আওয়াজ উঠতে হবে, আওয়াজ উঠছে
ঘরের ভেতর বন্দি ১০-১২ বছরের ছেলেমেয়ের জীবন আস্তে আস্তে সকল আশার পথ বন্ধ করতে করতে জীবনকে দাসত্বের অসংখ্য সুতো দিয়ে জড়িয়ে ফেলে। যারা বড় বড় মানবতার বুলি আওলান, তারাই বাড়ির ভেতর ১০-১২ বছরের কৃতদাস পোষেন।তাদের বাড়ির ভেতরই ধুকে ধুকে মরে ছোট ছেলে/মেয়ের কচি মুখ গুলো। কালি মাখানো চোখে অতৃপ্ত হাসি। রাস্তার একপাশে দাড়িয়ে থাকা হাতে তারই কর্তার ছেলেমেয়ের স্কুল ব্যাগ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানবতা এসব উদহারন কে হার মানিয়ে মধ্যযুগের বর্বরতার চিত্র তুলে ধরে। ব্যবসায়ী কর্তার ঘরে কাজের ছেলে/মেয়ে থাকলে, তাও মানা যায় যে, ব্যবসায়ীরা অধিকাংশ অশিক্ষিত, অসভ্য কিন্তু শিক্ষিত শিক্ষক, উকিল, ব্যাংকার, এমনকি সমাজসেবি এনজিও কর্মীর ঘরের ভেতর মানবতা বিরোধী এসব কাজ চলে।
আমি বুঝি না, মানুষ কতটা অমানুষ যে, এসব ছেলে/মেয়েদের কোন হলিডে নেই, কোন বিরতী নেই, কোন লেখাপড়া নেই, দিনের পর দিন এসব ছেলেমেয়েদের দিয়ে ঘরমুছা থেকে বার্থরুম পরিস্কার পর্যন্ত করানো হয়। তাদের না দেয়া হয় কোন লেখাপড়া, না কোন অধিকার, কোন হলিডে নেই, কেবলি ভবিষ্যতের পথে নিঃপ্রান আত্ব্যার পথচলা, কেবলি অদেখা পথে সঞ্চয়হীন যাত্রার হতাশ মাথা নোয়ানো।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।