রাজধানীর নিউমার্কেট ও তেজগাঁও এলাকায় গতকাল জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, রাস্তা অবরোধ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ সময় টিয়ার শেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। জামায়াত-শিবিরের মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে এ সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ১৩ জনকে আটক করেছে। ঘঁনার পর জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আন্দোলন ঠেকাতে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার শুরু করেছে পুলিশ। জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জামায়াত-শিবিরের শতাধিক নেতা-কর্মী এলিফেন্ট রোডের বাটা সিগন্যাল মোড় থেকে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সে সময় জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ার শেল ছোড়ে। এক পর্যায়ে তারা একটি কাভার্ড ভ্যানসহ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। সে সময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময়ে ১২/১৫ জন হাতিরপুল বাজার এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মারুফ হাসান জানান, নিউ মার্কেট এলাকায় জামায়াত-শিবির একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। এ সময় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ও শর্টগানের গুলি ছোড়া হয়। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার জানান, সকাল ৯টার দিকে জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীরা বনানী মুক্তিযোদ্ধা গলি থেকে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। পরে বনানী থানা পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে তারা দিকবিদিক ছুটতে থাকে। এক পর্যায়ে জামায়াত-শিবিরের কিছু নেতা-কর্মী তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকায় ঢুকে পড়ে। ওই সময়ে গার্মেন্ট কর্মীদের সঙ্গে তারা মিশে যায়। সেখান থেকে সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, রাজধানীতে বড় ধরনের কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। পৃথকভাবে জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীরা কয়েকটি স্থানে ঝটিকা মিছিল বের করার চেষ্টা করে। পুলিশি তৎপরতায় তারা ব্যর্থ হয়।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করছে। আর এর বিরুদ্ধে যেন আন্দোলন না করতে পারে সেজন্য জামায়াত নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। গতকাল এক বিবৃতিতে রফিকুল ইসলাম এ অভিযোগ করেন। উল্লেখ্য, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে সাজাপ্রাপ্ত জামায়াত নেতাদের নাম জাতীয় ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সারা দেশে গতকাল জামায়াত বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।