[ অনেক বছর আগে আমাদের গ্রামের মাথার ওপরের বিকেলের আকাশে অনেক অনেক উঁচুতে দু'টো সাদা ধোঁয়ার রেখা টানতে টানতে চলে যাওয়া একটা পাখি দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সুনীল আকাশটার এক মাথা থেকে অন্য মাথায় পাখিটা যেন সাদা রঙ দিয়ে একটা রাস্তা এঁকে চলে যাচ্ছে দূরের কোন গ্রামে। অমন পাখি আমি দেখিনি কোথাও! দাদাকে ওটা দেখালে সে বলেছিল, " ওটা পাখি নয় রে বোকা, রকেট, রকেট। আর রকেট কাশতে কাশতে যায় বলে ঐ ধোঁয়ার রেখাটা দেখতে পাচ্ছিস। " আমি কি রকেট কী জানি? জিজ্ঞেস করাতে দাদা একটু তাচ্ছিল্যের সুরে বলেছিল, " এটাও জানিস না, রকেট হল বড় একটা গাড়ি, আকাশে চলে, রকেটে করে পৃথিবী থেকে আকাশের ওপারে চলে যায় বিদেশী মানুষেরা।
" আমার দাদার উপর খুব হিংসে হত, সে পটিয়ায় স্কুলে যায়, বাবা তাকে শহর থেকে কত বই এনে দেয়, রাতে আমরা যখন ঘুমোই তখন সে মা'র সাথে বসে বসে টিভি দেখে। আমি সেই রকেটের ফেলে যাওয়া ধোঁয়ার রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মনে মনে বলছিলাম, " ইশ, একদিন যদি রকেটে চড়ে আমাদের গ্রাম থেকে আলামপুর কিংবা রতনপুরের দিকে চলে যেতে পারতাম। " আমি এরপর প্রায় বিকেলেই আকাশে চোখ মেলে তাকিয়ে থাকতাম, প্রতিদিনই রকেট যেত মাঠের ওপর দিয়ে, সাদা ধোঁয়ার রাস্তাটা একটা সময় ফুলে ফেঁপে বিশ্রী হয়ে গিয়ে আকাশে বিলীন হয়ে যেতো। ' আকাশের ঐপারে কী? ' ' ঐ পাহাড়গুলোর পরই কি সমুদ্রের শুরু?' এরকম কৌতুহলগুলোর মনে এভাবে রকেটের ধোঁয়ার মত দাগ আঁকার সেই শুরু, শুধু ওরা ফুলে ফেঁপে বিশ্রী হয়ে মুছে গেল না আজও। ]
নিউ ইয়র্কের ওপর যখন বিমান একটু একটু করে নামছে তখন মেঘের আড়াল দিয়ে দেখতে পেলাম লুডোর মত একটা শহরের আদল।
মনে হল নিউ ইয়র্ক একটা জোনাকির বাগান। রাতে এরকম আকাশ থেকে শহর দেখার অদ্ভুত মজা। পাশের সিটে ধুমসে ঘুমাতে থাকা এন্ড্রু হঠাৎ জেগে উঠে হাই তুলতে তুলতে বলল, ' ওয়েলকাম টু আমেরিকা। ' আমি ওকে বললাম, ' ইনক্রেডিবল। '
জে এফ কে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে গিয়ে যখন লাইনে দাঁড়ালাম তখন আমার শাহরুখ খানের কথা মনে পড়ল হঠাৎ।
হোম সেক্যুরিটি কি আমাকেও আলাদা একটা রুমে ডেকে নিয়ে যাবে? আশে পাশে প্রচুর রাবাই দেখলাম, মনে হল তারা জেরুজালেম থেকে তীর্থ করে আসছে। দেয়ালে দেখলাম মোজাইক পেইন্টিং। এন্ড্রু কোনদিকে উধাও হয়ে গেছে। অবশ্য তার আগে ওর মোবাইল থেকে ফোন করে আমি দাদাকে জানিয়ে দিয়েছি আমার এসে পৌঁছার কথা। বেচারা অপেক্ষা করতে করতে মনে হয় আমার আশাই ছেড়ে দিয়েছিল।
ইমিগ্রেশন পুলিশ ডাক দিলে একটু নার্ভাস হয়ে কাঁচের ছোট্ট কু'টার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। মনে মনে অনেক উত্তর তৈরী করা আছে। এটা জিজ্ঞেস করলে এভাবে বলব, ওটা করলে ওভাবে। অফিসার বলল, ' স্যার, এই যন্ত্রে ডান হাতের আঙুল চেপে ধরুন। এবার বাম হাতেরগুলো।
ব্যস। থ্যাংক্স। ওয়েলকাম টু আমেরিকা। এনজয় ইউর ভ্যাকেশান। ' আমার উত্তরগুলো সব এলোমেলো হয়ে গেল।
আরে!
