আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেলকুচিতে নৌকার সামনে দোয়াত কলম

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচন হবে শুধু সিরাজগঞ্জ-৫(বেলকুচি-চৌহালী) আসনে। আর এ আসনে আওয়ামী লীগ ছাড়াও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় পার্টির দুইজন ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে স্থানীয়দের কথা- প্রার্থী চারজন হলেও মূল লড়াইটা হবে আওয়ামী লীগের আব্দুল মজিদ মন্ডলের নৌকা আর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান রতনের দোয়াত কলমের মধ্যে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নির্বাচনে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ভোটার উপস্থিত করার পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সঙ্গে ভোটযুদ্ধে জয়ী হওয়া- দুটিই এখন মজিদ মন্ডলের সামনে চ্যালেঞ্জ।

দলীয় সুত্রে জানা যায়, আতাউর রহমান রতন বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।   সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস আওয়ামী লীগ থেকে মনোয়ন না পাওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে এ আসন থেকে মনোনয়ন উত্তোলন করেন। পরে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। তারপরও  নির্বাচনের মাঠে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ভাল থাকায় অনেকটা সুবিধাজনক স্থানে রয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে ভোটারদের মধ্যে আব্দুল মজিদ মন্ডলকে নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

মজিদ মন্ডল পাশ্ববর্তী শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি ইউনিয়নের রূপনাই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক ছিলেন। তিনি এ পদ থেকে পদত্যাগ করে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন।

এদিকে, প্রার্থীরা সাধ্যমত নির্বাচনী সভা-সমাবেশ, পোস্টার ও মাইকিং চালালেও নির্বাচনী আমেজ নেই এলাকায়।   তার উপর বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনকে প্রতিহতের ঘোষণা গোদের উপর বিষফোড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ অবস্থায় প্রার্থীরা আছেন মহা টেনশনে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিত করা তাদের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ আসনের অন্য দুই প্রার্থী জাপার (এরশাদ) ডা. আবু বক্কার সিদ্দিক এখন পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারে বেলকুচিতে আসেননি। জাপার (মঞ্জু) অন্যপ্রার্থী আবুল হাসনাত গোফরান বেলকুচির বাসিন্দা হলেও বেলকুচির  ভোটাররা তার দেখা পাচ্ছে না। মাঠে আছেন আব্দুল মজিদ ও আতাউর রহমান।

মুকুন্দগাতী বাজারের ভ্যান চালক ও কামারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাইদ বলেন, ''ভোট দিতে যামুনা। দুই দলের যে কাড়াকাড়ি তাতে ভোট দিতে গেলে আমার যদি কিছু হয় তাইলে আমার বউ-পোলা কে দেখবো?

এ আসনটিতে পুরুষ ভোটার সংখ্যা একলাখ ৫৪ হাজার ৪৭৭ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা একলাখ ৪৮ হাজার ৮০০ জন। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১২১টি। এর মধ্যে ৫০টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/index.php     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.