আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
বাধ্য হয়েই বার বার অতীত ইতিহাসের কথা বলতে হয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পূর্বে শেখ মুজিব আক্ষেপ করে বলেছিলেন "পশ্চিম পাকিস্তানে চালের মণ ২০ টাকা আর আমার এখানে ৪০ টাকা, আমি ক্ষমতায় গেলে এটাকে ২০ টাকা করব"। এরপর দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে ৭১এ স্বাধীনতা অর্জন করলাম। কিন্তু দেখা গেল সেই ১৯৭২ হতেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম পাগলার মত বৃদ্ধি পেতে লাগল। ১৯৭২-৭৩ সালের তুলনায় ৭৪ সালে খাদ্য ও ফসলের ফলন বেশী হয়েছিল(সৈয়দ আবুল মকসুদ, প্রআলো ৮ই জানুয়ারী ২০০৮)।
কিন্তু তারপরেও শেখ নাসের, শেখ মণি ও গাজী গোলাম মোস্তফা নামক তৎকালীন মাফিয়া গড ফাদার গং ও তাদের চামচাদের মজুদ, কালো বাজারী, র্দূনীতি এবং ভারতের পাচারের কারণে ১৯৭৪ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে র্দূভিক্ষ দেখা দেয়। প্রায় ৬ হতে ১০ লক্ষ মানুষ অনাহারে মারা যায়। স্বাধীন বাংলাদেশী হিসেবে আমাদের লজ্জা যে পাকিস্তান আমলে র্দূভিক্ষ হয়নি। সর্বশেষ এই অঞ্চলে র্দূভিক্ষ হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় ১৯৪৩ যখন জাপান হামলা চালায়। শেখ মুজিব এই র্দূভিক্ষের পূর্বে সিভিল প্রশাসন ও পরে সেনাবাহিনী দিয়ে বেশ কিছু চামচাদের গ্রেফতার করলেও পরে ঐ নাসের গংদের চাপাচাপিতে তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হন;
Sheikh Mujibur Rahman, the Bangladesh Prime Minister, today assured me in an interview that members
of his own party, the Awami League, would not be spared in the current army-led operation operation
against smugglers, profiteers and holders of unauthorizes weapons.
"If the people in my party are found guilty they will get treble punishment- from the party, from the law
and from me" Shaikh Mujib declared.
Source: Michael Hornsby, "Bangladesh drive 'not matial law'", The Times,pg 6, Saturday, April 27, 1974
----------
Many observers doubt the effectiveness of the operation because of the depth of the Awami League's
own involvement in various forms of corruption profiteering, embracing not merely the rank and file but
also senior party members. Among them, it is widely alleged, are close relatives of Shaikh Mujib himself.
Source: Michael Hornsby, "Bangladesh drive 'not matial law'", The Times,pg 6, Saturday, April 27,
1974
-----------
In most of the nationalized industries, the administrators appointed by the government were AL
supporters who had no knowledge of either a socialist or capitalist system. The administrators grew
rich over night by smuggling machinery and law materials to India. While the government nationalized 8
5% of the industries and 90% of the foreign trade, the distribution of the home produced and imported
goods were carried on by "dealers" who were issued "permits" and "licenses." The major portions of
the licenses were given to AL workers who sold their licenses to professional traders. This provided with
them 'unearned income.' most of which were not invested in productive enterprises.
Source: Talukder Moniruzzaman, "Bangladesh in 1974: Economic Crisis and Political
Polarization", Asian Survey, Vol 15 No. 2, Feb 1975.
-----------
However, as most of the persons arrested belonged to the AL and its affiliated organizations, district level AL leaders put pressure on the government to terminate the
operation. Many of the arrested persons were released and the pace of the army operation was gradually
reduced.
Source: Talukder Moniruzzaman, "Bangladesh in 1974: Economic Crisis and Political Polarization",
Asian Survey, Vol 15 No. 2, Feb 1975.
