ডুবোজ্বর
৩১০১০৬
অর্ধেকছায়া অর্ধেকরোদে হেঁটে হাঁটি
পান করি বাতাসের সোনালীবিমূর্ততা
আমি নিজের মধ্যে কীযে দেখেছি
কীযে দেখেছি
জলের স্তর বিভেদ করে তারপরে
দেখেছি অক্ষয়শরীর কোমলের
আমার মধ্যে রূপোলিঘাসবন
সূর্যের আলোয় লজ্জানত
তাই বলে কোমলতা শিশির হয় নাকি
কীযে শান্তি ছিলো দূরাগতপ্রেমিকার চোখের স্তব্ধতায়
একটা ঝিল বুনে দিয়ে তার হাতের কোরকে
আমি ছেড়ে গেছি সব
ছেড়ে গেছি বৌদ্ধবিহার
পাহাড়িপথ
শুকনোপাতার চাদর
অমৃতচুম্বন
দুইটা লালচোখ সিংহ প্রহরারত
অর্ধেকছায়া বুকে
বাকিটা রোদে জড়িয়ে তারপরও
আমি ছেড়ে যাই অবিরত
-------------------------------------------------------------
৩১০১০৬-২
ঝিমঝিম চোখে তাকিয়ে ক্লান্ত
কুকুর শুয়ে আছে নবীনধূলির আঁচলে
এইআঁচল পাতা আছে গতজন্মের শরীর হতে
স্তন তার বাড়ন্তশীতের কুসুম
শোয়া আছে আলোর মলিনসারথি
নিতম্বে অপার নৈঃশব্দ্য ধরে সে
বুকে হেঁটে পার হয় কাঁটাতৃণমরুতীর
কুকুর শুয়ে আছে অন্ধঅধীর
এই অধীরতা গ্রাম ছেড়ে চলে যাবে ভোরে
গ্রামেরই পথ ধরে
অন্ধতা যাবে না
-----------------------------------------------------------------------
৩১০১০৬-৩
আমরা জটিলবাক্যে কথা বলি
আমি পারি না
সহজকথায় মোমবাতি জ্বালি
ক্ষয় হওয়া দেখি ধোঁয়াহীন
বাতিদান খুঁজি তার নিখাদ অন্ধকারে
ক্ষয়িষ্ণুআলোর মড়কে সাজাই অনাবিলউপহাস
একদিন উপহাস আসবে নদীজলে ভেসে
ভেসে যাওয়া জলে হাঁসের পালক ভিজে যাবে
অমৃতআষাঢ়ে ভিজে ক্ষয় হবে কচুপাতার বন
আর নিজেকে ভালোবেসে আমি
নিজেরই জন্যে জমাবো একফোঁটা ঘৃণা
কেউ জানবে না
আমাদের বৃত্তের বাইরে হয়তো আমিই থাকি
কেউ জানে না
--------------------------------------------------------------------
৩১০১০৬-৪
সুদিনের ঘরে সমতলরাতের বিভা
ছুঁয়ে গেছে বাড়ন্তশৈশব গোধূলির
গোধূলি সন্ধ্যাকালে দগ্ধ করে সন্ধ্যার নিরাসক্তঅধর
জানে না অপমৃতরঙের ললিতকণ্ঠস্বর
ওইস্বরে বেজে যাবে নাকি দানবীয়ঘড়ি
ঘড়িটির একটিমাত্র কাঁটা
বিলুপ্ত অন্যদুটি ডানাঅলা উড়ে গেছে
আকাশ শেষ হলে ডানাঅলা ঘড়িকাল থমকে থাকে
জড়ভুক মহাকাল
কারো মুখে ছিলো না শব্দকথা
সুদিনের ঘরেই ছিঁড়ে গেছে সকাতর সকলগীতা
-----------------------------------------------------------------
৩১০১০৬-৫
গলির অন্ধমধুকর সুখেই থাকে
দিনে রাতে পরিতৃপ্তবাঁশির কবচ পরে
পার করে সময়ের নীরক্তচর
চরে চরে উষ্ণবালুকায়া
খেলা করে রোদ্দুর
কী আসে যায়
সে খুব সহজেই গলিটিকে নদী বানায়
নদীজল মধু হয়
একধারে কাশবন শাদাকালো রঙ ধরে কাঁপে
মধুকর ছুঁয়ে তাহা কাঁপে উত্তাপে
---------------------------------------------------------------------
৩১০১০৬-৬
কারা কবে দেখতে চেয়েছে রোদের মূর্তিমান শান্ত চিল
তাদের চোখে ঝলসে আছে আলোকিতদিনের খরা
খরাতে প্রথমআষাঢ় এলে শীততপ্তশরীর ফুরোবে ভেবে
যারা গুটিয়ে নিয়েছিলো সনখ হতের দঙ্গল
তাদের হাতের তালুতে ধাতবপাথর হয়েছে শরীর
বিশীর্ণবনের একটিপ্রান্ত সাক্ষি রেখে
ওইপ্রান্তে বুঝি তারা এবং তারা মিশে যাবে
সত্যিকার চিল আর খরামৃতঝিলের কান্নার জলে
-----------------------------------------------------------------------
৩১০১০৬-৭
নিশ্চুপ চলে যাবে ওইধারে ঘটমানগাছের দেয়াল
দেয়ালে জংধরা সবুজ
সবুজের খামে উল্লসিতবাসনা নিঙড়ে আনে ঝড়ের ললিতগতি
গতিপথে যাকিছু উড়ে ঘুড়ি নয়
চিলও নয়
চোখ ধারন করে একটিমাত্র ভয়
ভয়ের নাম পাথর
তারপর
বাতাসের ঘাম শুধু একদিনই নিয়েছিলো রোদের শরীর
একদিন সবকিছু ছিলো অলসতা মৃত্যুক্লান্ত ধীর
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।