: আপনি একটি বহুল আলোচিত বক্তব্য রেখেছেন যে, আপনার কাছে তথ্য আছে, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। আপনি কি বলবেন, কী তথ্যের ভিত্তিতে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন?
-আমরা দুটি জরিপ করেছি সম্প্রতি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ বিএনপি থেকে একটু এগিয়ে আছে। জরিপটি বৈজ্ঞানিকভাবে করা, বিদেশি কোম্পানি দ্বারা করা। বিরোধী দল আমার কথা ঘোরানোর চেষ্টা করছে।
নির্বাচনে চুরি করা তাদের অভ্যাস। তাই তারা অভিযোগ করছে আমাদের বিরুদ্ধে। এই সরকারের আমলে ছয় হাজার নির্বাচন হয়েছে। সে সম্পর্কে কেউ কথা তুলতে পারেনি। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কারচুপি করে না।
আওয়ামী লীগ মানুষের অধিকার রক্ষা করতে চায়।
: তাহলে তারা যে নীলনকশার কথা বলছে...
-এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
: সম্প্রতি পাঁচটি সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পরাজিত হয়েছে। অল্প সময়ে এই পরিস্থিতির পরিবর্তনে কী ধরনের পরিকল্পনা আছে?
-এখানে কিন্তু পরিস্থিতি পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই। যে পাঁচটি সিটি নির্বাচন হয়েছে সেখানে হয়তো কিছুটা জাতীয় নির্বাচনের প্রভাব রয়েছে কিন্তু মূলত স্থানীয় বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে।
সে যাই হোক আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়েছে। কিন্তু জাতীয়ভাবে দেখলে আওয়ামী লীগ কিছুটা এগিয়ে আছে। তা ছাড়া বিভিন্ন কারণ আছে, ভোটার টার্ন আউট কম ছিল, জাতীয় নির্বাচনে শতকরা ৮৩ ভাগ ভোট কাস্ট হয়। এখানে কিন্তু শতকরা ৬০ ভাগ ছিল। মানুষ কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেয় নৌকা, ধানের শীষ মার্কা দেখে, স্থানীয় নির্বাচনে কিন্তু অন্য প্রতীক থাকে।
নৌকার কিন্তু আলাদা একটা ব্র্যান্ড ইমেজ আছে, যারা নৌকায় ভোট দেয়, তারা তখন নৌকায় ভোট দেবে।
: আপনি বললেন, সিটি নির্বাচনে জাতীয় ইস্যুগুলোর চেয়ে স্থানীয় ইস্যুগুলো প্রাধান্য পেয়েছে কিন্তু বেশির ভাগ বিশ্লেষকই নির্বাচনের পরে বলেছেন, জাতীয় ইস্যুগুলোই পরাজয়ের মূল কারণ। অনেকে বলেছেন, সেসব নির্বাচন স্থানীয় হোক, জাতীয় হোক অপপ্রচার হয়েছে। সেই নির্বাচনগুলোতে ঠিক কী ধরনের অপপ্রচার হয়েছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে?
-অনেকগুলো বিষয় নিয়েই আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। যেমন_ হলমার্ক বলেন, ডেসটিনি বলেন, পদ্মা সেতু বলেন_ এসব নিয়ে একটা মিথ্যা প্রচার সরকারের বিরুদ্ধে চলছে।
: এগুলো সবই অপপ্রচার, সরকারের দুর্নীতি নয়?
- না। দুর্নীতি সরকার করেনি। আমরা দুর্নীতির মোকাবিলা করেছি। আমরা দুর্নীতি থামিয়েছি। ডেসটিনি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠান।
বিএনপি সরকারের আমল থেকেই তাদের দুর্নীতি চলছে। সেটা কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার এসে থামিয়েছে। আমরা দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করছি। আপনি যদি পদ্মা সেতু দুর্নীতির বিষয় দেখেন, এখানে টাকা বিতরণ হয়নি, অথচ অভিযোগ করা হয়েছে দুর্নীতির ইচ্ছা ছিল। তারপরও আমরা তদন্ত করে যতটুকু পেয়েছি তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
: পদ্মা সেতু দুর্নীতি নিয়ে আপনি তদন্ত, মামলা করার কথা বললেন, তো এই দুর্নীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে কেন মামলা হলো না?
