গেরিলা কথাবার্তা
সেই প্রশ্নটির আগেও আরো কিছু ভাব-ভাবনার ফয়সালা দরকার। রাষ্ট্রের পোপ হওনের আকাঙ্ক্ষা কেন, কনফেশন জিনিশটা কী, রাষ্ট্ররে নাগরিকের কনফেশন করানোর দায়িত্ব কে দিছে- এর পেছনে রাষ্ট্রের যে বাসনা ও চরিত্র দাঁড়ায় তার কোন নতুন সংজ্ঞায়ন সম্ভব বা দরকার কিনা-
তো একটি বহুল পরিচিত কৌতুকের দুই ধরনের পাঠের কথা আমার মনে পড়ছে।
এক. বিমান ক্র্যাশ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখে একজন ভয়াবহ খুনী, যে অই বিমানের যাত্রী, বিমানে অবস্থানরত বিশপের কাছে কনফেশন করা শুরু করলো, এবং তার যাবতীয় খুন এবং অপরাধের বিস্তারিত বর্ণনা দিল। এক পর্যায়ে দেখা গেল বিমান ঠিক মতই অবতরণ করছে কোনরকম প্রাণহানী ছাড়াই। খুনি ভাবল লে হালুওয়া, সব কীর্তি ফাঁস কইরা দিলাম, এখন কী হইবো- তো তখন সে করলো কী, বিশপ বেটারে খুন কইরা ফেলল, কারণ যদি বাঁইচা থাকি, কনফেশন করনের জন্য প্রচুর বিশপ রাস্তা ঘাটেই পাওয়া যাইবো।
দুই. অই বেটা বিশপ আদতে একজন ডিটেকটিভ, বিশপ সাজছে একজন খুনীরে ধরনের উদ্দেশ্যে। তো, বিশপের কাছে আদত মতো অপরাধী মহাশয় কনফেশন দিয়ে দিলেন। এবং অতঃপর পরবর্তীতে নিজ মূর্তিতে আবিভূত হইলেন বিশপ, অর্থাৎ, ডিটেকটিভ; এবং খুনীরে প্রেফতার করলেন। তো সমস্যা যেইটা দেখা দিল- সেইটা হল বিশপের কাছে করা কনফেশন কাস্টম অনুযায়ী কনফিডেনশিয়াল, অইটা প্রকাশ করাটা আরো গুরুতর অপরাধ- তাইলে আগে কার বিচার করবেন- ডিটেকটিভ ওরফে বিশপ ওরফে ডিটেকটিভের, নাকি খুনীর? আর বিশপের কাছে করা কনফেশনকে সাক্ষ্য হিশেবে নেয়া যায় কিনা-
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের কথা হইল অইটারে বিশপ কওয়া যায় কিনা। অইটাতো আদতে ডিটেকটিভ।
এইটা নিছকই কৌতুকময় কথা। আমার ভিতরে উদ্রেক হল, তাই দিয়ে দিলাম। মোরাল হল দুই জনেই ভণ্ড, অথবা একজন ভণ্ড এবং অপরাধী দুইটাই, আর একজন স্রেফ অপরাধী। কে কার বিচার করবে, তাই ট্রুথ কমিশন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।