যাহ পাই তাহা চাই না, যাহা চাই তাহা পাই না আপনাদের এক অদ্ভুত চুরির গল্প শুনাবো। এই টাইপ চুরির কাহিনী আপনারা কখনও শুনেছেন কিনা জানি না কিন্তু আমি আমার নিজেরটা ছাড়া অন্য কারোটা জানি না।
নিশ্চই জানেন, শীতকালে অজায়গা-কুজায়গায় ব্যাডমিন্টন খেলার ধুম পড়ে। আমাদের এলাকাও নিশ্চই ব্যাতিক্রম কিছু না। আর এই খেলাটা যারা খেলেছেন তারা অবশ্যই স্বীকার করতে বাধ্য হবেন, দিনে খেলার চেয়ে রাতেই এই খেলা বেশী জমে।
শীতের রাতে শরীর গরম করার জন্য অত্যন্ত চমৎকার একটা খেলা। যাই হোক, গত মৌসুমে ব্যাডমিন্টনের প্রয়োজনীয় কোর্ট কাটার পর দেখা গেলো দু’পাশে লাগানোর জন্য বাল্ব কেনার জন্য যে টাকা দরকার তা আমদের কাছে নাই। না থাকাটাই স্বাভাবিক। এমনিতেই আমরা দরিদ্র পরিবারের হতদরিদ্র সন্তান :/ । সুতরাং এখানে সবাই যেটা করে সেই চুরি ছাড়া অন্য কোন উপায় আমাদের জানা নাই।
সবাই বিভিন্ন বাড়ীতে ঝাঁপিয়ে পড়লাম বাল্ব উদ্ধারের (????) মহৎ কাজে ()।
এ পর্যন্ত কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু বাল্ব নিয়ে আসার পর দেখা গেল, যেখানে বাল্ব দরকার দুই পাশে ৫ টা করে মোট ১০ টা সেখানে বাল্ব জোগাড় হয়েছে ২২ টা। হয়তোবা এক্সট্রাগুলো বিক্রি করে দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হত কিন্তু আমরা তো আলট্রা ইস্মারট পোলাপাইন............
তাই আমরা অতিরিক্ত ১২ টা বাল্ব ফেরত দিয়ে আসতে গেলাম। সবাই ঠিকঠাক মত বাল্ব লাগিয়ে দিয়ে আসলেও আমাদের এক গোবেচারা বন্ধু পড়লো ঝামেলায়।
বাল্ব খুলতে কোন সমস্যা হয় নি কিন্তু লাগাতে গিয়েই বেচারা ধরা পড়ে গেল।
আমরা মোটামুটি পাশাপাশি বাড়িতেই ছিলাম তার চিৎকার শুনতে কোনই ঝামেলা হয় নি। তারপর তাকে উদ্ধারের দুঃসাহসিক (অথচ বিরক্তিকর) অভিযানের গল্প না হয় আর নাই বললাম। :/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।