ফুলকপির স্কুলের পথটা খুবই ছোট তবে তাকে ঘুরে যেতে হয় প্রতিদিন। তার মা বলেছে, লাশকাটা ঘরের (মর্গের) সামনে দিয়ে না যেতে। ফুলকপি আর পটল একই ক্লাসে, পাশাপাশি বাসা তাই একসাথেই স্কুলে যায়। পটল বেশ সাহসী ফুলকপি ভীষণ ভীতু। তার মা আরো তার ভয় টা যেন বাড়িয়ে দেয় প্রতিদিন স্কুলে যাবার আগে একগাদা দোয়া পড়ে ফু দেয়া আর ২/৩টা তাবিজ গলায় হাতে বেধে দিয়ে।
ফুলকপি ক্লাস সেভেনে পড়ে। সবসময়ই বেশ হাসিখুশি, দেখতে বেশ মিষ্টি একটা মায়ামায়া ভাব চেহারায়।
সেদিন বাসা থেকে স্কুলে যেতে একটু দেরিই করে ফেলে ফুলকপি। পটল বলে, আজ যদি আমরা ঘুরে যাই অনেক দেরি হয়ে যাবে রে....তার থেকে চল যাই আজকেই শুধুমাত্র আজকের জন্য লাশকাটা ঘরের সামনে দিয়ে যাই! ফুলকপি রাজী হয় না। পটল ও নাছোড়বান্ধা সে তরমুজ স্যারের বেতের বাড়ি খেতে পারবে না।
পটল এও বোঝায় ফুলকপিকে, তুই এতো দোয়া তাবিজ পড়া সাথে নিয়ে ঘুরিস আর একদিন গেলে তোর কিছূ হবে না! শেষ পর্যন্ত ফুলকপি সবদিক ভেবে যেতে রাজী হল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।