.... তবুও আমি স্বপ্ন দেখি ... (স্বপ্ন, বাস্তব এবং ব্লগের সর্বস্বত্ব ব্লগার কতৃক সংরক্ষিত)
“আমাকে সব সময় এভাবে ভালোবাসবেতো?”
শুয়েশুয়েই মনিকা জিজ্ঞেস করলো আকাশকে। জিন্সের বোতাম লাগাতে লাগাতে আকাশ তাকালো মনিকার দিকে। উঁপুড় হয়ে শুয়ে আছে মেয়েটা। পাতলা চাদরে পুরো শরীর ঢাকা। ফর্সা কাঁধ দেখা যাচ্ছে।
যেন কোন দেবীর প্রতিমূর্তি।
আকাশ হেসে বলল, “কেন, সন্দেহ আছে নাকি?”
মনিকা বাচ্চাদের মত হেসে বলল, “নাহ। তা নেই। আমি জানি তুমি শুধু আমার। ”
ঘড়িতে তখন রাত প্রায় দশটা।
মনিকার বাবা-মা সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। সেই সুযোগের সদ্বব্যবহারে আজকের এই অভিসার। আকাশ মনিকার কপালে নাক ঘষে দিয়ে বলল, “আমি এখন আসি। তোমাকে উঠতে হবে না। শুয়ে থাকো।
আর মনে করে রাতে কিছু খেয়ে নিও। এত ডায়েট কন্ট্রোল করতে হবে না। এমনিতেই যতটুকু সেক্সি আছো, তাতেই আমার চলবে। ” শেষের কথাটা বলতে বলতে আকাশ হাসছিল। মনিকা বেড়ালের মত উঠে এসে ওকে একটা হাগ দিয়ে দিল।
রাস্তায় বের হয়ে মোবাইলটা অন করলো আকাশ। একটার পর একটা মেসেজ আসা শুরু হয়েছে। খুলে যে পড়বে সে সময়টাও পেলো না, তার মাঝেই ফোন। চোখে-মুখে বিরক্তি আর গলায় ভালোবাসা নিয়ে আকাশ ফোনটা ধরলো, “হাই হানি। ”
মধুতে কাজ হলো বলে মনে হলো না।
অন্য প্রান্তে তখন রিমির চিৎকার শোনা যাচ্ছে। “কোথায় ছিলে তুমি? আমি গত চার ঘন্টা মোবাইলে কল করার চেষ্টা করছি তোমাকে? ফোন বন্ধ ছিল কেন?”
“সজিবের বাসায় ছিলাম। আড্ডা দিচ্ছিলাম। মোবাইল যে চাপ লেগে বন্ধ হয়ে গিয়েছে, দেখিনি। ” এক নিঃশ্বাসে আকাশ বলে ফেললো।
“ওহ, আচ্ছা। ” রিমির গলা একটু শান্ত শোনালো। “আমি দুঃশ্চিন্তা করছিলাম। প্লিজ, এভাবে মোবাইল বন্ধ করে রাখবা না। আমার অস্থির লাগে খুব।
”
আকাশ গলায় আবেগের সমুদ্র এনে বলল, “আই এ্যাম পারফেক্টলি অলরাইট হানি। এভাবে চিন্তা করতে হয় না। আজ না হয় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, অন্য কোন দিন হয়তো নেটওয়ার্ক থাকবে না। তাতে এভাবে দুঃশ্চিন্তা করে কেউ? পাগলী!”
রিমি হাসছিল। অবিকল মানিকার মত।
তার পর বলল, “তুমি আমায় সব সময় ভালোবাসবেতো আকাশ?”
“কেন, সন্দেহ আছে নাকি?”
“নাহ। তা নেই। আমি জানি তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো। ” তার পর ফোনের অপর প্রান্ত থেকে রিমির আদর করার শব্দ আসতে লাগলো। খুব শীগ্রই আকাশও যোগ দিল ভালোবাসা বিনিময়ের এই নব্য পদ্ধতিতে।
নিরব রাতে এক অভিসার থেকে বের হয়ে, ফোনে আরেক অভিসারিনীকে চুম্বনে ভিজিয়ে দিচ্ছিল আকাশ। কী অদ্ভুত! বঙ্গ দেশে এখন ভালোবাসার মানুষকে যতটা চুম্বন দেয়া হয়, তার থেকে অনেক বেশি দেয়া হয় মোবাইল ফোনকে। কে যে আসল প্রিয়া, মাঝে মাঝে বোঝা কষ্টকর হয়ে দাড়ায়। (চলবে)
১৯ জুন ২০০৮
ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড।
দ্বিতীয় খন্ড - Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।