কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস
২৭ রুজার পর খুরশিদ এর মাদরাছা ছুটি হৈল । এক সপ্তার জৈন্য । গেরামে এসে সে আমার দোকানে বৈসা থাকে পরায় সারাদিন । অনেক কথা জমা । জীবনের ব্যস্ততায় ঠিকমত কথা বলছি দুইজন অনেকদিন পরে ।
আমার মন উশখুশ করে কুলসুমার খবর জানার লাইগ্যা । একথায় সেকথায় তারে জিগাইলাম কুলসুমার কি খবর , আছে কেমুন । খুরশিদ নিজেও অতভাল জানে না । ও নিজেই থাকে দৌড়ের উপর । কৈল চল যাই ঈদের পরদিন ।
পরে সিনেমা দেখতে যামুন কাননে অথবা দুলালে ।
ঈদের পরদিন খুরশিদ আমি আর ওর ছুড বৈনটা মিলা গেলাম কুলসুমার শ্বশুর বাড়ি । কুলসুমার জামাই এক বাপের এক পুলা । বাপ মারা গেছে । ঘরে কেবল শ্বাশুড়ি ।
মাঝারি ধরণের গেরস্ত পরিবার । ধানের মওসুম লাইগাই আছে সারা বছর । তাছাড়া বাড়িতে এইকাজ সেইকাজ লাইগাই আছে । শ্বাশুড়ি বুড়া মানুষ । বিপদআপদের ব্যাপার স্যাপার আছে ।
বিয়ার দুইমাস পরে জামাই চৈলা গ্যাছে উমান । একা বাড়ীতে শ্বাশুড়িরে ফালাইয়া যাইতে পারে না । বউ-শ্বাশুড়ি দুইজন মিলা বাড়ী খালি কৈরাও যাইতে পারে না । তাই বাপের বাড়ীত যাওন আর হয়না । বুড়ী এমনিতে ঝামেলা করে না কিন্তু কোথাও ছাড়তে চায় না এক দিনের লাইগাও ।
একা বাড়ি খাঁ খাঁ করে ।
দুফরে খেয়েদেয়ে , বেইল পড়লে রওনা দিমু এই ঠিক কৈরা খুরশিদ আর ওর ছুড বৈন ঘুম দেয় । আমার মনের ভিতর কথার পাহাড় জমা । এদিক সেদিক একটু ঘুরাঘুরি কৈরা আমি বৈঠকখানায় গিয়া বসি । কুলসুমার জামাই মাসিক মদীনার নিয়মিত গ্রাহক মনে হয় ।
বৈঠকখানায় অনেকগুলা সাজানো । উল্টাইয়া পাল্টাইয়া দেখতাছি এমন সময় কুলসুমা এসে দরজায় দাঁড়ায় । আবার সেই মায়াময় চোখ । আমি সহ্য করতে পারমু না বৈলা তাকাই না । ভালো আছেন ? এই ছুট্ট একখান কথায় সারা জীবনের ভাগ্যের পুন্দানি যেন চুখের সামনে ভাইসা উঠে আমার ।
মাথা নিচা করে সোফায় বসে গলায় উঠে আসা কান্নার দমক সামলাচ্ছি । সামনে এসে কুলসুমা বলে মাথার চুলতো অর্ধেকও নাই, ঘাড়ের পিছে ময়লা , পাইন্জাবির উপরে দিয়া পিঠের হাড্ডি গুনা যায়। গোসল করেননা ঠিকমত, খাননা ঠিকমত । মরতে চান নাকি ? আমার লাইগাই বৈলা আমারেও মাইরেন না । আমি আর ধইরা রাখতে পারলাম না ।
সব এমন হৈল ক্যান বৈলা উইঠা কুলসুমারে আন্জা কৈরা ধরতে যাই । নীল দেয়া পাইন্জাবির উপর চোখের পানির দাগ । ঝট কৈরা কুলসুমা সৈরা দাঁড়ায় । তারপর দরজা দিয়া বাইরে । দরজার সামনে সিঁড়িতে দাঁড়াইয়া বলে , আমি অন্যের বউ ।
তারে ঠকাইতে পারব না ।
যেই মেয়ে শইল্যের সব অঙ্গ কাইট্যা দিয়া হৈলেও আমারে বাঁচাইতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবো না , সে পরপুরুষের সামান্য ছোঁয়া দিয়াও , নিজপুরুষরে ঠকাইতে চায় না । এই জিনিস কুলসুমারেই মানায় । আয়েশারেও হয়ত মানায় । জানি না ।
মনে মনে বলি আল্লা আমার ভাইগ্যের সবগুলা পুন্দানি ফুল কৈরা ঝরাও তুমি কুলসুমার জীবনে । আমারে আরও লাত্থিগুতা খাওয়াও । আপত্তি করব না । শুধু কুলসুমারে না । চোখ মুছতে মুছতে ভিতরের ঘরে চইলা যায় মেয়ে ।
বিকালে খুরশিদ এর পিচ্চি বৈনডারে বাড়িতে দিয়া আমি আর খুরশিদ ফেনী যাই সিনেমা দেখতে । কাননে হুমায়ুন আহমেদ এর কি জানি একটা ম্যান্দা মার্কা ছবি চলতাছে । দুলালে যাই মুনমুনের ছবি দেখতে । মাঝখানে দুইজনই আলাদা আলাদা কৈরা এস্তেন্জা ঘুইরা আসি ।
