[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/
তিরিশ বছরের জীবনে সত্য বলতে মূলত দুটো বিষয়কেই আমি চরম স্বত:সিদ্ধ বলে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছি। কারন ঐ দুটো বাদে আর সকল বিষয় নিয়ে তর্ক করা অবশ্যম্ভাবি ভাবে সম্ভব।
চরম সেই সত্য দ্বয়ের প্রথম টি হলো - মৃত্যু
আর দ্বিতীয়টি হলো - সেই মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত বেঁচে থাকার প্রচেষ্টা ।
রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস নামক মরণ ব্যাধিতে আক্রান্ত শাশ্বত নামের অসহায় ছাত্রটির সেই চরম সত্যকে পালন করার প্রচেষ্টা কখনও মিথ্যে হতে পারেনা। কোন তর্কই থাকতে পারেনা।
হয়তো তাই ছুটে গিয়েছিলাম বিকেলে বসুন্ধরা সিটি। কারন খোঁজার প্রয়াস খুঁজিনি। শাশ্বত কে চেনার প্রয়োজন কে প্রাধান্য দেয়নি। হয়তো সকালেই যেতাম , যদি কমিউনিকেশন গ্যাপ এর কারনে বসুন্ধরার গেইটে শাশ্বতর সহায়তায় দাঁড়ানোর বিষয়টি অজ্ঞাত না হতো গতকালও, যদি গত এক সপ্তাহ ঝড়ো ভ্রমনের ( ট্রেনিং সংশ্লিষ্ট) কারনে ঘর্মকান্ত দেহটা আজ ঠান্ডা জ্বরভাব আর প্রচন্ড মাথা ব্যাথাটাকে ইশারা না করত।
নাপা গিলে বিকেল পাঁচটায় বসুন্ধরায় পৌঁছেই আমি অভিভূত, এই তো চেনা অচেনা ব্লগার বৃন্দ, কি অকাতরে , দুপায়ে সটান দাঁড়ায়ে সহায়তার আহ্বান করছে একজন অজানা অচেনা, শাশ্বতর জন্য।
যখন আমি ও দাঁড়ায়ে পড়ি সত্যকে উদ্ধারের মিছিলে, এক বন্ধু ফোন করে কোথায় জানতে চায়, বলি , সে হেসে ওঠে। কেনো, প্রশ্নের উত্তরে তার আমি কারন বলিনা। আসলে কারন খুঁজতে যেয়ে কারনকেই কলুষিত করার প্রয়োজন আছে কি?
মন বললে অবশ্যই ছুটে আসবেন, না বললে আসার দরকার নেই। চরম সত্যদ্বয় কে অস্বীকার করলে আমাদের মনে সত্য বলে যে আরি কিছু থাকবেনা।
মাত্র আড়াই ঘন্টা ছিলাম, এই অল্প সময়েই অনেক ব্লগারকে দেখলাম শাশ্বতর জন্য মানুষের মনে সহায়তার ডাক শুনিয়ে যাচ্ছে।
কৌশিকদার ব্লগে প্রায় সবরই নাম উল্লেখ আছে। নাম উল্লেখ করে কাউকে ছোট করার সুযোগ তাই নিলাম না। ব্লগারদের এই অভাবনীয় প্রচেষ্টায় আমি গর্বিত এবং স্বল্প সময় নিজের সেই প্রচষ্টোয় যুক্ত করতে পেরে আরও গর্বিত।
আশা করি সামনের কদিন আরও অনেক ব্লগার এবং অন্যান্য রা এগিয়ে আসবেন। আসতেই হবে।
কারন দ্বিতীয় চরম সত্যখানা পূর্ণ না হলে প্রথম খানা কখনই পূর্ণ হয়না।
শাশ্বতর জন্য ব্যানার
দিনের শেষে সাহায্যর অর্থ গোণা হচ্ছে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।