আমার ভিতর তুমি থাকো আমি কোথায় রই, আমি না থাকিলে তোমার থাকার জায়গা কই?
ঘটনাটা ঘটেছিল বেশ কয়েকদিন আগে। ঈদের পরের দিন ঢাকায় চলে এসেছি। তার দুইদিন পরে শুনলাম ঘটনাটা। ঢাকার আরামবাগে অবস্থিত ভন্ড পীর দেওয়ানবাগী'র বাবে রহমত থেকে মাইকে এলান হচ্ছে চাঁদের বুকে দেওয়ানবাগীকে দেখা যাচ্ছে। এলানে বলা হয়েছে সবাই যেন চাঁদের দিকে তাকিয়ে দেওয়ানবাগীর চেহারা মোবারক দর্শন করে।
ওই দিন মতিঝিল এলাকায় আলোচ্য বিষয় ছিল দেওয়ানবাগীর চেহারা চাঁদের বুকে দেখা যাওয়া। না, আমাদের প্রচলিত মিডিয়ায় এই ঘটনাটি সম্পর্কে কোনো আলোকপাত কিংবা খবর ছাপা হয়নি। তার দিন কয়েক পরে আবার নতুন ঘটনার জন্ম। দেওয়ানবাগ শরীফ থেকে একটি লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। যাতে লেখা রয়েছে আলোচ্য দিন যারা দেওয়ানবাগীকে চাঁদের বুকে দেখেছে তাদের নাম ঠিকানা লিখে পাঠানোর জন্য।
লটারীর মাধ্যমে একজনকে সিংগাপুর ভ্রমনের সূবর্ণ সুযোগ দেয়া হবে। ব্যস এইটুকুই।
আরামবাগে দেওয়ানবাগ শরীফের কাছাকাছি ৩টি বড় মসজিদের অবস্থান। টিনএন্ডটি কলোনী মসসিজ, ফকিরাপুল জামে মসজিদ, বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনী মসজিদ। তিনটি মসজিদেই মুসল্লীদের সমাগম অনেক বেশি।
দেওয়ানবাগ থেকে বয়ানকৃত এলান তিনটি মসজিদের ইমাম সাহেবেদের কানে এসেছে। কিন্তু তারা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে তার কাছাকাছি হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম। ইসলাম নিয়ে এত বড় একটি অপপ্রচার সম্পর্কে বায়তুল মোকাররমের খতিব সাহেবের কাছ থেকেও কোনো রকম মন্তব্য পাওয়া যায়নি। অথচ একই দিন বায়তুল মোকাররমের মুসল্লীদের কাছেও এই খবরটি ছিল হটকেকের মতো।
বিমানবন্দর এলাকায় লালন-এর প্রতিকৃতি মোল্লাদের হুমকির মুখে সরকার সরিয়ে ফেলেছে। গত কয়েকদিন এটা নিয়ে মিডিয়াসহ প্রায় সকলেই বেশ হৈচৈ করছে। কিন্তু একটি কথা মোল্লাদের উদ্দেশ্যে বলতে ইচ্ছে করে, লালন থাকলে তোদের জাত যায় আর যখন দেওয়ানবাগীকে চাঁদে দেখা যায় এবং সেটা মাইকে এলান করা হয় তখন তোরা খানকির পোলারা কই থাকিস। পারিস না ইসলাম নিয়ে এই ভন্ডামীর অবসান ঘটাতে। ও, খানকির পোলা বললাম বলে তোরা আবার খুব বেশি ক্ষেপে যাবি।
কিন্তু বিশ্বাস কর এই একটি শব্দ ছাড়া তোদেরকে আমি আর কিছু বলতে পারছিনা। ধর্ম নিয়ে খেলিস তোরা তাই তোদের জন্ম নিয়ে আমার সন্দেহ হয়। এবার তোদের মতো শুয়োরের বাচ্চাদের হাত থেকে ইসলামকে রক্ষা করার জন্য হাজারো লালনের প্রতিকৃতি বসবে বাংলার বুকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।