তবু আমি আলোর স্বপ্ন-ই দেখি
কিছুদিন যাবৎ কি যেনো হয়েছে। কিছুই ভালো লাগে না। সবকাজকেই বাধ্যবাধকতা মনে হয়। করার খাতিরে করে যাওয়া। বাঁচার খাতিরে বাঁচা যেনো।
গ্রাজুয়েশন শেষ করে মাস্টার্স শুরু করেছি বেশ অনেকদিন হয়...কিন্তু ক্লাশে যেতে আর ভালো লাগে না। কোর্স ম্যাটেরিয়াল গুলোতে এখনো চোখ বুলানো হয়নি। বছর শেষে পরীক্ষাটা দেয়া হবে কিনা কে জানে! ক্লাশে যেতে অবশ্য অনেকেরই ভালো লাগে না, কিন্তু এটার সাথে আমারটার একটা অমিল আছে। আমার যে শুধু ক্লাশে যেতে ভালো লাগে না তা-ই নয়, আমার খেতে ভালো লাগে না, টিভি দেখতে ভালো লাগে না, গান শুনতে ভালো লাগে না, ম্যুভি দেখতে ভালো লাগে না, বই পড়তে ভালো লাগে না, বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে যেতে ভালো লাগে না...অসহ্য ঠেকে সবকিছু। চারপাশে সবাই হুটহাট চাকরিতে ঢুকে যাচ্ছে, আমার কেবলি মনে হয় আমকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।
সবাই যার যার মত ঠিকই জীবনটাকে গুছিয়ে নিচ্ছে, সবার কত কত ফিউচার-প্ল্যানিং, আমারই কেবল গুছানো হলো না কিছু। মনে হয় মাথার ভেতর রাজ্যের জঞ্জাল এলোমেলো হয়ে আছে, নাড়া লাগলে রীতিমত আওয়াজ করে।
গত ক'দিন থেকে বারবার মনে হচ্ছিলো আমার আর এই পৃথিবীকে দেবার বা এখান থেকে পাবার আর কোনো কিছু নেই। অবাক হয়ে ভাবছিলাম, এই কি তবে শেষ? বেশি তাড়াতাড়িই কি শেষ হয়ে গেলোনা সবকিছু?
আজকে ভোরবেলা এক বন্ধু সাত-সমুদ্র তেরো নদীর ওপাড় থেকে ডাক দিয়ে বললো, "এত্ত ভাবিস কেন, আমি, আমরা আছি না" আশ্বাস দিলো, "আই এম স্টিল ইউর পার্টনার ইন রানিং"। ওই ব্যাটার সাথে কথা হবার পর মনে হলো অন্যদের কথা যারা আমার মত তুচ্ছ একটা হোমোস্যাপিয়েন্সকে অবাস্তব ভালোবাসায় আগলে রেখেছে অহর্নিশ।
চোখ ভিজে গেলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।