আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার প্রদীপ শিখা তোমার লাগি, ভয়ে ভয়ে একা জাগি..........আমার কিছু কথা আছে, ভোরের বেলার তারার কাছে

বাস্তবতা ফেরী করে বেড়াচ্ছে আমার সহজ শর্তের সময়গুলোকে

আমার প্রদীপ শিখা তোমার লাগি ভয়ে ভয়ে একা জাগি মনের কথা কানে কানে মৃদু মৃদু কও, আমার কিছু কথা আছে ভোরের বেলার তারার কাছে সেই কথাটি তোমার কানে চুপি চুপি লও। সাজিয়ে লেখার গুনটা খুব বেশি আমার মধ্যে নেই। মনের ভিতর যেভাবে অনুভব করি, যেভাবে ভাবগুলো গলে গলে প্রকাশিত হতে চায় ঠিক সেভাবেই রেখে দেই এই আমি। এইজন্যই বুঝি যদি শুরু করি সহজ ভাবনা থেকে ভাবনার নানা প্রতিফলন শেষে থামে অন্য অচেনা কোণে। শুরুতেই এই যে এতো যত্ন নিয়ে বললাম- আমার প্রদীয় শিখা তোমার লাগি ভয়ে ভয়ে একা জাগি এই কথাগুলো আমার নয়।

তবে যে প্রদীপ শিখাটি আমি নিজে নিজে একা একা জ্বালিয়ে রেখেছি সেটি অবশ্যই আমার। কবিতার লাইনগুলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। তবে ভয়ে ভয়ে একা জাগার প্রদীপটিকে আমার নিজের মনে হয়। এরকম হয়তো সবারই ভয়ে ভয়ে জাগার একটা প্রদীপ আছেছ। মধ্যরাতে উঠে সেই প্রদীপের আলোর অদ্ভুত উজ্বলতা হয়তো কখনো দেখা যায়।

সেই আলোতেই ভেসে উঠে প্রিয় কোন মুখ। সেই অবাক আলোয় মানুষটি নষ্টালজিক হয়ে উঠে। নাগরিক এই ঢাকায় নিয়তই ইট পাথরের হিসাব গুনতে থাকা ছেলেটি ভাবে তার নষ্টালজিক অতীত নিয়ে। মধ্যরাতের নিশ্চুপ প্রহরে এক এক করে বলে ফেলে মনের সব কথা। কে শুনে তবে এইসব অমলিন কথাগুলো! বারান্দার খানিক দুরে দাড়িয়ে থাকা স্ট্রিট ল্যাম্পটাই কি তবে সেই কথাগুলোর শ্রোতা! এতো কিছুর হিসাব ছেলেটি করে না, কিংবা সে জানে একজীবনে এতো কিছুর হিসাব করতে নেই।

তাই সে বলা আরম্ভ করে । কসমোপলিটান এই নগরীর মধ্যরাতে নিশ্চুপ হয়ে শুনে সেইসব কথা.............. ................আমি নিতান্তই পল্লীগ্রাম থেকে উঠে আসা একজন। খুব সকালে মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গলে বিরক্ত হয়ে বাইরের দিকে তাকাতেই চোখে পড়তো নারকেল গাছটার উপর বসে থাকা একঝাক বর্ণীল পাখি। মনটা খুব করে ভালো হয়ে যেত। অতঃপর পায়ে শিশিরের ছোয়া লাগানোর জন্য প্রতিযোগিতা ! এতো গেল সেই ছোটবেলার গল্প।

তারপর সময়ের স্রোতধারায় জেলাশহরে। অতঃপর ব্যাস্ততায় বেকে যাওয়া জমকালো এই মহানগরী। অজপাড়াগাঁয়ের সেই ছেলেটা এই আমি চারদিকে মিথের এতো এতো আয়োজন দেখে কেবলই অবাক হই। মানিয়ে নেওয়ার তীব্র একটা চেষ্টা প্রতিনিয়তই কুকড়ে দিতে থাকে আমাকে। অতঃপর আমার ভুবনে নতুন কিছুর সংযোজনে পেলাম কিছু ভালো বন্ধু, কিছু ভালো শুভাকাংখী।

আমর হৃদয়ের অর্গলটা হঠাৎ করেই যেন হাট হয়ে খুলে গেল। অনেক অগোছালো করে ফেলছি। আমার জীবনটা আজম্মই অগোছালো। আমার পড়ার টেবিরের অগোছালোতার কারনে মায়ের কত যে বকা হজম করেছি হিসেবেই রাখিনি। আমার এ অগোছালো ভাব পড়ার টেবিলেই সীমাবদ্ধ থাকলে বোধহয় মন্দ হতো না।

তবে তা বেশ ভালোভাবেই বাসা বেধে আছে আমার ব্যাক্তিগত জীবনে। আমার কতা বলাতে অগোছালো ভাব, আমার চিন্তাতে অগোছালো ভাব কিংবা আমার পথ চলাতেও সেই অগোছালো ভাব। তবে এতকিছুর পরও মাঝেমধ্যে মনের ভিতর থেকে গভীরভাবে অনুভব করি আমার বুঝি একটা গোছালো সত্বা আছে। পিছুটান না রেখে নির্দ্বিধায় আমার এ গোছালো সত্বাটিকে বিলিয়ে দিতে পারি আমার প্রিয় মানুষগুলোর প্রতি। এই যে বলি গ্লোবালাইজেশনের যুগে কসমোপলিটান সত্বা আমাদের বেশ ভালোভাবেই ঝেকে ধরেছে, তবুও অনুভব করি ,অস্তিত্বে স্পর্শ পাই এর বাইরেও আমার একটা সত্বা রয়েছে।

যুতসই শব্দ এ মুহুর্তে খূঁজে পাচ্ছি না। যে সত্বা মায়া ও মমতার মিশেল। মাঝেমধ্যে নিজেকে স্বর্ণলতার মতো মনে হয়। স্বর্ণলতা, এই যে এতো দ্রুতি ছড়ায় তা কেবলই অবলম্বনদানকারী গাছটির জন্য। আমার প্রায়ই মনে হয় , আমার জীবনে যদি আমার প্রিয় মানুষগুলো না থাকতো, তাহলে বুঝি আমি আমৃত্যই অপ্রকাশিত থাকতাম।

দ্রুতি ছড়াতে পারতাম না কানাকড়িও।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।