আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাষ্ট্রের বিচারালয়ে নিপীড়কের পুরুষাঙ্গ আজ পবিত্র সংবিধান

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

বাংলাদেশের সংবিধানের প্রারম্ভিকায় সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণকারী বাক্যটির বদলে যদি ঝুলতে থাকে নিপীড়কের লিঙ্গের মূর্তি? কেমন লাগবে আপনাদের? শরীরে আগুন জ্বলে যাবে নিশ্চয়! প্রতিরোধ, বিক্ষোভে সেই পরিবর্তনের এ্যাক্টরদের অস্থি ও মজ্জার সকল দম্ভকে গুড়িয়ে দিয়ে সংবিধানকে পুরুত্থান করবেন হয়তো। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বাবিদ্যালয়ের নিপীড়ক শিক্ষক সানোয়ারের বিরুদ্ধে চারজন ছাত্রীর সাক্ষ্যের পরেও রাষ্ট্রীয় যোগারযন্ত্রের বিচারালয়ে তিনি নিরাপরাধ প্রমানিত হওয়ায় আসলে সেই মূর্তি স্থাপিত হয়েছে। সংবিধানের প্রারম্ভিকা দখল করেছে সানোয়ারদের পুরুষাঙ্গ! নির্যাতিত মেয়েদের বুকের কাঁচুলী খুলে শ্বাপদের নখর দেখা যায় নি। এরপরে নিপীড়ন শুধু সেটাকেই বলা যাবে যখন শরীরে আচড়ে আচড়ে বিক্ষুব্ধ হবে। সানোয়ারদের দুইপা ধরে নির্যাতিতা বিনীত অনুরোধ করবে, "দয়া করে খুবলে খান শরীর, দাগ বসিয়ে দিন গলায়, ঠোঁটে, স্তন আর নাভীমূলে।

কেন শুধু ইংগিত দিচ্ছেন? এতো অপ্রমান্য, নজির রেখে যান!" জলজ্যন্ত প্রমাণের সাপেক্ষে এরপর নিপীড়কের বিচার হবে। কেবল নিজে ধর্ষিত হবার চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করে মহান আদালতে প্রদর্শিত হলে ন্যায় বিচারের যৌনাঙ্গখানি উত্থীত হবে উত্তেজনায়। নির্যাতিতাকে প্রমান করতে হবে নিপীড়ক কিভাবে নিপীড়ন করে। ডেমোনেস্ট্রেশন হবে বিচারলয়ে। বিচারকের রেফারিং এ নিপীড়কের মুক্তি হবে অতপরঃ প্রমান সহ হাজির নির্যাতিতার তকমা জুটবে পর্নোস্টার! এই নিপীড়নের স্বীকার আমার, আপনার বোন, মেয়ে অথবা মা'ই।

রাষ্ট্রযন্ত্রের আলেখ্যতে আমাদের জননী, ভগ্নি, স্ত্রী, কন্যাদের অমর্যাদা সহ্য করতে পারি না। এই যন্ত্ররমন্ত্রর ফুঁ দিয়ে রক্ষিত হবে না ইজ্জত। সময় হয়েছে রাজপথে প্রতিবাদের। মায়ের জন্মে গর্ভ নেয়া কোন নাগরিক এখন বসে থাকতে পারে না। আসুন আমরা রাজপথে মানব বন্ধন করি।

সামনের শুক্রবারই দাড়িয়ে যাই সংবিধান প্রস্তুতকারী কারখানায় সামনে, জাতীয় সংসদ চত্বর থেকে শুরু হোক সংবিধানের প্রারম্ভে জঘন্য কলংকের মত লেপ্টে থাকা পুরুষাঙ্গের মুর্তিকে অপসারণের সাইবার প্রতিবাদ!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.