আজ ওলামা মাশায়েখদের একটি অনুষ্ঠানে সেক্টর কমান্ডার ফোরামের সম্মনীত সমন্বয়ক যুদ্ধাপরাধীদের বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যারা যুদ্ধাপরাধীদের সহাযতা করছে বা তাদের সাথে জোট বেধেছে তাদের বিপক্ষে অবস্থান গ্রহনের জন্য। মহাজোট (এরশাদ একজন যুদ্ধাপরাধী) এবং চারদলীয় জোট প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধাপরাধীদের সাথে জোট গড়েছে। এ কে খন্দকার মহাজোট থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করছেন। বিনীত প্রশ্ন তার বিরুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ফোরাম কি সিদ্ধান্ত নিবে!! অথবা শুধু রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী অব্যহত থাকবে।
১৯৯০ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য দাবী চলছে। অথচ বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও বিচারের প্রক্রিয়াটুকুই শুরু করা যায়নি। বর্তমান সেনা সমর্থিত দাতা দেশ ও সংস্থার আর্শীবাদপুষ্ট তত্বাবধায়ক বা ফখরুদ্দিন সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে আগ্রহ দেখায়। কিন্তু তাদের মনোভাব প্রকাশ হয়ে পড়ে যখন ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন তত্বাবধায়ক সরকারের সদস্য থাকাকালীন বলেন " সরকার কি এতই বোকা যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে। " দুঃখজনক হলো জনাবা মঈনুল হোসেন এবং তার পিতা মাণিক মিয়া মুক্তিযুদ্ধে ব্যপক ভূমিকা রেখেছিলেন।
পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ঘৃনিত এক জামাত নেতা যার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিলো তার সাথে অনায়াসে আলোচনায় বসেন বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা। যে আসামীকে পুলিশ খুঁজে পায়না সে অনায়াসে আলোচনায় বসে প্রধান উপদেষ্টার সাথে!!! সবজান্তা সেনা প্রধান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে কথা বললেও পরবর্তীতে নীরব হযে যান।
সেক্টর কমান্ডার ফোরামের প্রধান সমন্বয়কের মত আমরাও সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই। যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবীকে যারা রাজনৈতিক হাতিয়ারে বিচার করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সচেতন এবং সংঙ্ঘবদ্ধ হতে হবে। যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক তাদের বাধ্য করতে হবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।