আমি ও ফারাও
মনিদীপ্ত আলো, সোনা খচিত পাথরের নিরাপদ বেষ্টনী ছেড়ে
ফারাও এক হেঁটে এলো আমার বারান্দায়!
চোখে তার কত কথা!
আমি ছাই সম্রাট চিনি নাকি?
আমি তো বুকের ব্যাথায় কাতর তখন - এপাশে ওপাশে
হাতড়াচ্ছি ইনহেলার-
ফারাও তো ভীষণ ভালো- সন্ধ্যায় ঘরে এসে
আলো জ্বেলে দিল, দিল কিছু ধুপ -ধোঁয়া -
চোখের ইশারায় আমাকে নিশ্চিন্তি দিয়ে
গেলো সে জানালার ধারে- পর্দা তুলে দিল
পাল্লা খুলে দিল - আর ততক্ষণাৎ-
মিশরী নারীর কলহাস্য্ ধ্বনির একরাশ রিমঝিম
ছুটে এলো জ্বরাগ্রস্থ বিছানা বালিশে-
উঠোনের পূবকোণে ভেসে উঠলো ব্যাবিলনের শূন্যোদ্যান
গেয়ে উঠলো রানী মা'র পোষা পাখি
রঙীন মেঘেরা পিয়ানোর সুর হয়ে ঘরে এসে বসলো পাশে
চোখের পাতায় কপালের চুলে ফুটে উঠলো কণাকণা শ্বেতফুল
আমি তো ঘোরের ভেতর - ঘোর আরো গাঢ় হয়-
...কী এক সুগন্ধী এলো- এলো-
আমি যেনো আর আমি নেই- আহা!
আহা! উড়ে গেলাম আকাশে-
পালকের ধারে ঝলসে উঠছে রোদ- সরো সরো-
পথ ছেড়ে দাও- আরো দূরে যাবো-
আর কিছু মনে নেই।
চোখের জায়গায় শুধু জেগে আছে কোটর-
পিরামিডের ঘন অভিশাপে আমি এক ঠান্ডা মমি
আর এক ফলি তৃপ্ত হাসি হয়ে
প্রেত ফারাও- লোভী রাজা জাদুকাটা নদীর ভেতর
আমার পাঁজর ভিজিয়ে ভিজিয়ে ঘসে নিচ্ছে নিজের আস্তরন-
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।