আমেরিকা আবারও যুদ্ধে যাচ্ছে। এবার লক্ষ্য সিরিয়া। প্রেসিডেন্ট আসাদের সরকার সে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। অতএব তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য কঠোর আঘাত হানতে হবে। এই যুদ্ধ শুধু আমেরিকার জাতীয় স্বার্থে নয়, পরাশক্তি হিসেবে তার নৈতিক দায়িত্ব হিসেবেও এই হামলা দরকার—ওবামা যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন।
ঠিক কীভাবে, কখন, কোথায়, কোন লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হানা হবে, তা নিশ্চিত নয়। তবে আঘাত আসছে। মার্কিন কংগ্রেস যদি ‘না’ বলে না বসে, ওবামাকে আক্রমণের সবুজসংকেত দেওয়া ছাড়া পথ নেই। নিজেই নিজেকে এই ‘বক্সিং রিং’-এর ভেতর আটকে ফেলেছেন ওবামা। আমেরিকার রক্ষণশীল মহলে এই যুদ্ধের তর সইছে না।
সিনেটর ম্যাককেইন ও তাঁর সতীর্থ সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম অহোরাত্র বলে বেড়াচ্ছেন, শুধু বিমান হামলা করলেই হবে না, আসাদকে সরাতে হবে। সে জন্য আরও বড় যুদ্ধ পরিকল্পনা চাই। সেনা পাঠানোর প্রস্তাব তাঁরা দেননি বটে, কিন্তু ‘নো-ফ্লাই জোন’—অর্থাৎ সিরিয়ার নিজস্ব আকাশ সীমানায় তারা নিজেরা নিজেদের বিমান যাতে না ওড়াতে পারে, তার ব্যবস্থা নিতে তাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন। এক-দুবার বিমান হামলা নয়, দীর্ঘস্থায়ী সামরিক সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুত হতে হবে, তার জন্য কৌশলগত নীলনকশা অবিলম্বে চূড়ান্ত করতে হবে, তর্জনী উঁচিয়ে তাঁরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ডানপন্থী বুদ্ধিজীবীরাও পিছিয়ে নেই।
সাপ্তাহিক স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায় বিলি ক্রিস্টল ও বার্নার্ড-লেভি এক যৌথ চিঠিতে আসাদের মতো নৃশংস একনায়ককে ‘শাস্তি’ দেওয়ার দাবি তুলেছেন। তাঁদের সে-কথার অর্থ, এখনই হামলা চালাও, দরকার হলে সেনা পাঠাও। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।