© ২০০৬ - ২০১১ ত্রিভুজ
খবর: "বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে হেডস্কার্ফ পরিধানের অনুমতি দিয়ে আইনসভাতে পাস হওয়া একটি আইন বাতিল করে দিয়েছে তুরস্কের সাংবিধানিক আদালত। বৃহস্পতিবার প্রদত্ত রায়ে আদালতের পক্ষ থেকে আইনটিকে তুরস্কের সেক্যুলার আদর্শের বিরোধী হিসাবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। "
দু:খজনক ঘটনা! কিন্তু এধরনের ব্যপার এখন বিশ্বজুড়ে ঘটছে। আমরা অসংখ্য ঘটনার কথা জানি যেখানে মহিলাদের হেজাব জোরপূর্বক খুলে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। হেজাব খুলতে অপারগতা প্রকাশ করায় স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
নারী অধিকার, মানবধিকার ইত্যাদির নামে চাপানো হচ্ছে এসব বিষয়। কিন্তু একটি বিষয় আমার কাছে পরিষ্কার নয়। সেটা হলো, যদি কাউকে জোর করে স্কার্ফ পড়ানো মানবধিকার লঙ্ঘন হয়ে থাকে তাহলে কেউ স্কার্ফ পড়তে চাইলে বা হেজাব করতে চাইলে তাকে আইন করে বাধা দেয়াটাও কি মানবধিকার লঙ্ঘন নয়?
মানবধিকারের বিষয়টি বাদ দিলেও চিন্তিত হওয়ার মতো আরো অনেক বিষয় রয়েছে। লক্ষ্য করুন বিষয়টি- তুরস্কের (ধর্মনিরপেক্ষ) আদর্শের বিরোধী হওয়াতে মুসলমানরা চাইলেও স্কার্ফ পড়তে পারবে না। মানে সেক্যুলার আদর্শের বিরোধীদের আইন করে দমন করা হচ্ছে।
অথচ ইসলামিক মতাদর্শের সমালোচনা করা হয় যে ইসলামী শাসন কায়েম হলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্ম পালনে বাধা দেয়া হবে যা অন্যায় (যদিও ইসলাম কখনোই তা করবে না.. অতীতেও করেনি)। অথচ সেই তথাকথিত মানবতার ধ্বজ্জ্বাধারীরাই তাদের বিরোধী মতাদর্শের রীতিনীতিকে আইন করে বন্ধ করছে এবং সেই কালো আইনের পক্ষে গীত গাইছে! এটাকেই সম্ভবত বলে ডাবলস্ট্যান্ডার্ড!
ব্যক্তিগত ভাবে কোন মতবাদের লোকের উপরেই আমার কোন বিদ্বেষ নেই। তবে সেক্যুলারদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। আর রাষ্ট্রিয় পর্যায়ে সেক্যুলাররা ক্ষমতায় যাক, এটা কোনদিনও চাই না। কেন চাই না, সেটার ব্যাখ্যা এই ঘটনায় রয়েছে।
একই কারণে রাষ্ট্রিয় পর্যায়ে আইন করে ইসলাম পালনে বাধা দেয়া হয় যে ব্যবস্থায়, সেই ব্যবস্থার বিরুদ্ধেই থাকা উচিত প্রতিটি মুসলমানের অবস্থান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।