আর মাত্র ১ মিনিট বাকি। ১ মিনিট পর তারিখটা পরিবর্তন হয়ে যাবে। ১১ জুলাই থেকে টুপ করে হয়ে যাবে ১২ জুলাই। ১১ জুলাই হচ্ছে অবনীর জন্মদিন। আর একমিনিট পর তার জন্মদিন শেষ।
সেই সাথে শেষ চব্বিশ ঘন্টার অপেক্ষা। অবনীর অপেক্ষা খুব বড় কিছুর জন্য নয়…খুব ই সামান্য কিছু। একটা দুইটা লাইনের একটা মেসেজ বা দুই চারটা কথার একটা ফোন কল। একটা সামান্য বার্থডে উইশ। এতটুকু তো সে আশা করতে পারে।
তাই না?খুব বেশি কিছু ত না।
আচ্ছা সে কি শুধু শুভ জন্মদিন ই বলবে নাকি সাথে কেমন আছি এটাও জাঅতে চাইবে?জানতে চাইলে সে কি বলবে?সত্যি টাই কি বলবে যে সে খুব ই কষ্টে আছে?মরে যেতে ইচ্ছে করে এমন কষ্টে?
জানি ওই মানুষটা মেসেজ দিবে না। কল দিবে না। একটু মূহূর্তের জন্য হলেও অবনীকে স্মরণ করবে না। অবনী ও জানে।
কিন্তু স্বীকার করে না। বুকভরা আশা নিয়ে অপেক্ষা করে একটা ফোন কল কিংবা মেসেজের জন্য। তারপর যখন অপেক্ষার শেষ হয় না তখন নিজেকে শান্তনা দেয় এই বলে-
'ব্যাস্ত মানুষ। হয়তো ভুলে গেছে। মনে পরলে ঠিক ই মেসেজ দিবে।
সরি বলবে। তখন খুব করে বকে দিব…'
সেলফোনটা বালিশের কাছে রেখে অবনী ঘুমিয়ে পরে বছরের পর বছর। সিম কম্পানীর বেরসিক মেসেজে তার ইনবক্স ভর্তি হয় না। কিন্তু সেই মানুষটা কখনো দেয় না। ব্যাস্ত মানুষ!হয়্ত ভুলে গেছে।
মনে পরলে ঠিক ই মেসেজ দিবে। সরি বলবে। তখন অবনী খুব করে বকে দিবে। দেখে নিও। যত সরি ই বলুক অবনী শুনবে না।
অবনী সেদিন অনেক কাদবে। অনেক।
পৃথিবী বড় নিষ্ঠুর জায়গা। তাই,ভালবাসার মানুষগুলো একদিন হারিয়ে যাবে। দেখে নিও ঠিক হারিয়ে যাবে।
তখন দু:খ কর না কিন্তু। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।