ফলে যে হিমালয় পর্বত সম জনপ্রিয়তা ৭১ পর্যন্ত ছিল সেটা বিশাল ধ্বস নামে।
এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে শেখ হাসিনা বড় গলায় বলেন তথা ওয়াদা করেন তারা নির্বাচিত হলে এক কেজি চাউল ১০ টাকা করে খাওয়াবে;
http://www.youtube.com/watch?v=k2nPkR0z784
এরপর নির্বাচিত হয়ে বিগত জোট সরকারের আমলের ১৭ টাকা কেজি চাউলের চেয়ে কম মূল্যতো দূর ফখরুদ্দিন সরকারের সময়কারও মূল্যও কমাতে পারেনি। কিন্তু দিনকে দিন জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধিই পেয়েছে। এরপর গ্যাস ও জ্বালানির বিষয়ে সংসদের অনুমতি না নিয়েই ক্ষতিকারক চুক্তি করা হয়েছে কানকো-ফিলিপস ও রুশ গ্যাজ প্রমরে সাথে।
স্থায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ ২০০৯-১০এ নেয়াতো দূর বিদ্যমান পুরোনো কেন্দ্রও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। ফলে ১৭০০ মেগা ওয়াট বিদ্যু হতে বঞ্চিত হচ্ছে জাতীয় গ্রিড।
উপরন্ত শুরু হতেই কিভাবে নিজেদের লোকদের কুইক রেন্টাল বিদ্যুতের লিজ দেওয়া যায় তার পায়তারা চলে ২০০৯-১০। দেখা যায় ফারুক খানের সামিট গ্রুপ এবং অন্য আওয়ামী ভক্ত ওরিয়ন গ্রুপকে ১২৫০ করে কুইক রেন্টার বিদ্যুতের লিজ দেয়। ফলে ২০১১ সালেই এর জন্য রাষ্ট্রকে ২০ হাজার কোটি টাকার গচ্চা দিতে হয়। আর একতরফা কুইক রেন্টালের কারণে যে মানুষ বিদ্যুৎ বিল দিত ১ টাকা সেটা এখন ৩-৪ টাকা দেওয়া লাগে। অথচ আয় ঐ অনুযায়ী বাড়েনি।
এরপর দেশের জেনুইন ছোট ব্যাবসায়ীরা রাষ্ট্রীয় ব্যাংক হতে কাঙ্খিত ঋণ পায় না। যদি চায় ১০ লক্ষ তবে মিলে ৩-৪ লক্ষ। যদি ঋণ গ্রহীতা বলে এত কম কেন, তখন ব্যাংক থেকে বলা হয় আপনাকে সব দিলে বাকীদের ঋণ দেওয়া যাবে না। অথচ সরকারের প্রভাবশালীরা গোপনে গোপনে কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে কারো সামর্থ্যের চেয়ে তথা অযোগ্য ব্যাক্তিকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়ে বসে আছে। হল মার্কের মোট সম্পত্তি ৩০০ কোটি টাকার মত হলেও তাকে সোনালী ব্যাংক ৪০০০ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে হাসিনার পছন্দের ব্যাংক পরিষদ।
এইভাবে রাষ্ট্রের সোনালী ব্যাংক সহ জনতা, অগ্রণী সবাই খেলাপী ঋণে ভরে যাচ্ছে। কিছু ধণী কুচক্রী মহল এই বিষয়ে ফায়দা লুটছে। এর জন্য হাসিনার উপদেষ্টা মোদাচ্ছের সরাসরি জড়িত।
১৯৯৬ এর মত ২০১০ এও শেয়ারবাজারে লুটপাট চালিয়েছে হাসিনার ঘনিষ্ঠ সালমান এফ রহমান, ফারুক, লোটাস কামাল গং। এবার ৬০ হাজার কোটি নয় প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে।
পথে বসেছে ৩৩ লক্ষ শেয়ার ব্যাবসায়ী। অর্থমন্ত্রী মুহিত কি বিচার করবেন উল্টা সাধারণ শেয়ার ব্যাবসায়ীদের বলেন তারা ফটকাবাজ। যেমন হল মার্কের ৪ হাজার কোটি টাকার বিষয়ে বলেন কোন ব্যাপারই না।
তার সুরুঞ্জিতের গাড়ীতে ৭০ লক্ষ ধরা পড়া এবং পদ্মা সেতু নির্মাণ বিষয়ে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেনের র্দুনীতির বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হাত রয়েছে। এদেরকে দুদক নিরাপরাধ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে দিছে।
এমনকি হাসিনা আবুল হোসেনকে দেশপ্রেমিক উপাধি দিয়ে দিছেন।
তাই উপরোক্ত বিষয়ে বলা যায় ১৯৭২-৭৫, ১৯৯৬-২০০১ এবং বর্তমান আমলে আওয়মীলীগ মানেই চোর-বাটপার, প্রতারক, র্দূনীতিবাজ ও জুলুমবাজ শাসক। এরা ক্ষমতায় আসলেই সব জায়গাতেই হাহাকার ও হতাশার সৃষ্টি হয়। এই কারণেই দেশের সাধারণ মানুষ খুব কষ্টে আছে। আজকে তারা এতদিনের জমানো সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে;
Click This Link
এটা বিএনপি আমলেতো দূর স্বৈরাচার খ্যাত এরশাদের আমলেও এত র্দূদশা দেখা যায়নি।
এরশাদ পর্যন্ত লজ্জা পান।
