সকাল ১১ টা
ঢাকা যাব। যাবার কথা ছিল বৃহস্পতি বার। আমি সব সময় দেরিতে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে দেখি বাংলাদেশের খেলা। তাই ঢাকা যাওয়া বাদ দিয়ে খেলা দেখতে বসলাম।
বিকেল ৫ টা
খেলা শেষ। নদীর তীরে প্রচুর মানুষ। তাই হেটে ব্রিজ পার হতে হল। রাতে ঢাকা যাওয়ার জন্য ট্রেনই ভাল। কিন্তু কোন টিকিট পেলাম না।
রাত ১০ টা ৩০
দারিয়ে যাবার সিদ্বান্ত নিলাম। বসেছি ট বগিতে। এখনো কিছু সিট ফাঁকা আছে। কিন্তু সামনের স্টেশনে সিট ছেরে দিতে হবে। আমার ডান পাশে বসেছে মুক বধির একটি ছেলে,
উলটো দিকে ডাক্তার একজন, বামে অন্য দিকে বসেছে মুক বধিরের বন্ধু , অন্য একজন মহিলা।
আমাদের কারও সিট নেই।
মুক বধিরদের দেখে বেশ অবাক হলাম। এরা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ এ খুব চালু। সবাই ওদের লক্ষ্য করল। ওদের টিকিট লাগে না।
আইডি দেখালে চলে।
ডাক্তার ভদ্রলোক চুপচাপ আছেন। একটু পরপর পাশের মেয়ে্টির দিকে তাকাচ্ছেন। ওনার সাথে কথা বলছি, হঠাৎ কে যেন ডাকলো, আমি বুজলাম সময় হয়ে গেছে। সিট ছেরে উঠে..............................।
রাত ১২ টা ৩০
হাটছি আর হাটছি............এক জায়গা হতে অন্য জায়গা। আরো মানুষ উঠছে। কোথাও কোন সিট খালি নেই। অনেকে তিনজন তিনজন করে বসেছে। আমি চিন্তা করছি আমিও এভাবে বসব নাকি।
কিন্তু কাওকে অনুরোধ করতেও ইচ্ছা করছে না............।
রাত ১ টা ৩০
ঘুরে ফিরে কেবল আগের জায়গায় ফিরে আসছি। অনেকে কারড খেলছে। অনেকে রেলের স্টাফদের বলে জায়গা ম্যানেচ করে নিয়েছে। আমি কেবল ভবঘুরের মত ঘুরছি ( একা না, আমার মত অনেকেও ঘুরছে ) মনে হয় এক আঙ্কেলের আমার অবস্থা দেখে দয়া হল।
তিনি তার পাশে বস্তে বললেন। বসলাম। পড়ালেখার কথা জিজ্ঞেস করলেন। আরও অনেক কথা হল। আমার বেশ খারাপ লাগলো যে ওনি কত কষ্ট করে রাতে না ঘুমিয়ে যাচ্ছেন, পরনের কাপড় জুতার অবস্থা খুব খারাপ কিন্তু ওনি বেশ শিক্ষিত, ছেলে মেয়েরা পড়াশুনা করছে।
ওনাকে আগের কথা জিজ্ঞেস করলাম ( আমি পুরোনো কাউকে পেলে তখনকার কথা জিজ্ঞেস করি )
মনে একটা প্রশ্ন জাগলো, আমাদের বাবা -মা রা যে এত কষ্টো করছেন, প্রতিদানে আমরা কি দিচ্ছি? দেশে এত ভাল সুযোগ পাচ্ছি, দেশকে কি দিচ্ছি? পড়ালেখার কথা বাদই দিলাম,
আর কি করছি? অন্যায় হলে চুপ করে থাকি, নিজেদের দেশের ইতিহাস জানি না, সংস্কৃতি
সম্পরকে কিছু নাই বা বললাম। আসলে আমরা গোলক-ধাঁধায় ঘুরছি...........................নিজেদেরকেই তা চ্ছিন্ন করতে হবে........................তা না হলে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।
( this is my 1st blog. sorry to disturb u guys by this crappy writing )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।