- তার বিরুদ্ধে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আপনি যদি কারও বিরুদ্ধে মামলা করতে চান, আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে। কিন্তু যেখানে কোনো টাকা বিনিময় হয়নি, তার অসৎ উদ্দেশ্য ছিল এমন তথ্য, সাক্ষী লাগবে, একটা চিঠি, একটা ই-মেইল, একটা কিছু লাগবে_ ওরকম কিছু পাওয়া যায়নি। বলা হয়েছে, একটা ডায়েরি পাওয়া গেছে, ডায়েরিতে তার নাম আছে। কিন্তু সেই ডায়েরি এখন পর্যন্ত কেউ দেখেনি।
এটা কার ডায়েরি, কতটুকু সত্য, বাংলাদেশে তো আসেইনি। কানাডায় যে মামলা চলছে, সেখানে যে সাক্ষী আসছে আমরা মনিটর করছি, আমরা শুনানি রেকর্ড করে নিয়ে আসছি। সেখানে এখন পর্যন্ত আবুল হোসেন সাহেবের নাম ওঠেনি। এখন তো মনে হচ্ছে, একটা গুজব ছড়ানো হয়েছে, একটা অপপ্রচার হয়েছে।
: এই অপপ্রচারের মধ্যে বিশেষভাবে একটি প্রচার সবচেয়ে সফল হয়েছে সেটা ৫ মে হেফাজতের সমাবেশের পর নিহতের সংখ্যা নিয়ে।
এই ধরনের অপপ্রচারকে আপনারা কীভাবে মোকাবিলা করবেন?
- সেদিন রাতে যে অপারেশন হলো, আমরা সব মিডিয়াকে সঙ্গে রেখেছিলাম। তারা ভিডিও করেছে, ছবি তুলেছে।
: যারা বিশ্বাস করেন না বা করবেন না তাদের কীভাবে বিশ্বাস করাবেন, অনেক অর্গানাইজেশনকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই। সেটিও তো এক ধরনের প্রভাব ফেলেছে।
- এখন সেই প্রভাবটা আমাদের কাভার করতে হবে।
আমাদের বিশ্বাস, মানুষ যখন এই ভিডিওগুলো দেখবে তারাও বিশ্বাস করবে এরকম কোনো সংঘর্ষ হয়নি, মানুষ হত্যা হয়নি। তারা ছবি এনেছে, হাইতিতে যে লাখ লাখ মানুষ মারা যায় সেখান থেকে। আমরা খুঁজে বের করেছি আমেরিকায় জোমস টাউনে একটা ম্যাসাকার হয়েছিল, তারা আত্দহত্যা করেছিল, সেই ছবি দিয়ে তারা বলছে, এটা ৫ মে'র ছবি। আওয়ামী লীগ দেশের কাজ করতে ব্যস্ত। আমাদের নেতারা, আমাদের কর্মীরা, আমরা যে পরিমাণ উন্নতি করেছি দেশের এটা এমনি এমনি হয়নি, অনেক চেষ্টা করে, খেটে হয়েছে।
বিরোধী দলে থাকলে এই একটা সুবিধা_ ইচ্ছামতো মিথ্যা প্রচার করা যায়। তাদের তো কোনো কাজ নেই, তারা দেশের জন্য কাজ করছেন না, তারা সংসদে আসছেন না, তারা কিছুই করছেন না।
: আপনারা যখন বিরোধী দলে থাকেন তখন তো এ কথাগুলো একইভাবে প্রযোজ্য।
- না, সেটা ঠিক না। আমরা সংসদে এসেছি, অনেকগুলো বিলে এলিমেন্ট দিয়েছি।
: আপনি বলছেন, অপপ্রচারের সময় আওয়ামী লীগ কর্মীরা স্থানীয় পর্যায়ে কাজে ব্যস্ত ছিল। হয়তো অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করতে পারেনি, ফোকাস করতে পারেনি, আপনি কি সেখানে একটি বিশেষ ভূমিকা রাখতে যাচ্ছেন?
