আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছু ধার্মিক মানুষকে দেখলে শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসে

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

রোজা শুরুর দিনই আমার একজন ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় হলো। বিশ্বাস করেন এত সৎলোক আমি জীবনে দেখি নাই। বন্ধুর বাসা খুঁজতে গিয়ে আমি একটা মেসবাড়ীর সামনে একজন ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করেছিলাম ১৩ নম্বর বাড়ী কোনটা। আমি একটু পরেই চিটাগং যাবো। খালু মারা গেছে।

ঐ ফ্রেন্ডের কাছ থেকে কিছু টাকা নিতে হবে। ভদ্রলোক আমাকে বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দিলেন। বন্ধুর বাসা থেকে বের হবার পরে দেখি উনি দাড়ানো। জিজ্ঞেস করলেন, আপনাকে খুব খারাপ দেখাচ্ছে, কোন বিপদ হয়েছে কি! আমি ওনার দিকে তাকিয়ে রইলাম। তারপরে বললাম যে আমার এক রিলেটিভ মারা গেছে।

চিটাগং যাচ্ছি। উনি বললেন, আপনি তাহলে যান, যাবার আগে ফোন নম্বরটা দিয়ে যান। ফোন নম্বর দিলাম। এরপরে সারাদিন উনি আমাকে ফোন করেছেন। ফেরার পরে দেখা করলাম।

সোনালী ব্যাংকে চাকুরী করে। মেসবাড়ীর মত ঘরে দুইটা রুম নিয়ে এক সন্তান সহ থাকে। সোনালী ব্যাংকের অফিসার। বললেন, এর বেশী এফোর্ড করতে পারেন না। ইফতারীর পরে গিয়েছিলাম।

খেয়ে যেতে বললেন। আমার বড্ডো সাধ হলো। না করলাম না। খেতে দিলেন এক পদের শাক, ডিম ভুনা আর ডাল। বললেন নানা কথা।

তার নবী যেভাবে অনাড়ম্বর জীবন যাপন করেন তিনিও তেমন চেষ্টা করেন। এরপরে এ'কদিনে আমি তার সন্বন্ধে অনেক কিছু জানলাম। সে যে বাড়ীটাতে থাকে সেখানে ৮টা ফেমিলি থাকে। বাসা ভাড়া ২৫০০ টাকা। উনি বেতন পান সব মিলে ১৪ হাজার টাকা।

এর মধ্য থেকে দুটো ফেমিলির দুই বাচ্চাকে স্কুলের খরচ দেন। কোন এক অদ্ভুত মায়ায় জড়ানো তার কথা। এত তৃপ্তি করে বহুদিন খাইওনি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।