চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা নাস্তিকেরা যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই মানবাধিকের চরমতম লংঘন ঘটেছে তাদের হাতে। মানুষ মরেছে অকাতরে। এরা যখন একসময় অর্ধেক পৃথিবী শাসন করত, তখন পৃথিবীতে চলছিল ঠান্ডা যুদ্ধ। দেশে দেশে তারা স্বৈরশাসনে ভূলন্ঠিত করেছিল মানবাধিকার।
আবার যখন ক্ষমতার বাইরে থাকে, তখন হয়ে যায় মানবদরদী, মুক্তচিন্তার ধারক বাহক।
শুনা যায় সংখালঘুরা সবসময় বেশ চালাক হয়ে থাকে। ইহুদি আর নাস্তিকদের এই ক্ষেত্রে একই কাতারে ফেলা যায়।
তাই আস্তিক লাদেনকে তারা বানিয়ে ফেলে ধর্মকে পর্যুদস্তু করার হাতিয়ার হিসাবে, ঠাট্টা মস্করার একটি চমতকার উপাদান এখন লাদেন।
কিন্তু আবার নাস্তিক চে গুভেয়ারকে তারা বানিয়ে তুলে তারা পৃথিবীর একজন প্রধান ত্রাতা রূপে।
কিন্তু মজার ব্যপার মানবাধিকার লংঘনে দুজনরেই কোন জুরি নেই।
দুজনের হাতেই হাজার হাজার নিরাপরাধ মানুষকে মরতে হয়েছে।
দুজনেই লড়াই করেছে পূজিবাদী আর সামাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্বে।
স্পস্টভাবে বললে দুজনেরই লড়াই করার পন্হাটি হালাল ছিল না।
আজ আমি একজন মহান নাস্তিক শাসকের কাহিনী বলব যার নাম Plutarco Elías Calles। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ছিলেন ১৯২৪ থেকে ১৯২৮ সাল পর্যন্ত।
এরপরও মেক্সিকোকে শাসন করেছেন আরও কয়বছর। দেশের আসল ক্ষমতাটি তার হাতেই ছিল।
ক্ষমতায় এসেই পৃথিবীর সব সমস্যার কারন ধর্মকে উতখাত অভিযানে নেমে পড়লেন। গীর্জা ধংস করতে লাগলেন একটার পর একটা। আইন পাশ করলেন, যাতে ধর্মকর্ম পালন করতে না পারে মানুষ।
শুরু হয় গৃহযুদ্ব।
১৯২৬ সাল থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত চলে এই যুদ্ব( Cristero War)।
মানুষ মারা যায় ৯০ হাজার। অকাতরে মানুষ মেরেও যখন ধর্ম থেকে মানুষকে ফেরানো যাচ্ছিল না, তখন চুক্তিতে বাধ্য হন তিনি।
তারপর যে মহান কাজটি করেন এই নাস্তিক ভদ্রলোক তা রীতিমত আতকে উঠার মত।
বিরোধীদের আবার কচুকাটা করা।
তাদেরকে তাদের ঘরের সামনেই, পরিবারের সামনেই মারতে পিছপা হলেন না এই মহান নেতা।
৫০০ Cristero নেতা আর ৫০০০ অনুসারীকে গুলি করে মারেন তিনি তাদের ঘরে তাদেরই বউ বাচ্চাদের সামনে। আর সেটি করা হয় শান্তি চুক্তির পরে।
আর এসবকিছুই করেছেন তিনি ধর্মের বিষফোরাকে এই ধরিত্রীকে থেকে উতপাটনের জন্য।
Between 1926 and 1934 at least 4000 priests were killed or expelled.[21] Where there were 4,500 priests serving the people before the rebellion, in 1934 there were only 334 priests licensed by the government to serve fifteen million people, the rest having been eliminated by emigration, expulsion, and assassination.
কিন্তু শেষ জীবনে এই নাস্তিক ভদ্রলোকের বোধদয় ঘটে।
সর্বশক্তিমানের ব্যপারে তার আগ্রহ জেগে উঠে। মৃত্যুর কয় মাস আগে তিনি বলে গেলেন, অবশ্যই সর্বশক্তিমান একজন আছে।
In his last years he reportedly became interested in Spiritualism.[30] A few months before his death in October 1945, aged 68, Calles reportedly stated that he "most certainly believed" in a higher power.[31]
কিন্তু ততক্ষনে অনেক দেরী হয়ে গেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।