- হ্যাঁ। আমার ইচ্ছা আছে। যেহেতু আমার ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় অভিজ্ঞতা আছে, আমি বিদেশে ক্যাম্পেইন দেখেছি। আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে নামে, দলের যে মনোবল ও ব্র্যান্ড আছে তার ইতিবাচক প্রভাব আশা করা যায়।
সেভাবে আমরা এখনো নামিনি। আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করে তাহলে আওয়ামী লীগকে হারানো খুব কঠিন কাজ।
: আপনি কি দলের মধ্যে কোনো অনৈক্যের আভাস দিচ্ছেন যে, এতদিন বা সম্প্রতি আওয়ামী লীগের ভেতরে অনৈক্য বা সমস্যা কাজ করছে?
- হ্যাঁ, কিছুটা তো আছেই। দল ক্ষমতায় থাকলে সেটা হয়, কেন্দ্রীয় নেতারা বা এমপিরা তাদের দায়িত্বে ব্যস্ত থাকেন। মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রাখা হয় না।
তবে এখনো সময় আছে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি আমাদের হারানো কঠিন হবে।
: আপনি নির্বাচনমুখী রাজনীতির কথা বলছেন। গতবারের নির্বাচনের ইশতেহার আওয়ামী লীগের অন্যতম সফল একটি ইশতেহার, সেই নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বিশেষভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ, দিন বদলের প্রতিশ্রুতি, তরুণ ভোটারদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে বাস্তব দৃশ্য যদি দেখেন, এখন তারা যেখানে আছেন সেখানে আপনি এই সরকারকে কতটুকু সফল বলে মনে করেন?
- ইশতেহারে যতগুলো ওয়াদা ছিল তার বেশির ভাগ আমরা বাস্তবায়ন করেছি। প্রথম ওয়াদাই ছিল আমরা বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করব। যখন আমরা সরকার গঠন করি বিদ্যুতের এমন বাজে পরিস্থিতি ছিল তার সমাধান না হলে দেশের অর্থনীতি শেষ হয়ে যেত।
তখন এটাও একটা আলোচনার বিষয় ছিল, সরকারের পাঁচ বছরের টার্মে এই পরিস্থিতির সমাধান করা যায় কি-না।
: এখানে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের চেষ্টায় কুইক রেন্টাল পদ্ধতি নেওয়া হলো। এ ব্যাপারে তো প্রচুর সমালোচনা ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
- এখানে যদি ভর্তুকি দিতে হয় তাহলে দুর্নীতি কীভাবে বলা যায়? আমরা তো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিচ্ছি। এটা তো দিতেই হবে।
কেউ বলছে না কুইক রেন্টাল করে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে তাতে আমাদের অর্থনীতি কতদূর এগিয়ে গেছে। প্রাইমারি পাওয়ার প্লান্ট বসাতে তিন বছর সময় লেগে যায়। আমরা যদি তিন বছরের জন্য বসে থাকতাম, এই তিন বছরে উৎপাদন হতো না। উৎপাদন না বাড়লে মানুষের বেতন-ভাতা বাড়ত না। আমাদের আয় বাড়ত না।
তাই আমাদের কুইক রেন্টাল করতে হয়েছে।
: তাহলে আপনি বলছেন, বিদ্যুতের ক্ষেত্রে সরকার সাফল্য দাবি করতে পারে।
- অবশ্যই।
: এমন আর কোন কোন ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য আছে বলে মনে করেন?
- প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই। শিক্ষার দিকে দেখলে, আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে কোটি কোটি বই বিতরণ করছি, এটা বিশ্বের কোনো সরকার পারেনি।
: বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক বই বিতরণ করা হয় বাংলাদেশে।
- ঠিক তাই। তা ছাড়া অবকাঠামো উন্নয়নের কথায় যদি আসেন, ঢাকা শহরের উড়াল সড়কগুলোর কথা ধরেন, এগুলোর পরিকল্পনাই করা হয়েছে এই সরকারের সময়। আমরা এক টার্মেই পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও চালু করে প্রমাণ করেছি এটা সম্ভব। এটা তো আগের কোনো সরকার পারেনি।
আমরা প্রতিটি সমস্যা এক এক করে সমাধান করছি। বিদ্যুতের সমস্যা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আমরা প্রথমেই সমাধান করেছি। আমরা যানজট সমস্যার সমাধান করতে যাচ্ছি। আমরা দুর্নীতির সমস্যারও সমাধান করছি। আপনারা যদি তুলনা করেন, দুর্নীতিতে আমরা কোথায় ছিলাম এখন কোথায় এসেছি।
বিএনপির আমলে কী পরিমাণ দুর্নীতি ছিল!
