চেয়ার ধরে মারো টান, তিনি হবেন খান খান...
প্রায় সকল মানব সমাজেই ঈশ্বর অতি আদরের উপকরণ। রাজ-দন্ডের মালিক চিরদিনই ঈশ্বরের একান্ত সেবক, রক্ষক ও প্রমোটার। তাই ঈশরের বিরুদ্ধে যাওয়া কখনই সহজে সম্ভব ছিল না। একটা সময় ছিল যখন ঈশ্বরের অস্তিত্বে অবিশ্বাস করা ছিল রাজ-অপরাধ। ঈশ্বরের বা তার প্রেরিত দূতদের বাণীর বিরুদ্ধে একটি বাক্য উচ্চারণের দায়েও নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে এমনকি প্রাণও দিতে হয়েছে বহু ‘নাস্তিককে’।
কোপার্নিকাস, ব্রুনো, গ্যালিলিও এরকম হাজার উদাহরণ আছে ইতিহাসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। অথচ মজার ব্যাপার হচ্ছে সেসব বাক্য ইদানিং ঈশ্বরের সেবকরাও প্রচার করছে, ঈশ্বরের মহিমা হিসেবেই!
তারপরেরও ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে নাস্তিকরা টানাটানি করেছে - সে বহুদিনের ইতিহাস, নতুন নয়। নাস্তিকরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে মশকরা এখনো করে যাচ্ছে। ইদানীং নাস্তিকরা জোরেসোরে এক নতুন ‘ভেক’ ধরেছে - ‘মিলিট্যান্ট এ্যাথেইজম’। নাস্তিকরা হঠাৎ করে যুদ্ধংদেহী হয়ে উঠছে প্বথিবীব্যাপী! ওয়াশিংটন ও লন্ডনে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে রীতিমত পয়সা খরচ করে বিজ্ঞাপণ প্রচার করছে নাস্তিকরা।
ব্রিটেইনজুড়ে ৮০০ বাসের গায়ে বিজ্ঞাপণ সাঁটানো হয়েছে - “সম্ভবত কোন ঈশ্বর নেই, তাই এখন দুশ্চিন্তা বাদ দিয়ে জীবনটাকে উপভোগ কর। ” এই বিজ্ঞাপণে অনুপ্রানিত হয়ে স্পেন ও ইতালির নাস্তিকরাও বিপুল প্রচারণায় নেমে পড়েছে।
প্রফেসর রিচার্ড ডকিন্স ‘সম্ভবত’ শব্দটির ব্যাপারে তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করেছেন যেটি কর্ত্বপক্ষ জোর করে ঢুকিয়ে দিয়েছে। তাদের বলছে এটি প্রমানসাপেক্ষ ব্যাপার, তাই সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে। হুমমম…ঈশ্বরের সেবকরাই এখনও তাহলে বেশি শক্তিশালী! চার্চের বা মসজিদের পান্ডারা যখন মহাসমারোহে প্রচার করতে থাকে ঈশ্বর হ্যান ঈশ্বর ত্যান তখন তো প্রমাণের প্রয়োজন পরে না।
তখন লাগে না ‘সম্ভবত’ ধরনের কোন শব্দের সংযোজন।
নাহ্ ঈশ্বর তার বিশ্বাসীদেরকে এখনও ফেরার প্লে শেখাতে পারেননি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।