বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
গতকাল প্রথম আলোর এই খবর টি পড়ে বিস্ময়ে একেবারে হতবাক হয়ে গেলাম। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন দেশের কলেজগুলোতে স্নাতক সন্মান শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ইসলাম ধর্মভিত্তিক এমনসব প্রশ্ন করা হয়েছে, যেগুলো মুসলমান ছাড়া অন্য ধর্মের পরীক্ষার্থীদের পক্ষে উত্তর দেয়া সম্ভব নয়। উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব প্রশ্ন করার দায়ভার এখন কর্তৃপক্ষ একে অন্যের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেছেন, মাদ্রাসা ছাত্রদের সুবিধা দেয়ার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব প্রশ্ন করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বীকার করেছেন যে, ধর্মভিত্তিক এসব প্রশ্ন করার ফলে মুসলমান ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হচ্ছে, উপাচার্য নিজে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন, যদিও পরীক্ষা কমিটির কোন সভায় উপস্থিত ছিলেন না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এসব উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্ন করার পর চূড়ান্ত প্রশ্ন তৈরী করার আগে কি এসব দেখার কেউ ছিলনা? এটা তো খুবই হাস্যকর ব্যাপার যে, এই ধরণের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রশ্ন করার পর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকদের ব্যাপারটি দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে। এত বড় একটা ব্যাপারে নিশ্চয়ই উপরমহলের হাত আছে, কিন্তু এখন কেউ ব্যাপারটি স্বীকার না করে একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।