জে এফ কে'র বাইরে এসে বুক ভরে নিলাম নিউ ইয়র্ক শহরের বাতাস। তখন একটা অদ্ভুত ভাল লাগা বোধে আচ্ছন্ন আমি। আরও একটা মহাদেশে পা পড়ল আমার। দু'ঘন্টা ড্রাইভ দূরত্বে থাকা শহর ' আটলান্টিক সিটি ' যাব আমরা। জে এফ কে মূল শহরের অনেক বাইরে, তাই আমার রাতের নিউ ইয়র্ক দেখা হল না।
হাই ওয়েতে যখন গাড়ি গিয়ে উঠল তখন মধ্যরাত পেরিয়ে গেছে। সারাটা পথ আমার মনে হল বনের ভেতর দিয়ে চলেছি আমরা। কিছুদূর পরপর দেখি বনের ভেতর হরিণের চোখ জ্বলছে। এই হরিণ যাতে গাড়ী চাপা না পড়ে সেজন্য কয়েক মাইল পরপরই সাবধানবাণী লেখা সাইনবোর্ড চোখে পড়ে। চওড়া হাইওয়ে জুড়ে ছয়-সাতটা লেন।
মাঝে মাঝে পড়ে টোল দেবার গেট। দীর্ঘ বিমানযাত্রার ধকলে আমার চোখটা যখন লেগে আসে ঠিক তখনই ঘুমটার বারোটা বাজিয়ে একটু পরপর জিপিএস এর নারী কণ্ঠের নির্দেশনা ভেসে আসে। হঠাৎ শুনলে মনে হয়, মহিলা গাড়ির ভেতরেই কোথাও বসে আছে। আটলান্টিক সিটি এসে যখন পৌঁছালাম শহরের ক্যাসিনোগুলোয় তখনও আলো ঝলমল করছে। আমি ঘুমের ঘোরেই বললাম, ' অপূর্ব! '
আমেরিকায় সব মিলিয়ে ছিলাম দেড় মাস।
তার সিংহভাগই কাটিয়েছি এই শহরটায়। নিরিবিলি, ছোট্ট একটা শহর। একপ্রান্তে আটলান্টিকের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল বিশাল সব ক্যাসিনো, দোকানপাট, হোটেল। অন্যপ্রান্তে ব্লকে ব্লকে সাজানো শান্ত, নিরিবিলি সব আবাসিক এলাকা। একটা খাঁড়ি সাগর থেকে বের হয়ে শহরটার ভেতর দিয়ে বয়ে চলেছে।
গ্রীষ্মের ঊজ্জ্বল দিনগুলোতে লোকজন তার উপর বোটে চড়ে বেড়ায়, ছিপ ফেলে মাছ ধরে। ছোটছোট কাঠের সব ডুপ্লেক্স বাড়ি।
প্রায় সব বাড়ির সামনে একটুকরো ছোট্ট আঙিনা, বাগান। সেই বাগান ছাপিয়ে ফুটপাথের উপর ছাতার মত ডালপালা বাড়িয়ে দেয় ম্যাপল, সাইকামোর ইত্যাদি সব গাছ। এ শহরের প্রাণ তার ক্যাসিনোগুলো।
সে ক্যাসিনোগুলোয় জুয়া খেলতে সারা আমেরিকা থেকে মানুষ আসে। পুরোটা গ্রীষ্মকাল শহরটা সরগরম থাকে জুয়াড়িদের কল্যাণে।
এখানের মানুষগুলোর জীবনটাও তাই জড়িয়ে গেছে এই ক্যাসিনোগুলোর সাথে। শহরের অধিবাসীদের অধিকাংশই বিচিত্র সব কাজ করে ক্যাসিনোগুলোতে। এক লাস ভেগাস ছাড়া পুরো আমেরিকায় আর কোথাও একসাথে এত ক্যাসিনো নেই, তাছাড়া নিউ ইয়র্কের খুব কাছে হওয়ায় সারা বছরই এখানে মানুষের আনাগোনা লেগে থাকে।
আমার চৌদ্দ মাস বয়সী ভাতৃষ্পুত্রী সুনন্দিনিকে নিয়েই কেটে যেত প্রায় সারা দিন আমার। আমার ভাইটি সারা রাত কাজ করে ভোরে যখন বাড়ি ফেরে তার কিছু আগেই কাজে বেরিয়ে যায় আমার বৌদি। সারা দিন স্বামী-স্ত্রীতে দেখা বিকেলে কয়েক ঘন্টা। ছোট্ট সুনন্দিনির ব্লা-ব্লু-অব্লু-অব্লা শোনার মানুষ কই? অথচ কত কথা তার! সেসব কথা বড়রা বুঝতে পারে না, পারে শুধু আশে পাশের বাড়িগুলোর ভুলোগুলো। সুনন্দিনি তাই কেঁদে উঠলে আশে পাশে থেকে ওরা সব চিৎকার দিয়ে উঠত একসাথে, অমনি তার সব কান্না উধাও, ছোট্ট মাথাটা ঝাঁকুনি দিয়ে সেও ডেকে উঠে, '' হুফ, হুফ।
