আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবিবাহিত তরুণের যাতনা - রণক ইকরাম

মুগ্ধ প্রেমিক তাই ভালোবাসা করে না!

একজন অবিবাহিত তরুণকে নানারকম সমস্যায় পড়তে হয়। আমি নিজে এই শ্রেণীভুক্ত কি না, তাই নিজের গরজেই অবিবাহিত তরুণদের পক্ষ হয়ে ঢোল বাজাচ্ছি। শুরুতেই এক অভাগা অবিবাহিত যুবকের গল্প শোনা যাক। অবিবাহিত তরুণ কক্সবাজার বেড়াতে এসে এক হোটেলে ওঠেছে। তার ঠিক পাশের রুমেই উঠেছে এক নব দম্পতি।

সম্ভবত মধুচন্দ্রিমায় এসেছে। তো রাতে সেই অবিবাহিত তরুণ পাশের রুম থেকে নব দম্পতির কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছিল। স্বামী বলছে, আজ তোমাকে রাতভর দেখবো, আহা! সত্যি কত সুন্দর তুমি! ইশ্বর যেন নিজের হাতে তোমাকে তৈরি করেছেন। তোমার ঠোঁট যেন গোলাপের পাপড়ি, তোমার চোখ যেন সমুদ্রের জলরাশি, তোমার চুল যেন.....! ইস! এখন যদি একজন ভাস্কর পেতাম.... তবে মুর্তি বানিয়ে রাখতাম!’ ঠিক এমন সময় নব দম্পতির ঘরের দরজায় টোকা পড়ল। বিরক্ত স্বামী চিৎকার করল, কে? বাইরে থেকে অবিবাহিত তরুণের গলা শোনা গেল- আমি ভাস্কর, মুর্তি বানাই।

নিঁখুত গ্যারান্টিসহ এইরকম মূর্তি বানানোর গোপন আশা লালন করে না এমন একটা অবিবাহিত তরুণ খুঁজে পাওয়াও দুস্কর। অবিবাহিত তরুণদের বিভিন্ন সমস্যা ছাড়াও পড়তে হয় খপ্পরে। এই টাইপের তরুণরা যদি ফোনে পড়া-শোনার কথাও বলে তবু আশেপাশের সকলে ভাবে হয়ত পীরিতের আলাপ চালাচ্ছে। আবার উপযুক্ত মেয়ে আছে এমন আত্মীয় স্বজন এর বাড়িতে গেলে আত্মীয়রা নিজেদেরকে অনিরাপদ অনিরাপদ ভাবেন। তবে অন্যান্যদের ফিলিংস যাই হোক না কেন, অবিবাহিত তরুণরা কিন্তু সামাজিক, মানসিক ও পারিবারিকভাবে নানান কায়দায় নির্যাতিত হয়।

সবেেক্ষত্রই এদের খাটো করে দেখা হয়। বহুদিন চুটিয়ে প্রেম করার পর প্রেমিকটি প্রেমিকার বাবার সাথে দেখা করল। মুখোমুখি হয়ে অনেক ঢোক গিলে আমতা আমতা করে বলল দেখুন আপনার মেয়ে নিপার সাথে আমি গত দশ বছর যাবত প্রেম করছি। -তা আমি কী করবো? প্রেমিকার বাবা খানিকটা বিরক্ত হয়ে জবাব দিল। তখন প্রেমিক বললো, ‘না মানে, আমি নিপাকে বিয়ে করতে চাই।

’ শুনে প্রেমিকার বাবা বাংলার পয়ত্রিশ নাম্বার হাসি দিয়ে বললো, ‘ওহ’ তাই বলো! আমি ভেবেছিলাম তুমি বুঝি এই দশ বছরের পেনশন চাইতে এসেছো! আরেক তরুণ ঠিক এমনই দশ বছর প্রেম করে প্রেমিকার বাবার কাছে এসে অনেক আমতা আমতা করে বললো, আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে চাই। প্রেমিকার বাবা ভাবলেশহীন ভাবে সরাসরি বললেন, আমার মেয়ের সাথে ফস্টি নস্টি করার এই-ই হলো উপযুক্ত শাস্তি। অন্য কথায় আসি। হালের তরুণরা একটা প্রেমেই সন্তুষ্ট থাকে না। তাদের ধারনা সারাজীবন কেবল একজনকেই ভালবাসার অর্থ হলো, জীবনে কেবল একটি বাতিই জ্বলতে থাকবে।

ওই বাতি ফিউজ তো সব ফিউজ। সেজন্য পকেটে থাকে দশ বারোটা সিম কার্ড আর এর দ্বারা চলতে থাকে পরীক্ষামূলক ভালোবাসা। অবশ্য তবুও ছেলেরা আজ পর্যন্ত নারীর অন্তঃকরণ খুঁজে বের করতে পারেনি। কেননা বাস্তবিক নারীর অন্তঃকরণ এতই ছোট যে কেউ কেউ মনে করে নারীদের কোন অন্তঃকরণই নেই। অবিবাহিত তরুণের যেমন যাতনার শেষ নেই, তেমনি বিয়ে করেও মুক্তি নেই।

কারণ জানেনইতো- পুরুষ মানুষ দুই প্রকারঃ জীবিত এবং বিবাহিত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.