রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র
খবরটা পড়ার পর থেকেই আমার ডান পা-টা নিশপিশ করছে। কাউকে লাত্থি দিতে ইচ্ছা করছে। কাকে দেয়া যায় ? প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা যে জামায়াত-শিবিরকর্মী লাত্থি দিয়েছে, তাকে ? না-কি এই নপুংসক তত্ত্বাবধায়ক সরকার-এর প্রধান উপদেষ্টাকে ?
না, বাস্তব আর কল্পনার মধ্যে বিস্তর ফারাক। বাংলাদেশের মানুষ শুধু চিন্তা করে, স্বপ্ন দেখে... রাস্তায় দাঁড়িয়ে আন্দোলন করার মতো সাহস আছে শুধু আঁতেল বুদ্ধিজীবী, ভাড়াটে ছাত্র রাজনীতিবিদ, দুর্গন্ধময় আওয়ামী লীগ-বিএনপি'র। সাধারণ মানুষদের মেরুদণ্ড ভাঙা।
আমরা রিকেট রোগে আক্রান্ত। আমাদের হাড়ও বাঁকা !
প্রথম আলো'য় খবরটা পড়ার পর খুব কষ্ট পেয়েছি। কষ্ট পেয়েছেন আমার মা। মুক্তিযোদ্ধা নানাকে ফোন করেও ব্যাপারটা জানিয়েছেন। আমরা শুধু একটার পর একটা কষ্ট-ই পেয়ে যাবো।
কষ্ট পেয়ে কবিতা লিখবো, গল্প লিখবো, উপন্যাস লিখবো, গণিত অলিম্পিয়াড করবো - বাপ রে বাপ ! আমরা দারুণ জাতি ! রাস্তায় দাঁড়িয়ে মেয়েদের টিজ করাতে দারুণ বীরত্ব দেখাই আমরা... মোবাইল ক্যামেরায় অবৈধভাবে ছবি তোলাতেও আজকাল যুবকেরা বেশ পটু ! অথচ জামায়াত-শিবিরের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার দুঃসাহস কোনো বাপের ব্যাটার নেই ! যাঁর ছিলো, তিনি তো যুদ্ধপরাধীদের বিচারের দাবী তুলতে গিয়ে পাছায় শিবিরকর্মী কর্তৃক লাথি খেয়েছেন।
কী অশ্লীল ঘটনা ! আজ ফ্ল্যাশ হলো, কাল সবাই দুঃখপ্রকাশ করবে। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম সম্মেলন করবে... বুদ্ধিজীবীরা তিন-চারদিন পত্রিকার কলামে লিখে লেখা অফ করে দেবেন... এই তো আমরা ! এই আমাদের "বাংলা দেশ" !
যে জাতি নিজেদের ইতিহাসকে টিকিয়ে রাখতে পারে না, তাদের বেঁচে থেকে কোনো লাভ নেই !
ফখরুদ্দীন এর মতো উজবুকমার্কা মহান দুর্নীতি কিলার সরকারেরও থেকে লাভ নেই... এরা জামায়াত এর মহান সাপোর্টার, জামায়াত-শিবিরকে সংগঠিত হবার সুযোগ করে দিচ্ছেন এরা !
সেনাপ্রধানও একই গোত্রের । তাঁর কোন আত্মীয় নাকি জামায়াত এবং তিনি নিজেও জামায়াতি কাজেই বুঝতেই পারছেন ! আত্মীয়তার সম্পর্ক তো আর ছিন্ন করতে পারবেননা মহান জামায়াতিরা !
একজন মুক্তিযোদ্ধার পাছায় লাত্থি দেয়ার অবিচার আল্লাহ সহ্য করবেন না। একজন ফ্রিডম ফাইটারের পাছায় লাত্থি দেয়ার অর্থ সমগ্র জাতি, সকল মুক্তিযোদ্ধা, সকল মানুষ এর পাছায় লাত্থি দেয়া।
সেই শয়তানের বাচ্চা শিবিরকর্মী রাজাকার এর মাথায় এই চিন্তাটা আসেনি ?
এই সব ব্যাটাদের পাছায় কঠিন লাত্থি দেয়া হোক।
বি. দ্র. : উপরের পায়ের ছবিটা আমার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।