: বিএনপি আমলের দুর্নীতির কথা বলছেন, আপনার কি মনে হয় সেটি এখনো মানুষের মনে আছে?
- না, সেটা মনে নেই। মানুষের মনে নেই বলেই বিএনপি আশাবাদী হয়ে উঠেছে। তারা বলছে, আগে কি হয়েছে সেটা ভুলে যান। তারা তো ক্ষমতায় ছিল, তারা যতই বলুক পরিবর্তন আসবে, তাদের নেতৃত্বে তো পরিবর্তন আসেনি। যারা আগে দুর্নীতির মূলে ছিল তারাই কিন্তু এগিয়ে আছে।
তাদের গত টার্মে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এমন কোনো সেক্টর ছিল না যেখানে তারা দুর্নীতি করেনি। যে পরিমাণ দুর্নীতি করেছে সে কারণে তারা একটা অবকাঠামোতেও এগোতে পারেনি। বিদ্যুৎ সেক্টরে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তারা বাড়াতে পারেনি শুধু দুর্নীতির কারণে। হাওয়া ভবন খুলে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে নিজেই সিএনজি থেকে চাঁদা আদায় করত, খাম্বা লিমিটেড করে পোল বানিয়ে সরকারের কাছে বিক্রি করা হলো।
বিদ্যুৎ নেই, পাওয়ার প্লান্ট নেই, তবু সারা দেশে পোল কিনে সরকারের টাকা ব্যয় করা হতো। এমন কোনো ব্যবসায়ী নেই যাদের হাওয়া ভবনে ডেকে চাঁদা দাবি করা হয়নি। তার সঙ্গে তো তুলনা করতে হবে। মানুষ তো ভোট দেবে দুই দলকে তুলনা করে। আমরা চাই বিএনপি আর আওয়ামী লীগ, এই তুলনাটা হোক।
বিএনপি তো ক্ষমতায় ছিল, তারা পাঁচ বছরে কী করেছে আর আমরা কী করেছি জনগণ তা বিবেচনা করুক। এখানে তো কোনো ভবন খোলা হয়নি যেখান থেকে চাঁদাবাজি করা হয়েছে। মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো হচ্ছে, এখানে আমরা চাঁদাবাজি বন্ধ করেছি। হজের ফ্লাইট যাচ্ছে। আর চাঁদাবাজি হচ্ছে না।
বাংলাদেশে একজন ব্যবসায়ী পাবেন না যিনি বলবেন জয়কে আমার চাঁদা দিতে হয়েছে।
: জয় বনাম তারেক এমন সম্পাদকীয় প্রকাশ হচ্ছে। আপনাকে ঘিরে ক্ষমতার একটি কেন্দ্র গড়ে ওঠে কিনা যেমনটা আপনি বললেন তারেককে নিয়ে, হাওয়া ভবনের কথা বলছেন, আপনাকে ঘিরে এমন কোনো ক্ষমতার আশঙ্কা, সম্ভাবনা আছে কিনা?
- সেটার প্রমাণ তো ইতোমধ্যেই পেয়ে গেছেন আপনারা। আওয়ামী লীগ সরকার তো সাড়ে চার বছর ক্ষমতায় আছে। এ সময়ে কি আমি এরকম কিছু করেছি? আমার মা দুইবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
তারেক রহমানের মা-ও দুইবারের প্রধানমন্ত্রী। তারেক রহমান কী করেছেন আর আমি কী করেছি আপনারা স্পষ্ট জানেন। আমার পরিবার বার বার শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছে। আমাদের দেশের টাকা, দেশের সম্পদ লুটে খাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা ভালো আছি।
: আপনি বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন, বক্তব্য দিচ্ছেন- আপনি কি রাজনীতিতে আসছেন?