আব্বার দোকানরে বেলেন্সে আনতে যাইয়া শইল্যের উপর আসলেই অনেক খাটনি গেছে ।
কুলসুমার মত কৈরা কেউ বলে নাই বৈলা হয়ত এদ্দিন খেয়াল করি নাই । রাইতে ঘুমানোর আগে দোকান থাইকা একটা কাঁচা ডিম খালি একটু নুন দিয়া খাইয়া নেই সেদিন । কে জানি কৈছিল কাঁচা ডিমে ভিটামিন বেশি । সিদ্ধ করেল ডিমের ভিটামিনের বেশিরভাগই আগুনে নষ্ট হৈয়া যায় । আইজকা আবার সিনেমা হলে একবার ফিরা আইসা সন্ধ্যায় আরেকবার এস্তেন্জায় গেছি ।
মাসগুলা কাটতে থাকে নিরানন্দ । এইভাবে ধুঁকে ধুঁকে রক্ত ফানি কইরা আর কত টানমু এই দোকানরে । ১১ জনের ঘর । দোকানের যেই লাভ তাতে ঘরের খরচ চালাইতেই অবস্থা কাহিল । বড় ভাই ভোদাই ।
সাইঝা ভাই উড়নচন্ডী । আমার উপরের টা দরবেশ । মসজিদের কিছু লাগলে নিজের বেতনের ট্যাকাডা আগে বাড়াইয়া দেয় । একমাত্র মাইঝা ভাই কিছু কাজে লাগার মাত সাহাইয্য করে । উপায় ভাবতে থাকি আমি কয়েকদিন ।
উপায় একখান মোটামুটি পাই । তয় যেই ধকল , সেইটা সামলাইতে পারমু কিনা সেইটা নিয়া কয়েকদিন ভাবি । তারপর ঐটাই ফাইনাল কৈরা ফেলি । নয় মাস থাইকা ফরিদ ভাই আবার চৈলা গেলেন । থাকার কথা ছিল ছয় মাস ।
ঘুরতে ঘুরতে বিভিন্ন ছুতানাতায় আরো তিনমাস থাইকা গেলেন । খালেদারে ফালাইয়া যাওনের যন্ত্রণা আমিও বিলক্ষণ বুঝি । যাওয়ার আগে ফরিদ ভাই একখান বুদ্ধি দিয়া গেছিলেন । রমজানের সিজনে বিভিন্ন মাদরাছা থাইকা মইধ্যপ্রাচ্যে লুক পাঠানো হয় । মাদরাছার ফান্ড কালেকশনের জৈন্য ।
যাওয়া আসা থাকা খাওয়ার খরচ বাদ দিয়া যেটা থাকবো তার ৪০ ভাগ নিজের । ৬০ ভাগ মাদরাছারে দিতে হৈব । যেনতেন মাদরাছা দিয়া অবশ্য হৈব না । মোটামুটি পরিচয় আছে এমন কোনো মাদরাছা হওন লাগবো । খুরশিদ কৈছে অর মাদরাছার থাইকা কাগজপত্তর ব্যবস্থা কৈরা দিতে পারব ।
তয় যাওয়া আসা থাকা খাওয়ার খরচ আগে থাইকা দিতে পারব না । ঐগুলা নিজে ব্যবস্থা কৈরা যাইতে হৈব । পরে মোট কালেকশন থাইকা সেইগুলা আমরা কাইটা নিমু । লাখখানেক ট্যাকার কারবার ।
তয় আইজকাইল অনিশ্চয়তারে ডরাই না আমি ।
অতি লুভের কারণে আছাড় খাওনের সম্ভাবনা আছে । সেইটারেও ডর লাগে না । এমনিতে যেইভাবে আছি, আর কত খারাপ হৈব আর । খারাপ এখন আর গায়ে লাগে না । বড় ভাইরে পাঠাইমু বৈলা ঠিক কৈরা ফেলাই ।
দোকানে ঢুকার পর থাইকা আস্তে আস্তে আমিই এখন ঘরের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী । হাসন আসে যদিও এইরকম শব্দ একা একা মনে করলে । তারপরও কাউয়া কি পাখি না ? বড় ভাই এখন আমার কাছ থাইকা পরামর্শ নেয় মাঝে মইধ্যে । আব্বা তাবলীগ নিয়া আছেন । আমি দোকানে ঢুকাতে পাওয়ার চৈলা যাওয়া নিয়া উনার তেমন বিকার নাই ।
বরং অনেকটা খুশিই ।
বড় ভাই একটু গাঁইগুই নয় ছয় করেন । তারপর বুঝ মেনে যান । সমস্যা শেষতক লাখখানেক ট্যাকা জোগাড় করা নিয়া । নিজের সাহসে নিজেরই একটু আচাইর্য লাগে ।
হাতে ১০ ট্যাকার ১০ টা নুট নিয়া আমি এক লাখের পেলান কৈরা ফেলাই ।
গেরামের মাদরাছার মোহতারাম ছাবের কাছে যাইতে হৈব । ছাত্রথাকাকালে মাদরাছার ফান্ড নিয়া একটু ঘাটাঘাটি করনের অভিজ্ঞতা আছে ।
------------------------------------------------
কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-৭ Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।