Click This Link
অগাষ্ট 13, 2008 by naushadzaman
হাবি জাবিঃ অলিম্পিকের ম্যাডেল
এইবার ভেবেছিলাম অলিম্পিক হয়ত তেমন দেখা হবেনা। এমনি রচেস্টারে (যেইখানে অামার বিশ্ববিদ্যালয়) এখনও টেলিভিসন নাই, এই জন্য টেলিভিসন দেখা একদম ই হতো না। ইন্টারনেটে হয়তো ইউটিউব, অথবা গুগোল ভিডিও ই দেখা হতো বেশী। অার এই খানে এসে, যেই বাসায় থাকি, সেই খানে একটা টেলিভিসন অাছে, সেইটাও এতো দিন বেশী দেখা হয় নাই। কিন্তু তিন দিন অাগে একটা নতুন টেলিভিসন এসেছে বাসায়।
অামার বাড়ীওয়ালি, যেই খানে অামি সাবলেট হিসাবে ভাড়া থাকি, উনাকে অামি গ্র্যান্ডমা ডাকি [বাংলায় বল্লে নানী বলি ঃ)]। খুবই ভালো একজন মহিলা, ৭৮ বছর বয়স এবং ২ কুকুরের মালিক এবং অামার খুবই পছন্দের একজন মানুষ। উনাকে নিয়েই একটা লেখা লিখার ইচ্ছা অাছে সামনে কোন এক দিন। যাই হোক, যা বলছিলাম, নানীর পুরানো টেলিভিসন টা নষ্ট হওয়াতে বাসায় একটা নতুন টেলিভিসনের অাগমন হয়েছে, একটা ৩২ ইন্চি হাই ডেফিনিসন এলসিডি টেলিভিসন । খুব ভালো সময়ে নষ্ট হয়েছে পুরানো টা, অলিম্পিক টা উচ্চ ডেফিনিসন দিয়ে উপভোগ করা হচ্ছে!
এমনি এইবার এর অলিম্পিক টা একটু অন্যরকম লাগছে।
যেই দেশের মাটিতে বসে দেখছি, সেই দেশ অনেক স্বর্ণ পাচ্ছে অথবা যেই দেশের অনেক মানুষ দেখি (চাইনিজদের), সেই দেশ ও অনেক স্বর্ণ পাচ্ছে। অাবার সেই দিন অারেকটা পরিসংক্ষাণ দেখছিলাম, জার্মানী হল সর্ব সময়ের হিসাবে পঞ্চম সর্বৌচ্চ ম্যাডেল এর অধিকারী দেশ। তাই ম্যাডেল পাওয়া টা পানিভাত মনে না হলেও, একটাও ম্যাডেল বাংলাদেশের কপালে জোটে নাই , শুনে বেশ অবাক ই হয়। যাই হোক, গত রবিবার রাতে, এক বন্ধুর সাথে গল্প করছিলাম, তখন সে বাংলাদেশের এই করুণ কাহিনী শুনে যখন অবাক হচ্ছিল, তখন আমি এর পিছে যুক্তি খুজছিলাম। প্রথমটা আামাকে চিন্তা করেই বোল্লাম, আমরা খুব অলস জাতি।
তারপর এক একটা করে চিন্তা করে বোল্লাম, আমাদের শারীরিক গরণ এতো ভালো না যে আমরা কোন খেলাই সর্বসেরা হব; এবং আমাদের আবহাওয়াও একটা বড় ব্যাপার, এই গরমে এবং এই আদ্রতায়, কারোর পক্ষে অনেক সময় ধরে কিছু খেলা খুব সহজ না। আমাদের প্রতিবেশী, একশ কোটি মানুষের দেশ ভারতও তেমন ম্যাডেল ট্যাডেল পায় নাই। সুতরাং, আমাদের শরীরের গরণ হিসাবে, আমরা খুব খারাপ না!
যাই হোক, পরের দিন ম্যাডেল এর হিসাব দেখতে গিয়ে দেখলাম, ভারত একটা স্বর্ণ ম্যাডেল পেয়েছে! একটু ঘাটা ঘাটি করে দেখলাম, এইটা ভারতের প্রথম ব্যাক্তিগত স্বর্ণ ম্যাডেল এবং স্বর্ণটা পেয়েছে অভিনাভ বিন্দ্রা ১০ মিটার এয়ার রাইফেল এ। কেউ আগ্রহী হলে অভিনাভের ব্যাক্তিগত ব্লগে ঘুরে আসতে পারেন . তার লিখা পড়ে বেশ ভালই লাগলো। পাশের দেশের একজন প্রথম ব্যক্তিগত স্বর্ণ পেয়েছে, এতে আমি তাদের জন্য খুশী আার এইটা চিন্তা করে হাসছিলাম যে, অামাদের দক্ষিণ এশিয়ার মানুষরা আসলেই দুর্বল, একটা স্বর্ণ পেল, তাও দারায় দারায়!
নওশাদ
১৩ আগস্ট ২০০৮
পালো আল্টো, ক্যালিফর্নিয়া
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।