- এখন নির্বাচনী ক্যাম্পেইন হচ্ছে। আমি এসেছি দলকে সাহায্য করতে। আমার নিজের পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমাকে সেটা করতে হবে। আমি ক্ষমতা বা টাকার দিকে নজর দিয়ে নামিনি। সেটা হলে তো আমি সাড়ে চার বছর আগেই নামতে পারতাম।
আমার উদ্দেশ্য, এই যে আপনি কথা বলার সুযোগ দিচ্ছেন, সেই সুযোগে দেশের মানুষকে আমার কথা বলা। আমার ফেসবুকে একটা ছবি এ পর্যন্ত প্রায় চার-পাঁচ লাখ মানুষ দেখেছে দুই দিনে- এই সুযোগটা নেওয়া।
: হ্যাঁ। আপনি জন্মদিনের আগের দিন হয়তো আপনার ফেসবুক পেজটি চালু করেন। সেখানে একটা পারিবারিক আবহের ছবি দিয়েছেন।
তো আপনি কি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে তরুণদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের কথা বলছেন?
- হ্যাঁ, সেটা গুরুত্ব দিচ্ছি। তরুণদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য, মেসেজ পাঠাতে সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা মিডিয়া। অন্যান্য যেসব পদ্ধতি আছে সেভাবেও করব।
: যে পরিমাণ মানুষ এটা দেখেছে তাতে আপনি কি আনন্দিত?
- হ্যাঁ, আমি ভীষণ আনন্দিত। এতটা আমি কল্পনাও করতে পারিনি।
আমি একজন মডারেটর রেখেছি যে আমার পোস্ট বাংলা করে দেবে। তা ছাড়া আমরা দলের পক্ষ থেকেও সোশ্যাল মিডিয়াতে খুব অ্যাকটিভ হব।
: আমরা আগে থেকেই দেখেছি, আওয়ামী লীগের বেশ কিছু এমপি সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাকটিভ। এই অ্যাকটিভিটির মাঝেও ইউটিউব বন্ধ ছিল, ফেসবুকে লেখালেখি সরানো নিয়েও একটা অভিযোগ আছে। এ নিয়ে বিশেষভাবে তরুণ সমাজের ভেতরও এক ধরনের ক্ষোভ রয়েছে।
আপনি এটাকে কীভাবে দেখেন?
- আমরা কিন্তু সেভাবে ব্লক করতে চাইনি। আমরা ইউটিউব, ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। মানুষকে উসকে দেওয়ার যে ভিডিও যেটা আমেরিকায় বানানো হয়েছে। সেটাকে কেন্দ্র করে মুসলিম দেশগুলোতে ভায়োলেন্স চলেছে। এই ভায়োলেন্স ঠেকাতেই কিন্তু আমরা ইউটিউবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।
ধর্ম অবমাননার মতো বিষয়গুলো নিয়ে ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা জবাবও দেয়নি। তারা ইচ্ছা করলে এই বিষয়গুলো চাইলে ব্লক করতে পারত, তারা করেনি। তখন আমরা বাধ্য হয়েই ব্লক করি। পরে ফেসবুক রাজি হয়েছে কিছু কিছু বিষয়ে।
তখন আমরা ব্লক তুলে নিয়েছি। আমাদের ব্লক করার উদ্দেশ্য কোনোদিনই ছিল না।
: উত্তরাধিকারের রাজনীতি, যে কারণে আমরাও আপনার কথা শুনছি। উত্তরাধিকারীদের রাজনীতিকে সাধারণত নেগেটিভলি দেখা হয়।
- এটা নির্ভর করে সম্পূর্ণ মেধার ওপর, সামর্থ্যের ওপর।
আমি কার ছেলে সেটা হয়েই যে আমি রাজনীতি করতে পারব, সেটা সত্য নয়, এটা আমি স্বীকার করি। আমার সরাসরি রাজনীতিতে আসার কোনো ইচ্ছা ছিল না। আমি বাধ্য হয়ে রাজনীতিতে নেমেছি। যখন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমার মায়ের ওপর বোমা হামলা হয়, আইভি রহমান নিহত হন তখনই আমার জেদ হয় আমি দেশকে রক্ষা করব, আমার দলকে রক্ষা করব। বিএনপি যে ভয়ঙ্কর একটা দল তাদের হাত থেকে আমার দেশকে রক্ষা করব।
এখানে আমি এসেছি আমার দলকে সহযোগিতা করার জন্য। আপনি যে বলেছেন, ছয় মাস কি পর্যাপ্ত সময়? আমি মনে করি, হ্যাঁ। এটা পর্যাপ্ত সময়। আমার শুধু লক্ষ্য দলকে নির্বাচনে জেতাতে হবে। আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে, সেটার মোকাবিলা করতে হবে।
সেটা আমি করতে এসেছি। আমি বিশ্বাস করি, আমি করতে পারব। আর উত্তরাধিকারের যে কথা বললেন, এটা তো সামর্থ্যের ওপরই হয়। ডাক্তারের ছেলে বেশির ভাগ ডাক্তারই হয়। এটা নিয়ে তর্ক স্বাভাবিকই হয়।
