যতোবার আমি শান্তি খুঁজেছি, ঠিক ততোবার আমার মাথায় শুধু একটি চিন্তাই এসেছে। সেটা হচ্ছে একটা ড্রিল মেশিন দিয়ে মাথার খুলিটা ফুটো করে দেওয়ার চিন্তা।
এখানে কোন চরিত্র নেই। টুকরো টুকরো জীবনের গল্প এবড়ো-খেবড়ো, কদাকার। এখানে নদীর মাঝখানে একটা বড় গাছ আছে।
গাছটায় আমার পা ঝুলিয়ে বসতে ইচ্ছা হয়। নদীর ওপাশে একটা বাড়ি, আগুনে পোড়া। আমার এতো ভালো লাগে! অনলের কামনা- ক্যামন সুন্দর, লকলক করে বেড়ে উঠে ছুঁতে চেয়েছিলো আকাশ। যখন খেয়েছে, নদী তাকিয়েও দ্যাখেনি। নদীর একপাশ হলুদ-অন্যপাশ কালো।
উপর কালো, নিচ কালো। হলুদ আর কালো, মিলে মিশে অচিরেই একাকার হলো।
তোমার এক টুকরো আগুন গায়ে মাখবো
আমি
তারপর, নদীর জলে পা ধোবো।
গাছ, তোমার রঙ কি? নীল না খয়েরী? এখানে না কালও একটা কাঠের পিড়ি ঝুলে ছিলো! কোথায় গ্যালো? আগুনে দিছো?
অষ্টাবক্রীয় প্রজ্বলন শেষে যখন উপাসিত ছাই;
কালো চাদর হয়ে
ঢেকেছে আকাশ,
একটা শাদা বক দেখি,
পা কাটা, ঘুমায় নি কখনো
ও
কি সব,
অক্র বক্র,
হলুদ- কালো,
ঢোঁড়া সাপ
খোঁজে, জলের ভেতর,
বাড়িটা আধ-পোড়া, ছিনালের মতো
নগ্ন শরীরে
চেয়ে দেখেছে অগ্নি-ভক্ষন, নিরন্তর।
ও পাখি, তুমি ডুমুর খাবা? যা খুঁজো, তা তো পাবা না।
খাও, খাও। তুমি কি দুধে ধোয়া তুলসী পাতা?
আরেকটু পরেই নদীর সব জল হয়ে যাবে মাটি
আগুনের প্রজ্বলিত লেলিহান শিখা
হবে লতা-পাতা, ঘাস
কল্পনাতে আমি এখন জলের উপর হাটি;
আমিও চাইলেই শেষ করে দিতে পারি,
প্লক্ষ-
চেনো নাকি পাখি,
নাকি, চিরকাল চিনেছো আকাশ?
বাড়িটা খাওয়া শেষ পুরোটুকু। ওমা! আগুনও দেখি আসে পিছু পিছু। গ্রহন তো করিনি, গায়ে মেখেছি এক টুকরো শুধু। অবুঝ! করুনাও বোঝে না!
ঐখানে
থেমে থাক, সর্বগ্রাসী দানো,
বাড়িটাকে শেষ করে এখন পায়ে পায়ে হাঁটিস ক্যানো?
ধার নিবি?
আমার ভেতরে যে আগুন আছে,
তা দিয়ে শেষ করে দিতে পারি
আরও একষট্টিটা পৃথিবী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।