আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রুথ কমিশন গঠনই প্রমাণ করলো এ রাষ্ট্র সাধারণের নয়, অসাধারণের!!!!!

আমি বলতে এসেছি, আমাকে বলতেই হবে..

সরকার শেষ পর্যন্ত বহুল কথিত এবং প্রতিক্ষিত ট্রুথ কমিশন গঠন করেছে। তবে এ ট্রুথ কমিশন পৃথিবীর এ যাবত কালে গঠিত ট্রুথ কমিশন থেকে ভিন্ন। এ ভিন্নতা উদ্দেশ্য ও কার্যপরিধির দিক থেকে। যতটুক জেনেছি পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যেমন দক্ষিণ আফ্রিকা তে ট্রুথ কমিশন গঠন করা হয়েছিল প্রধানত যুদ্ধাপরাধের বিচার সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য। সংখ্যালগিষ্ঠ লুটেরা ধনিক শ্রেণীর অর্থনৈতিক দুর্নীতি ও দস্যুপনাকে 'ওয়েবার' দেয়ার প্রেরণা থেকে কোথাও ট্রুথ কমিশন হয়নি।

বাংলাদেশেই এবার প্রথম হলো। সে দিক থেকে বাংলাদেশের এ ঘটনা নিশ্চই নতুন একটি রেকর্ড। রাষ্ট্র এ রেকর্ডটি করেছে সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারন নাগরিকদের জন্য নয়। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারন নাগরিকের অর্থনৈতিক দস্যুপনার কোন সুযোগ নেই। তাদের নৈতিকতাও ততটা নিচে নামেনি যে তারা আকন্ঠ নিমজ্জিত হবে দুর্নীতির সরোবরে।

বরং ছোটখাট অপরাধের জন্য তাদের এখনও প্রতিনিয়ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মুখোমুখি হতে হবে। এবং হতে হচ্ছে। রাষ্ট্র এ বিশেষ ব্যবস্থাটি করেছে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের জন্য। যারা সাধারণ নয়, অসাধারন এ অর্থে যে তারা সংখ্যাই কম, উপরতলার মানুষ, বেশির ভাগই উৎপাদশীল নন, সরাসরি উৎপাদনের সাথে যাদের কোন সম্পর্ক নেই। সুতরাং এ ট্রুথ কমিশন গঠনই প্রমাণ করে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশ এখনও সাধারণ নাগরিকদের হয়ে উঠতে পারেনি।

রয়ে গেছে অসাধারণ উচ্চবিত্ত লুটেরা ব্যাবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের জন্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.