ওই দিন ইমেজ প্রসেসিং-র একটা কাঠ কোট্টা বইয়ে মুখ গুইঁজা বিরাট সাধ্য সাধনা করতাছিলাম মনোযোগ দেয়ার, মাগার... জিনিসটা এতই রসকষহীন, বইয়ের দিকে তাকায়া থাকা ছাড়া আর বিশেষ কিছু হইতাছিল না। টেবিলের উপরে রাখা ল্যাপটপে হঠাৎ টিং শব্দ, তাকায়া দেখি ইমেইল আসছে বন্ধুর কাছ থাইকা। আমার আর অজুহাতের দরকার হইল না, বইটা চোখের সামনে থাইকা সরানোর জন্য রেডিই ছিলাম, এক সেকেন্ডও দেরি না কইরা ছুইড়াঁ দিলাম টেবিলের কোনায়। মেইল খুইলা দেখি, বন্ধু একটা লিংক পাঠাইছে, করলাম ক্লিক, আর কিছু না হোক কিছুক্ষণ বই থাইকা তো দূরে থাকা যাইব। ইন্টারনেট নিয়া গেল এক ব্লগ সাইটে, আরেক বন্ধু ব্লগ লেখে, তার একটা লেখা।
বছর খানেক আগে প্রকাশ। এই আল্লার বান্দা যে ব্লগ লেখে, আমি জানতামই না!!!!!!! চক্ষু কপালে তুইলা পড়া শুরু কইরা বুঝলাম, এত আগে কপালে চোখ তোলা উচিৎ হয় নাই, কারণ ঘটনা যা ঘটছে, তাতে চক্ষু আরো একটু উপরে তোলা দরকার, কিন্তু উপায় নাই, লেখাটা এই অধমরে নিয়া!!!!!! ২০০৭ সালে আমার জীবনে যা ঘটছে, তার একটা সুলিখিত বণর্না সে তুইলা দিছে। সত্যের কিছুটা অতিরন্জন আছে বটে, তবে সাহিত্যিক কারণে তা মাজর্নীয়। না হইলেও ক্ষতি ছিল না, আমারে মোটামুটি হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের নায়ক বানায়া দিছে। লেখাটা পড়লাম, অন্য ব্লগারুদের কমেন্টস্ পড়লাম।
মনের অজান্তেই চোখে পানি চইলা আসলো। আমার বন্ধু না হয় আমারে চেনে, কিন্তু অন্যরা? সবাই আমার নতুন জীবন নিয়া শুভ কামনা জানাইছে। এতগুলা না জানা মানুষের ভালোবাসা পায়া মনটা আর্দ্র হয়া গেল। আমি আবেগতাড়িত মানুষ, অল্পতেই আহা উহু করি বইলা পরিচিত মহলে দুর্নাম আছে। কিন্ত এইবার আমি নিশ্চিত, সম্পূর্ণ হক কারণে আমার চোখ ভিজে গেছে, এই ঘটনার পর নির্বিকার থাকলে মনুষ্যত্বের অপমান হবে।
যাহোক, আমারও পরিচয় হইলো বাংলা ব্লগিংর অদ্ভুত সুন্দর জগৎটার সাথে। কয়দিন এই সাইট ঐ সাইটে ঢুঁয়াঢুয়ির পরে মনে খায়েশ জাগলো, আমিও ব্লগ লিখুম (তেলাপোকার পাখি হইবার শখ আরকি)। অবশেষে, আকিকা কইরা নাম লাইঠেল রাইখা লাঠি তুইলা নিলাম হাতে। আর এই হইলো আমার যন্ত্রনার প্রথম কিস্তি। সাহস দিলে আবার হাজির হব, কথার ঝুড়ি নিয়া।
(এতক্ষণ ধৈর্য্য নিয়া পড়ছেন, সেইজন্য পেন্নাম। কষ্ট কইরা যদি একটা কমেন্ট পোষ্টাইয়া যাইতেন...ভালো লাগত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।