আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাসপাতালে চিররোগী টয়লেট

জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই

তারা যে আছেন সেটা দূর থেকেই জানা যায়। দুর্গন্ধে জানান দেন তারা। তাদের ব্যবহার করতে হয় দম বন্ধ করে। কোন রকমে ব্যবহার করে ছুটে পালাতে হয়। রোগ না হলে আমরা কেউ হাসপাতালমুখো হই না।

হওয়া উচিতও নয়। কিন্তু হাসপাতালের ভেতর চিররোগী টয়লেট দেখে অবাক হয়ে যেতে হয়। হাসপাতালের ফ্লোর বার বার জীবাণুমুক্ত করা হলেও আমাদের স্বভাবের দোষে হাসপাতালের টয়লেটগুলো নোংরা থেকে যায়। দুর্গন্ধে তাদের কাছে যাওয়া যায় না, ব্যবহার করা তো দূরের কথা। হাসপাতালের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর স্থানে যখন টয়লেট থাকে ব্যবহার অযোগ্য, সেখানে অন্যান্য পাবলিশ প্লেসে টয়লেট যে নোংরা থাকবে তাতে আশ্চর্য হওয়া কিছু নেই।

হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, লাইব্রেরি, সিনেমা হল, অডিটোরিয়াম যেখানেই যাই না কেন, সকল জায়গার ডেকোরেশন বদলালেও টয়লেট সব জায়গায় একই। সেই একই রকম রোগগ্রস্ত দুর্গন্ধে ভরপুর দমবন্ধ করা টয়লেট। আমরা যে কতটা নোংরা তার প্রমাণ এই টয়লেটগুলো। আর টাকার বিনিময়ে আমরা যে পাবলিক টয়লেটগুলো ব্যবহার করি সেগুলোও নোংরা অবস্থায় চলছে দিনের পর দিন। টয়লেট নোংরা থাকবে এটা এখন আমাদের জন্য স্বাভাবিক।

যেখানেই থাকুক সে টয়লেট, তা হবে নোংরা। আমার প্রশ্ন হল, এসব প্রতিষ্ঠানে টয়লেট পরিষ্কার করার দায়িত্বে যারা থাকেন, তারা কয়দিন পর পর ডিউটিতে যান ? আদৌ যান কি ? আর যারা টয়লেট ব্যবহার করেন তারা কেন পরিষ্কার করান না ? এই পাবলিক প্লেসের টয়লেটগুলো আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, আমরা জাতি হিসেবে কতটুকু নোংরা। বিঃদ্রঃ ছবিটি বারডেমের তৃতীয় তলার অভিজাত কেন্টিন সংলগ্ন টয়লেটের। আমার মোবাইল ফোনে তোলা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।