আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নৌকার প্রার্থী ক্যাপ্টেন তাজ ও ক্যাপ্টেন গিয়াসকে নিয়ে তোলপাড়



নৌকা প্রতীকে মহাজোট থেকে নির্বাচন করছেন দুই বিতর্কিত প্রার্থী। তাদের একজন সাবেক শহীদ জিয়াউর রহমান হত্য মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্টø আসামি ক্যাপ্টেন (অব.) গিয়াস উদ্দিন আহমদ ও অপরজন ১৯৯৬ সালে লে. জেনারেল নাসিমের ক্যুর সঙ্গে জড়িত ক্যাপ্টেন (অব.) এবিএম তাজুল ইসলাম ওরফে ক্যাপ্টেন তাজ। একজন প্রার্থী হয়েছেন ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) থেকে, অপরজন প্রার্থী হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসন থেকে। এ দুই প্রার্থী নিয়ে এলাকার ভোটারদের মাঝে চলছে নানা সমালোচনা। তারা প্রার্থী হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে নানা শঙ্কা।

আগামী সোমবারের ভোটযু™েব্দ ওইসব আসনে যে কোনো মহৃল্যে এ দুই প্রার্থীকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে চারদলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। তাদের মতে, বিতর্কিত এসব ব্যক্তি নির্বাচিত হলে ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের ষড়যল্পেú মেতে উঠতে পারে। অনুসল্পব্দানে জানা যায়, সাবেক রাদ্ব্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান হত্যামামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্টø আসামি ক্যাপ্টেন (অব.) গিয়াস উদ্দিন আহমদ নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন ময়মনসিংহ-১০ আসন থেকে। রাদ্ব্রপতি জিয়ার অন্যতম ঘাতক এ সাবেক সেনা কর্মকর্তা তার জীবনবৃত্তাল্পেøও উল্কেèখ করেছেন জিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকা, কোর্ট মার্শালে প্রথমে মৃত্যুদণ্ড এবং পরে যাবজ্জীবন সাজা হওয়ার কথা। একজন চিহিক্রত ও দণ্ডিত খুনিকে মনোনয়ন দেয়ায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিকিদ্ধয়া দেখা দিয়েছে।

ক্যাপ্টেন (অব.) গিয়াস উদ্দিন আহমেদের বাড়ি গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের পাতলাশী গ্রামে। মনোনয়ন লাভের পর তিনি নিজের প্যাডে মিডিয়ায় যে জীবনবৃত্তাল্পø পাঠিয়েছেন, তাতে ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের জহুরুল হক হল শাখার নেতা বলে উল্কেèখ করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্টø হন এবং ১৯৭৮ সালে ক্যাপ্টেন পদে উল্পুীত হন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তার বর্বর হামলায় শাহাদতবরণ করেন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাদ্ব্রপতি ও স্ট^াধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান। ওই সেনাবিদ্রোহে কুখ্যাত কর্মকর্তা ছিলেন এ ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহমদ।

জিয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মধ্যে তাৎণিকভাবে যে কয়জনকে চিহিক্রত ও গ্রেফতার করা হয় তাদের মধ্যেও ছিলেন এ ক্যাপ্টেন। কোর্ট মার্শালে দোষী সাব্যস্টø করে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এ আদেশের বিরু™েব্দ রিভিউ কমিটিতে আপিল করে জীবন ভিা চাইলে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। ১৯৮৮ সাল পর্যল্পø তিনি সাজা ভোগ করেন। পরে ১৯৮৮ সালে তিনি স্টৈ^রশাসক এরশাদের বিশেষ অনুক¤ক্সায় মুক্তি পান।

স্ট’ানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০০১ সালে গফরগাঁওয়ের আওয়ামী লীগ এমপি আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ সল্পúাসী কর্মকাণ্ডের কারণে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। তারা সল্পúাসী কর্মকাণ্ডে ময়মনসিংহ তথা সারাদেশে আওয়ামী লীগ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। পরে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুতে ওই আসনটি শহৃন্য হলে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে সকিদ্ধয় হন ক্যাপ্টেন (অব.) গিয়াস উদ্দিন আহমদ। স্ট’ানীয় সচেতন বাসিন্দাদের মতে, ক্যাপ্টেন (অব.) গিয়াস নির্বাচিত হলে গফরগাঁও এলাকাটি আবারো সল্পúাসের জনপদে পরিণত হবে।

আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ডও সবকিছু জেনেই বিতর্কিত এ সেনা কর্মকর্তাকে মনোনয়ন দেন। Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.