'' আমার দাদা-বৌদির মত শহরের আরও অনেক দম্পতিরই সারা দিনে দেখা হয় মাত্র কিছুটা সময়ের জন্য। এটা একটা বাস্তবতা। কাজ, কাজ আর কাজ।
শহরের অধিবাসীদের বিরাট একটা অংশ হিস্পানিক। হিস্পানিকদের প্রায় প্রতিটি ঘরের মুখে ঝুলতে দেখি একটা সূর্য্যের রেপ্লিকা।
কেন জানি না। এরা আমুদে খুব। রকে বসে বসে আড্ডা মারে, সিগার ফুঁকে। ছুটির দিনে সন্ধ্যায় বাড়ির বাগানে ইয়ার-বক্সী নিয়ে টার্কির মাংস ঝলসিয়ে খায় আর নীচু ভলিউমে পুরোনো দিনের গান ছেড়ে দিয়ে হুল্লোড় করে। আর আছে বাঙালি, অনেক বাঙালি।
সিলেটের, চট্টগ্রামের। যেকোন ব্লকে হাঁটতে গেলে বাঙালির বাড়ি চেনাটা খুব সোজা। বাড়ির আঙিনায় ফুটে আছে শিমের বেগুনি ফুল, ঘাসের উপর নিশ্চিন্তে রোদ পোহায় মিষ্টি কুমড়া, আর দড়ির উপর অলস শান্ত শুয়ে আছে গৃহলক্ষীর ভালবাসার শাড়ি। বাঙালি এ শহরে এসেও তার সর্বস্ব খুইয়ে ফেলেনি। ফলে অবধারিতভাবে আছে অনেক সমিতি, গোষ্ঠী, দল।
দেখলাম হিন্দু বাঙালি এখানে এসে সর্বান্তকরণে চায় আরও বেশী করে হিন্দু হতে, মুসলিম বাঙালি চায় আরও বেটার মুসলিম হতে।
কোন কোনদিন বিকেলে ক্যাসিনোগুলোর দিকে হাঁটতে হাঁটতে চলে যেতাম। সৈকতের উপর কাঠের দীর্ঘ পথ। এরা ডাকে ' বোর্ড-ওয়াক ' নামে। আটলান্টিক সিটির এই বোর্ড ওয়াক আমেরিকার দীর্ঘতম।
অনেক রাত পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ বোর্ড-ওয়াক জুড়ে হাঁটে। একপাশে থাকে স্যুভনির শপগুলো, রেস্তোরাঁগুলো থেকে সারাটা বিকেল আর সন্ধ্যায় পিজ্জ্বার সুগন্ধ বেরিয়ে এসে বোর্ড-ওয়াকের মানুষগুলোকে অস্থির করে দেয়।
শনিবার রাতে বোর্ড ওয়াক- এর সাথে লাগানো কনভেনশান হলের উপর আলো ফেলে দারুণ একটা এনিমেশান দেখায়। আমি একদিন দেখে তো অবাক, মুগ্ধ। এখানেই একটা শপিং মলের ভেতর চলে ওয়াটার শো, ' দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ ' না হলেও দেখার মত ব্যাপার বটে।
একদিন ট্রপিকানা নামের এক ক্যাসিনোয় যাদুর অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ মিলে গেল।
বিশাল হলরুম, অনেকটা সিনেমা হলের মত। বিচিত্র পোশাকের বর্ণিল ব্যালেরিনারা যাদুর ফাঁকে ফাঁকে নাচ দেখিয়ে চলে।
অনুষ্ঠান শেষে লবিতে আবার এরা দর্শকদের সাথে দাঁড়িয়ে ছবি তোলে। আমার এই সুযোগে রথ দেখাও হল, কলা বেচাও।
ক্যাসিনোগুলোর ভেতরে না ঢুকলে বাইরে থেকে বোঝাই যাবে না এগুলো কতটা বিশাল হতে পারে। শত শত জ্যাকপট মেশিন।
বুড়ো-বুড়িরা বাটন টিপে টিপে জুয়া খেলে, মুহুর্তেই পকেট খালি হয়ে যায়, কেউ কেউ বাজিমাত করলে হাততালি দিয়ে ওঠে, খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়ে। বিভিন্ন ধরনের খেলা। রুলেত।
তাস। আর আছে বার। বিনি পয়সায় এখানে বিয়ার খাওয়া যায়।
