গণতন্ত্র হল এমন এক অস্তিত্বহীন মদ, যাতে সবাই মাতাল, কিন্তু কেউ কখনো পান করে নি।
১৯১৭ সালে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী আর্থার ব্যালফোর সর্বপ্রথম ইহুদীদের জন্য একটি আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। প্রথমে তা নির্ধারণ করা হয়েছিল পূর্ব আফৃকার জঙ্গলাকীর্ণ একটি এলাকায়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুর্কিদের পরাজয়ের ফলে ফিলিস্তিন অন্ঞল ‘বৃটিশ ম্যান্ডেট’ প্রাপ্ত হয়। তুর্কি শাসিত অন্ঞল সমূহ ইউরোপীয় রাষ্ট্র সমূহ কর্তৃক ভাগ করে নেয়ার নাম ‘ম্যান্ডেট’।
১৯২০ সালে ‘বৃটিশ ম্যান্ডেট’ প্রাপ্ত ফিলিস্তিন ও জর্দান-
১৯৪৭ সালে বৃটেন 'ইজরাইল' প্রস্তাব জাতিসংঘে তোলে। এর অনেক আগে হতে শুরু হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে ফিলিস্তিনে ইহুদীদের অভিবাসন। একই বছর ২৯ নভেম্বর প্রস্তাবটি পাশ হয়। এতে ফিলিস্তিনের ৫৫ শতাংশ ভূমি 'ইজরাইল'কে এবং ৪৫ শতাংশ ভূমি ফিলিস্তিনের জন্য রাখা হয়।
১৯২২ হতে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ‘বৃটিশ ম্যান্ডেটে’র অধীনে ফিলিস্তিন-
প্রস্তাবিত মানচিত্র দেখে বুঝা যায় ফিলিস্তিনিদের আবাস ছিন্নভিন্ন করার লক্ষে এমন বিভাজন করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন ও 'ইজরায়েল' (১৯৪৭)-
১৯৪৮ সালের ১৪ মে ‘ইজরাইল’ 'স্বাধীনতা' ঘোষণা করে। তার পরদিন ‘বৃটিশ ম্যান্ডেটে’র অবাসন হয়।
১৯৪৮ সালে আরবদের সাথে ‘ইজরাইল’-র সাথে যুদ্ধ। যুদ্ধে ‘ইজরাইল’ ৭০ শতাংশের বেশি ভূমি দখল করে নেয়। সংকুচিত হয়ে আসে ফিলিস্তিনিদের আবাস ও জীবিকার ক্ষেত্র।
১৯৪৮সাল হতে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিন-
১৯৬৭ সালে ‘ইজরাইল’ সাথে আরবদের আবারও যুদ্ধ বাধে। ‘ইজরাইল’ ঢুকে পড়ে অবশিষ্ট ফিলিস্তিন অন্ঞলে। এবং ব্যাপক ইহুদী বসতি বাড়ানো হয়। এখনও তা অব্যাহত আছে।
১৯৬৭ সাল হতে আজ পর্যন্ত ফিলিস্তিন-
একটি পরিসংখ্যানে প্রকাশিত 'ইজরাইলী'রা যদি এই হারে ফিলিস্তিনিদের মারতে থাকে তবে ২০৫০ সাল নাগাদ ফিলিস্তিনে কোন ফিলিন্তিনি খুজে পাওয়া যাবে না।
ফিলিস্তিনে যা চলছে তা ফিলিস্তিনকে ফিলিস্তিনি শূণ্য করার পরিকল্পনার অংশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।