তবে শেষমেশ এসব নির্ভর করে মেধার ওপর। সবাই পারে না, সবার সেই সামর্থ্য নেই। যাদের চরিত্রে স্বচ্ছতা আছে তারা সৎকাজ করবে। যাদের চরিত্রে দুর্নীতি আছে তারা দুর্নীতিই করবে। মানুষ চরিত্র বদলাতে পারে না।
: রাজনীতিতে ব্যক্তিচরিত্রের কথা বললেন কিন্তু দল কীভাবে রিপ্রেজেন্ট করছে বিশেষ করে নির্বাচনকালীন সময়ে সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিএনপি কিন্তু নতুন ধারার রাজনীতির স্লোগান নিয়ে মাঠে নেমেছে। তো এবার আপনাদের স্লোগান কী?
- আমাদের স্লোগান এখনো ঠিক হয়নি। তবে আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই। বিএনপি শাসনামলে যে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, বোমা হামলা হয়েছিল সেই পরিবেশে আর ফিরে যেতে চাই না।
: এই সরকার সাফল্যের দাবি করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় নিয়ে। নির্বাচনের আগে রায় কার্যকর হওয়া না হওয়া নিয়ে কেমন প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন?
- আমি মনে করি প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশের মানুষ ৪২ বছর অপেক্ষা করেছে এই বিচারের জন্য। স্বচ্ছতার সঙ্গে, আইনগতভাবে এটা করতে একটু সময় লাগবে। আমাদের ওয়াদা ছিল সেটা পূরণ করার ইচ্ছা আছে।
আমার আশ্চর্য লাগে, যারা এ দেশের মানুষকে হত্যা করেছে তাদের পক্ষ নিয়েছে বিরোধী দল। বিদেশে এই রায়ের বিপক্ষে লবিং করতে কোটি কোটি টাকা ঢেলেছে। যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে তারা তো রাষ্ট্রবিরোধিতা করছে। একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই তাদের বিচার করছে। বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের দেশে এনে মন্ত্রী বানিয়েছে।
: নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে সেটা নিয়েও তো আপনারা দুটি দল একমত না। কোন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে?
- নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করা হয়েছে। এটা কমিশনই ঠিক করবে। বিষয়টা হচ্ছে, তখন কোন সরকার দেশ চালাবে। অনির্বাচিত সরকারের অভিজ্ঞতা আমাদের আছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকাকালীন কী একটা সুন্দর নির্বাচন হতে যাচ্ছিল? ২০০৬-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দিকে দেখেন, বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইয়াজউদ্দিন সংবিধানের সাতটি ধাপ পার করে নিজেকে প্রধান উপদেষ্টা বানিয়ে ফেললেন। ভুয়া ভোটার লিস্ট করে তিনি এবং বিএনপি নির্বাচন সাজাতে যাচ্ছিল। তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে কী লাভ হলো? আরও তো ক্ষতি হলো। এমনকি সেই সুযোগে সামরিক শক্তি ক্ষমতা দখল করল, তারা দুই বছর দেশ চালাল, নির্যাতন চালাল। রাজনীতিবিদদের জেলে ঢোকানো হলো।
: এর আগে শপথ অনুষ্ঠানে তো আওয়ামী লীগ তাকে সমর্থন জানিয়েছিল।
- হ্যাঁ। কারণ তখন আমাদের আশা ছিল তারা সংবিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করবে। প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যর্থ হলো। তবুও দ্বিতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলো।
আমরা আশাবাদী ছিলাম তারা নির্বাচন করবে। তারা তো নির্বাচন করেনি। তারা দুই বছর থেকে গেল, এটাই তো এখন আমাদের ভয়। এখন যদি অনির্বাচিত সরকার আনি, ৯০ দিনের কথা বলে ১০ বছর থেকে যায় তখন আমরা কী করব?
