পালিনের কন্যা ব্রিস্টল : মার্কিন সমাজের অবক্ষয় না 'স্বাধীনতা!'
"যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের কনভেশনের অবকাশে চমক লাগানো খবরটি হলো ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ প্রার্থী সারা পালিনের কিশোরী অবিবাহিতা কন্যা গর্ভবতী!" লিখেছেন জনৈক ব্লগার।
আসুন না আমরা নিজেকে প্রশ্ন করি কোনটি ভাল এবং আমরা বাঙালিরা এরকম হলে কি করে থাকি?
প্রথমে বলবো এটা খারাপ কেন? আমরা বাঙ্গালিরা কি সাধু? আমাদের সত্য কথা বলার সৎ সাহষ নেই। আমাদের দেশে ঐ বাচ্চাটিকে হয়তো রাস্তার পাশে ফেলে দেয়া হতো কিংবা মেরে ফেলা হতো। তাই কোনটা ভালো? ওদেরটা- না আমাদেরটা? আমারা সত্য কথা বলতে পারছি না বলে ভয়াবহ অপরাধ করছি। এক. আমরা মিথ্যা কথা বলছি।
দুই. নয় আমরা হত্যা করছি। নিজের বিবেককে প্রশ্ন করলেই উত্তর পাওয়া যাবে। আর এক কাগজই হয়ে গেলো সব সমাধান। বিয়ে কি আসলে কাগুজে এক প্রথা ছাড়া অন্য কিছু? ব্রিস্টলের বন্ধু তো আর তাদের সম্পর্ককে অস্বীকার করেননি। আমাদের দেশে ছেলেরা হলে হয়তো অস্বীকার করতো।
পরে দরকার হতো ডিএনএ টেস্ট। কিন্তু যখন ডিএনএ টেস্ট ছিল না তখন ঐসব বাচ্চাদের মেরে ফেলা হতো। ঐ আগত শিশু তো কোন অপরাধ করেনি। শুধুমাত্র কাগজ কি বৈধতা দিতে সবকিছু? যদি ওরা অন্যায় করে তবে আমরা কি ন্যায় কিছু করছি। আর যে কাজ বিয়ের পরে নিশ্চিন্তে করা যায় শুধুমাত্র কাগজের কল্যাণে --- তা আগে হয়ে গেলে সমস্যা কোথায়? ওরা তো আর একে অপরের সাথে প্রতারনা করেননি? আমরা বাঙালিরা হয়তো তাই করি।
আর তাই অপরের নিন্দা করার আগে নিজের মুখ আয়নাতে দেখতে চাই না।
কয়েকদিন আগে রমনা পার্কে সকালে ব্যায়াম করতে গিয়ে দেখলাম একটা ছোট বাচ্চাকে কে যেন পার্কে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। ভাবুন তো ঐ বাচ্চার অপরাধ কি? বাচ্চাটা খুব করে কাদছিল। ওর কান্নায় সেদিনের রমনা ভারী হয়ে উঠেছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।