নিজেকেই নিজে এখনো জানতে পারলাম না !! "ক্ষ"-এর ঔদ্ধত্য দেখে অবাক হই। আরো অবাক হই যে সমস্ত দেশপ্রেমিক "ক্ষ"-এর গানের স্বেচ্ছা বিজ্ঞাপন দেন তাদের দেখে। আরো অবাক হই যখন শুনি এই গান এক শ্রেণিরর লোক যখন বলে এই গান তাদের দেশপ্রেম জাগিয়েছে, জাতীয় সংগীতের প্রতি ভালবাসা জাগিয়েছে। এই কথাটার মানেই হচ্ছে তারা আগে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতকে ভালবাসত না।
"ক্ষ" গানটাকে জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।
সোহিনী আলম বলেছে তারা নাকি কোথাও গানটাকে জাতীয় সংগীত হিসেবে উল্লেখ করে নি। কিন্তু আমার কাছে প্রমাণ আছে তারা যে গানটাকে জাতীয় সংগীত হিসেবে উল্লেখ করেছে। আমি তার স্ক্রিন শট তুলে রেখেছি।
একই আলোচনাতে সোহিনী নিজের এই গাওয়া গানটাকে জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়ার কথা লুকিয়ে রাখতে পারে নি। সে বলেছে `কি শোভা, কি ছায়াগো...` থেকে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হলে তা যদি রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল হয়, তবে ‘তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড’ বারবার নিতে প্রস্তুত আছি।
অর্থাৎ এই কথার মাধ্যমেও সে স্বীকার করেছে সে গানটাকে জাতীয় সংগীত হিসেবেই গেয়েছে।
আমি আরোও অবাক হই যখন সোহিনী তার ঔদ্ধত্যের সীমা অতিক্রম করে বলে উঠে, "তিনি (রবীন্দ্র) যদি আইরিশ ড্রিংকিং সং (সুরাপানগীতি) থেকে সুর নকল করতে পারেন, তাহলে আমি কেন করতে পারবো না?"
আমি অবাক হই যখন সোহিনী বলে উঠে, "স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী সরকারের দেয়া বাড়িতে থেকে এক রাজাকারের কোম্পানির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যখন গান গায় তখন দেশপ্রেম কোথায় থাকে?"
আড্ডার শেষ দিকে দর্শকদের জন্যে ‘ক্ষ’ এর গাওয়া ‘আমার সোনার বাংলা...’ গানটি বাজানো হয়। আমি অবাক হই যখন জাতীয় সংগীতে দাঁড়ানোর ব্যাপারে চরম অবজ্ঞার সুরে সোহিনী বলে উঠে, "এখন এটা শুনেও কি দাঁড়াতে হবে?"
আমি অবাক হই যখন সোহিনী বলে উঠে, "রবীন্দ্রনাথের গানের কোনো রয়েলিটি নাই। যে যেমন ইচ্ছা গাইতেই পারে। "
যে যেমন ইচ্ছা নাকি গাইতে পারে।
বেশ ভাল কথা। এক শ্রেণির ভন্ড শ্রোতার নাকি এই গান শুনে জাতীয় সংগীতের প্রতি তীব্র ভালবাসা সৃষ্টি হয়েছে। এটাও বেশ ভাল কথা।
তো বাংলাদেশে এক শ্রেণির শ্রোতা আছে যারা র্যাপ গান খুব পছন্দ করে। তো তাদের কথা বিবেচনা করে, তাদের জাতীয় সংগীতের প্রতি ভালবাসা সৃষ্টির জন্য এই গানটার একটা নতুন ভার্সন যদি কেউ এইভাবে তৈরি করে আমি মোটেওই অবাক হব না-
"ইয়ো গাইজ, মাই সোনার বাংলা, আমি বড় ভালবাসি।
ও ইয়ো বেবী, চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস,
ওহ ইয়েহ, আমার হার্টে বাজায় ফ্লুট, পেঁ পোঁ পুঁ পুঁ পুঁ..."
ওহে, নব্য দেশপ্রেমিকরা চলুন আমরা জাতীয় সংগীতকে সকল শ্রেণির শ্রোতার কাছে জনপ্রিয় করার জন্য এর বিভিন্ন ভার্সন বের করি। দেশের পুটুতে বাঁশের তৈরি বাঁশি ঢুকিয়ে নিজেরদের জাতীয় সংগীতের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।