: এই আশঙ্কার কথা প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বেশ কয়েকবার বলেছেন। তবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়েই নির্বাচনকালীন কোনো সরকারব্যবস্থা নিয়ে কি বিরোধী দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো কার্যকর আলোচনা পর্দার আড়ালে হচ্ছে? নাকি দুই দল অনড় অবস্থানে রয়েছে?
- আমরা যেটা দেখছি বিএনপিই একমাত্র অনড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমরা যেটাই প্রস্তার করেছি তারা সেটাই সঙ্গে সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছে। তারা চাচ্ছে রাস্তায় আন্দোলন, ভাঙচুর করতে। এ ছাড়া তারা সন্তুষ্ট হবে না। আমরা যে ছয় হাজার নির্বাচন করেছি বিএনপিও তো বলছে না এসব নির্বাচনে সরকার কোনো হাত দিয়েছে। সুন্দর নির্বাচন হয়েছে, গত সিটি পাঁচটি নির্বাচনে আমরাই হেরেছি।
বিএনপির উদ্দেশ্যই হচ্ছে এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা। তারা যতই বলুক নির্বাচনে যাবে না, শেষমেশ তারা নির্বাচনে যাবে।
: বিএনপি বলছে বেশ কিছু ফ্যাক্টর আছে যেগুলো স্থানীয় নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচনের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে শুধু বিরোধী দল নয়, সমাজের অন্যান্য সুশীল সমাজকে কি কনভিন্স করা বা মানিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে?
- নির্বাচন চালানোর ক্ষেত্রে স্থানীয় নির্বাচন হোক আর জাতীয় নির্বাচন হোক কোনো পার্থক্য নেই। আর মূল প্রশ্নটাই হচ্ছে চরিত্রের।
বিএনপি অভ্যস্ত চুরি করায়, আমি বলব বিএনপির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তারা '৯৬ সালে নির্বাচনে কারচুপি করেছে, ২০০৬-এর ভোটার লিস্টে দেখেন এক কোটি ৪০ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন সাজাতে যাচ্ছিল। কথা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের সেই চরিত্র নেই। আওয়ামী লীগ কোনোদিন নির্বাচনে কারচুপি করে না। সুশীল সমাজের আতঙ্কের আরও কারণ আছে।
সুশীল সমাজের একটা পরিকল্পনা ছিল একবার ক্ষমতায় আসতে পারলে তারা দেশ চালাবে।
: সেই আতঙ্ক তো এখনো থাকছে। নির্বাচন নিয়ে যদি প্রধান দুই জোট সমঝোতায় আসতে না পারে আতঙ্ক থাকবেই।
- একটা অনির্বাচিত সরকার যদি আসে তখনই তো ষড়যন্ত্রের সুযোগ থাকবে। সুশীল সমাজের একাংশ ১/১১-এর মতো ক্ষমতা দখল করে সেই পুরনো পরিস্থিতি তৈরি করবে।
: এবার তো তরুণ ভোটারদের সংখ্যা আরও বেড়েছে, তাদের জন্য আপনি আগামী দিনের বাংলাদেশের কেমন স্বপ্ন দেখছেন?
- আমরা একটা ভিশন দিয়েছি, ভিশন ২০২১। আমরা ৫ বছরে সেই ভিশনের এক-তৃতীয়াংশ এগিয়ে এনেছি। কাজ অনেক হয়েছে, কাজ আরও বাকি। আমরা যখন দায়িত্ব নেই তখন মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৬০০ ডলার, এখন প্রায় সেটা ৯০০ ডলারে চলে এসেছে। গত সাড়ে ৪ বছরে দরিদ্রতার সীমা শতকরা ১০ ভাগ কমে এসেছে।
আওয়ামী লীগের এক মেয়াদেই দেড় কোটি মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। আরও পাঁচ-দশ বছর যদি কাজ করতে পারি তাহলে দেশের চেহারাটাই বদলে দেব। একটা আধুনিক দেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন। আমার বিশ্বাস, এটা শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই পারবে, আর কেউ পারবে না।
: বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী বলে মনে করেন?
- বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এই মুহূর্তে দরিদ্রতা।
আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন সাড়ে ৪ কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করত। সাড়ে ৪ বছরে আমরা সেটা কমিয়ে এনেছি প্রায় ৩ কোটি মানুষে। মানুষের দরিদ্রতা দূর হলে, মানুষের আয় বাড়বে আর সেই আয় দেশের অর্থনীতিকেই চাঙ্গা করবে। এখন দেশ যে গতিতে আগাচ্ছে তখন দেশ আরও বেশি গতিতে এগিয়ে যাবে।
: দারিদ্র্য বিমোচনের দীর্ঘ প্রক্রিয়া ছাড়াও দেশে এখন সামনে ধর্মীয় অতি রক্ষণশীলতা, হেফাজতের ১৩ দফা, মানবতাবিরোধীদের বিচার এই চ্যালেঞ্জগুলোর কোনটিকে আপনার দলের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করেন?
- বাস্তবতা হচ্ছে, ধর্ম নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার হয় সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
প্রথমে তো আমরা বাঙালি, আওয়ামী লীগ সবার জন্যই, দেশের বেশির ভাগ মুসলমান, আমরাও মুসলমান কিন্তু দেশে যে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান আছেন তাদের তো আমরা বাদ দিতে পারি না। তাই আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বাঙালি জাতির জন্য কাজ করতে চাই। কাউকে ধর্মের জন্য বাদ দিতে চাই না। বিরোধী দল অপপ্রচার চালাচ্ছে। বাস্তব কথাটা সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে।
আমার মা অত্যন্ত ধার্মিক, তিনি প্রতিদিন ভোরে ফজরের নামাজ পড়েন, তারপর চা খান, কোরআন শরিফ পড়েন। এর বিপরীতে যখন বিরোধী দলের নেত্রীকে ক্যান্টনমেন্টের বাসা ছাড়তে হয় তখন তো টিভিতে, খবরের কাগজে দেখা গেছে, আমি বাংলাদেশের মানুষকে জিজ্ঞাসা করব, কারা ধার্মিক কারা নাস্তিক। এটা আপনারাই যাচাই করেন।
: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে আপনি কীভাবে দেখেন?
- আমার নানা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, বাংলাদেশ সাউথ এশিয়ার সুইজারল্যান্ড হবে, এশিয়াতে বিনিয়োগ, যোগাযোগের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। সেই স্বপ্ন পূরণে আওয়ামী লীগ লেগে আছে।
আমরা এশিয়ার হাইওয়ের সঙ্গে যোগ হচ্ছি, আমরা ৩টি ফাইবার অপটিক ক্যাবলের সঙ্গে যোগ হয়েছি, আমরা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে আরও বাড়ানোর কাজে আছি- আমরা আশাবাদী চীন, নেপাল, ভারতের পণ্য আমাদের সমুদ্রবন্দর দিয়ে যাবে_ এতে আমরাই লাভবান হব। আমরা মিয়ানমারের কাছ থেকে সমুদ্র বিজয় করেছি, ভারতের সঙ্গেও এ বিষয়ে একটি রায় শীঘ্রই আসবে। এই সরকারের আমলে রায়টা না পেলেও আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এই রায় আমরা পাব। তখন বঙ্গোপসাগরে বিনিয়োগ করার আরও সুযোগ বেড়ে যাবে। তখন আন্তর্জাতিক শিপিং বাংলাদেশে আসবে এই স্বপ্ন আমাদের আছে।
এখান থেকেই বাংলাদেশ সম্পূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া এবং এশিয়ার প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাঁড়াবে।
: ধন্যবাদ, সজীব ওয়াজেদ জয়, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ একাত্তর টিভিকে সময় দেওয়ার জন্য।
- আপনাকেও আমার আন্তরিক ধন্যবাদ। একাত্তর টেলিভিশনকে এবং বাংলাদেশের মানুষকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।
অনুলিখন- তানভীর আহমেদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।