ন্যায্য সম্মান ও স্থান দিতে ’।
অনুস্ঠান শেষে আমরা ফিরলাম আবার শুদ্ধস্বর স্টলে , রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত চলল জম্পেস আড্ডা ।
সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।