যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।
অবশেষে পাকিস্থানের ক্ষমতা থেকে সরে দাড়াতে বাধ্য হলো একজন স্বৈরচারী সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ । না তিনি ভদ্রোচিতভাবে ক্ষমতার লোভ সম্বরণ করে পরিমিত বোধ থেকে পদত্যাগ করেননি , একরকম গলাধাক্কা দিয়েই তাকে সরানো হয়েছে । যখন পাকিস্থানের সংসদে অভিশংসন প্রস্তাব উথ্থাপনের আগেই এই সামরিক জান্তা সরে দাড়ালেন তবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে তিনি সকল প্রকার কুটকেৌশলই গ্রহণ করেছিলেন কিন্তু এদফায় তার সমস্ত ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে ।
শেষ অবধি সেনাবাহিনী নিজেদের নিরপেক্ষ (!!) রাখলে তিনি বিপদে পড়েন এবং তার শক্তিধর বন্ধুরা আমেরিকা, ইংল্যান্ড শেস অবধি তাকে সমর্থন না দেয়াই তার এই পদত্যাগের কারণ । হায়রে দেশ, স্বাধীন-সার্বভৌম্য দেশ!! সেই দেশের মসনদ টিকিয়ে রাখতে আমেরিকা-ইংল্যান্ডের আস্থা অর্জন করতে হয়, সেনাবাহিনীর সম্মতি থাকতে হয় কিন্তু দেশের মানুষের কোন আস্থার প্রয়োজনিয়তা নাই , নাই দেশের সংবিধান মানার । তাই না হলে কি হোয়া যায় স্বৈরাচারী ??
অবশেষে পাকিস্থানের সেনাশাসনের অবসান হয়েছে , দুঃখ হয় পাকিসথানের মতন একটি দেশে এতো দীর্ঘ সময় ধরে সামরিক শাসন দেখলে, পাকিস্থানের জন্মের ৫১ বছরের মাঝে অর্ধেকেরও বেশী সময় সেনাশাসনের বেড়াজালে আটকে ছিল । এই সেনা শাসন স্রেফ বাগম্বরপূর্ণ সেনাবাহিনী, সেনাদের সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ পাকিস্থান দিয়েছে আর প্রকারন্তরে উগ্রমৌলবাদীদের আবাসস্থল হিসেবে পাকিস্থানকে পরিচিত করেছে । আর গণতন্ত্রকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ, রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণিত করেছে আর বিচারের প্রহসনে বেঘোরে প্রাণ দিয়েছে রাজনৈতিক নেতা থেকে সাধারণ মানুষ ।
সেনাশাসন কিংবা স্বৈরশাসন এছাড়া একটি দেশকে আর কিই বা দিতে পারে ??
আমাদের প্রত্যাশা সেনাশাসনের কুফল এবং বাস্তবতা মানুষ পাকিস্থান থেকে শিখবে । পাকিস্থানের এই স্বৈরাচারীর পদত্যাগের মধ্য দিয়ে এই উপমহাদেশ থেকে সেনাশাসন নির্বাসিত হকো, স্বৈরাচারের বীজ উৎপাটিত হোক । মানুষ শান্তিতে থাকুক । গনতন্ত্রের যাত্রা সবখানেই জয়যুক্ত হোক ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।