মাঝে মাঝে উপরের তলার বাবুল ভাইয়ের সাথে খাঁড়িতে মাছ ধরতে যেতাম। বাবুল ভাই একবার জাল মেরে অনেক মাছ তুলে আনত, ছিপ ফেলে সারাদিন বসে থাকা বুড়োগুলোর দিকে তাকিয়ে তখন আমরা হোহো করে হাসতাম।
শহর থেকে একটু দূরে একটা পাখিদের অভয়ারণ্য আছে।
শহর আর তার মাঝখানে খাঁড়িটা শুয়ে থাকে। একদিন সেখানে গেলাম সবাই মিলে। একরের পর একর জুড়ে এই অভয়ারণ্য। সাদা মাটির একটা পথ, তার দু'পাশে ঝিলে মাঝে মাঝে পাখির দল দেখা যায়।
ঝিলের ঐপারে শহরের বড় বড় ক্যাসিনোগুলোকে আবছা দেখা যায়, হঠাৎ ভ্রমে মনে হয় যেন কতগুলো দানব দাঁড়িয়ে আছে নদীর ঐপারে।
বাঙালিরা চাঁদা তুলে দেশ থেকে শিল্পী নিয়ে আসে বাংলাদেশ মেলায়। প্রথম প্রজন্মের এইসব বাঙালির শুধু শরীরটা পড়ে থাকে আটলান্টিক সিটিতে। তারা চেনে না পাশের বাড়ির হিস্পানিকের নাম-ধাম। গ্রোসারিতে গিয়ে তারা কেনে ভাত-মাছ-ডাল-চানাচুর।
এক যুগ আমেরিকায় থেকেও তাদের মুখের ভাষা বদলায় না এতটুকু। যাদু টিভিতে তারা প্রতি সন্ধ্যায় দেখে দেশের খবর। নাটক। কিন্তু দ্বিতীয় প্রজন্মের মানুষগুলো? জিবরান বলেছিল, ' আমাদের সন্তানগুলো আমাদের নয় ', আমেরিকায় প্রথম প্রজন্মের বাঙালি পিতামাতা জানেন, তাঁদের সন্তানগুলো আমেরিকার। আমি এদের খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতাম।
তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলে ইংরেজীতে। চালচলনে অনুকরন করে কালোদের। আর বাবা-মা'র সাথে ইচ্ছের বিরুদ্ধে যায় বাংলাদেশ মেলায় সেই সব শিল্পীর গান শুনতে জীবনে কখনও যাদের নামও তারা শোনে নি। রবীন্দ্রনাথ কে? প্রথম দিকে আমার এক ধরনের দুঃখ হত এদের কথা ভেবে, আজ থেকে বিশ বছর পরও কি আটলান্টিক সিটিতে বাংলাদেশ মেলার আয়োজন হবে, কারা করবে? এইসব কিশোর-কিশোরীরা যারা বাংলা পড়তে পারে না, ভাল বলতে পারে না? বিশ বছর পরের বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীদের এদের ক'জন চিনবে, চেনার আদৌ কোন প্রয়োজন অনুভব করবে কি এদের কেউ? পরে পরে মনে হয়েছিল, আসলে এরা তো আমেরিকার সন্তান, আমেরিকাই ওদের দেশ, এখানেই প্রোথিত থাকবে ওদের শেকড়, দশ হাজার মাইল দূরের পিতা-মাতার দেশ তো তাদের হাতছানি দিয়ে ডাকেনি কখনও, সে দেশটির ধূলো-মাটির সাথে তাদের তো কোন যোগ তৈরী হয়নি কোনদিন।
এ বছরের মিস আমেরিকা প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হল শহরটিতে।
একটা ইভেন্টে বোর্ড-ওয়াকের উপর দিয়ে সুন্দরীদের গাড়ির বহর মার্চ করে করে চলছে আর হাজার হাজার মানুষ তাদের অভিনন্দিত করছে।
প্রতি উত্তরে সুন্দরীরা কী করছে জানেন? তারা সবাইকে পা উঁচিয়ে জুতো দেখাচ্ছে, কারণ এই ইভেন্টটার মূল বাণী ছিল, " শো ইউর শু "।
একটা চুপচাপ শহর। কোনদিন যদি ক্যাসিনোগুলোয় মানুষ আর জুয়া খেলতে আসবে না বলে পণ করে তবে শহরটাই বোধ হয় ম্যাপ থেকে উধাও হয়ে যাবে। [ ক্রমশঃ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।