স্বাধীনতার পরপরই আমাদের দেশে নতুন একটা গ্রপ তৈরী হয়েছে এক কথায় যাদের নাম দেয়া যায় মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসায়ী। অনেক রাজাকারই স্বাধীনতার পর মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে , সাথে যোগ দিয়েছে আরো কিছু সূযোগ সন্ধানী, আর পথভ্রস্ট। সুযোগসন্ধানীর দল মুক্তিযুদ্ধকে একান্তই নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে নিতে চায় কারণ এর ব্যবসায়িক ভ্যালুটা কম নয়।
সব রাজনৈতিক দল মুক্তিযুদ্ধকে পুজি করেছে ,ব্যবহার করেছে ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে। ক্ষমতায় গিয়েছে কিন্তু এখনো বিচার হয়নি যুদ্ধাপরাধীদের।
অসহায় ,পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধারা চলে গেছে চোখের আড়ালে, জেগে আছে ভন্ডরা। হালের জামাতিরাও এখন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়কে শক্তিশালী করার ইশতেহার নিয়ে মাঠে নেমেছে। মোট কথায় দেখা যাচ্ছে বর্তমানে ভন্ড মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা নেহাত কম নয়, বরং দিনদিন সেটা বাড়ছেই।
এখন শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের কর্পোরেটকরণ। আবেগময়ী ভাষা আর বিজ্ঞাপনের পিছনে রয়েছে কর্পোরেট স্বার্থ।
মুক্তিযুদ্ধ যেন একটা পণ্য!!
ধর্মব্যবসায়ীদের চেয়ে কোন অংশে কম ক্ষতিকারক নয় মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসায়ী । ধর্মব্যবসায়ীদের সাথে সাথে না বলুন মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসায়ীদেরও।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।