২০০৮ এর নির্বাচনী ইশতে হারে হাসিনা ও তার আলীগ ঘোষণা করেছিল যে তারা ৭১এর যুদ্ধাপরাধের বিচার করবে। তাই ক্ষমতায় এসে যদিও যুদ্ধাপরাধের বিচারের নাম না বললেও এটাকে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ২০১০-১১তে। এখন এই বিচার প্রক্রিয়া সুষ্ঠ কিংবা পক্ষপাত দুষ্ট সেই বিতর্কে যাব না। তবে আলীগ সমর্থকদের দাবী অনুযায়ী এই ICTতে বিচারের জন্য ধৃত সবারই ফাসী তথা মৃত্যুদন্ডের দাবী ছিল।
কিন্তু দেখা গেল পলাতক মাওলানা আযাদের মৃত্যুদন্ডের রায় হলেও তারচেয়েও বেশী খুনের অভিযোগে জামাতি নেতার যাবজ্জীবন হল। এই রায়ের আগে আমরা দেখেছি জামাতের ছাত্র সংগঠন শিবির হুমকি দিয়েছিল যে এই প্রহসনের বিচার(তাদের ভাষায়) বাতিল এবং আটক নেতাদের মুক্তি না দিলে তারা কঠোর কর্মসূচীতে চলে যাবে। শিবির এও বলে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে না নিতে। এই সমস্ত ঘটনা বিবেচনায় নিলে আমার মত অনেকেই এমনকি আলীগের অনেক সাধারণ সমর্থকগণ বলে এটা প্রহসনের রায় তথা শিবিরের হুমকিতে মৃত্যুদন্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন হয়েছে।
একারণেই বলা চলে চুরি, র্দূনীতি ও জুলুমের শাসনের ফলে হাসিনার আলীগ সরকারের নৈতিক ভিত ধ্বংস হয়ে গেছে।
তারা এখন সংগঠিত শিবিরের সাথে সংঘর্ষে যেতে ইচ্ছুক নয়। কারণ জনগণ হাসিনার ফেভারে নাই। আজকে জনগণ হাসিনার পক্ষে থাকলে তার কঠোর হওয়াই লাগত না কারণ শিবিরই এই ধমকি দিতে সাহস পেত না। বরং হাসিনা ও আলীগের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বই আজকে শিবিরকে এতদূর আসতে সাহায্য করেছে। যখনই উপরোক্ত অনিয়ম ও র্দূনীতির কথা বলা হত হাসিনা গং বলত যুদ্ধাপরাধীদের ষড়যন্ত্র।
এমনকি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা তথা ২০০৯ এর পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহকেও জামাতীদের কারসাজি বলেও প্রথমে প্রচার করা হয়। তাই জনগণ আজকে হাসিনা গংদের প্রত্যাখান করেছে। এখন যখন সবদিকে হতাশা তাই হাসিনার কেবিনেটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকু বলছেন;
এ সময় প্রতিমন্ত্রী জামায়াতের প্রশংসা করে বলেন, জামায়াতের তরুণ কর্মীরা নিজামী, মুজাহিদের চেয়ে ভালো।
Click This Link
মজার কথাহ ল ICTর বিরুদ্ধে কোন সভা-সমাবেশ ও মিছিল আইনগত ভাবে নিষিদ্ধ করেছে হাসিনার সরকার। এতদিন শিবির এই ICTর বিচারের জন্য আটক নেতাদের মুক্তি দাবী করতে গেলেই পুলিশ, RAB বাধা ও লাঠিপেটা করত।
যদি ঐ আইন বহাল থাকে তবে কেন আজকে টুকু শিবিরের প্রশংসা করছেন?
তাই বলি যে এই ICTর বিচার করতে স্বরাষ্ট্র ও আইন দুই মন্ত্রণালয়ই যথেষ্ঠ। তাই বাকী মন্ত্রণলায় দেশ সুষ্ঠ ভাবে না চালিয়ে অনিয়ম, র্দূনীতি, লুটপাট এবং জুলুম করবে আর জনগণ সেটা মুখ বুঝে সহ্য করে সরকারের সাথে থাকবে এমনটা একটা চরম আতেল ও বলদই ভাবতে পারে। আমরা ৭১এ স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি শুধুই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য নয় বরং পূর্ব পাকিস্তানের চেয়ে আরো ভাল অবস্থার জন্য। এখন সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়ে যদি "ভিক্ষা চাই না কুত্তা সামলান" অবস্থা হয় তখন জনগণও সরকারকে প্রত্যাখান করে। তাই আওয়ামীলীগের সাধারণ সমর্থকদের উচিত কেবল এই ICT নয় বরং পুরো দেশের অর্থনীতি ও জনগণের জন্য যেটা আবশ্যিক সেই সুষ্ঠ বিষয় গুলোর জন্যও নিজের দলকে চাপ দিতে হবে।
নিজেরা না শুধরে শুধুই জামাতের দোষ বের করবেন তাতে জামাতের কিছুই হবে না বরং উল্টা আলীগই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তখন দেখা যাবে পুরো দলই জামাতের প্রশংসায় মেতে উঠবে। কারণ এই আলীগই শিক্ষা দিছে রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।