জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই
আমার এক বন্ধু কথা প্রসঙ্গে বললেন ভ্যাটের কথা। তিনি বললেন, আমরা কেউ ভ্যাট দেই না। তার কথায় প্রথমে ভ্যাবাচ্যাকা খেলেও পরে ভেবে দেখলাম তার কথা সত্যি।
ভ্যাটের নিয়ম হল, কোন ক্রেতা ১০০ টাকার পণ্য বা সেবা কিনলে ১৫ টাকা ভ্যাট দেবে। ১৫ টাকা ভ্যাটের বিনিময়ে বিক্রেতার কাছে থেকে সে ভ্যাটের রশিদ গ্রহণ করবে।
এভাবে শতকরা ১৫ টাকা ভ্যাট দেয়ার নিয়ম। এই ভ্যাট বিক্রেতা দেয় না, দেয় ক্রেতা। কিন্তু বিক্রেতারা কখনও ক্রেতাকে ভ্যাটের রশিদ দেয় না। আর আমরা অনেকটা অবহেলায় ভ্যাটের রশিদ চাই না বিক্রেতার কাছে থেকে।
ভ্যাট চুরি করলে ক্রেতার কোন লাভ নাই।
কেননা বিক্রেতা যখন পণ্যমূল্য নির্ধারণ করে ভ্যাটসহ। তাই বিক্রেতা ঠিকই ভ্যাট আদায় করছে, কিন্তু তার বিপরীতে রশিদ না দিয়ে সেই টাকা মেরে দিচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের ভ্যাট পরিশোধের সময় মন মতো রশিদ কেটে বিক্রয় কম দেখাচ্ছে। বিক্রয় কম দেখিয়ে শুধু ভ্যাট ফাকি নয়, বছরের আয়করও ফাকি দিচ্ছে। অর্থাৎ এক ঢিলে দুই পাখি মারছে তারা।
এই ভ্যাট ফাকি দিচ্ছে ডাক্তার, কোচিং সেন্টার, কমিউনিটি সেন্টার থেকে শুরু করে জামা জুতার দোকান পর্যন্ত। আমরা ক্রেতারা একটু সচেতন হলেই এই ভ্যাট ফাকি ও আয়কর ফাকি থেকে বেরিয়ে আসতে পারি। প্রতিটি পণ্য বা সেবা কেনার সময় বিক্রেতার কাছ থেকে ভ্যাটের রশিদ চেয়ে নিতে হবে। বিক্রেতা আইনত ভ্যাটের রশিদ দিতে বাধ্য।
দেশের প্রকৃত উপকার করতে হলে ভ্যাট ট্যাক্স ফাকি দেয়া বন্ধ করতেই হবে।
তাহলেই আমরা খুব সহজে স্বনির্ভর জাতি হিসেবে মাথা উচু করে দাঁড়াব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।