: আমি কতটা কৃতজ্ঞ?
: যতটা আমি।
: আমি কতটা।
: আমি পুরোটা।
: পুরোটার গভীরতা কতটুকু।
: সমুদ্রের মত।
: আর বিস্তৃতি?
: আকাশের মত।
: আকাশ আর সমুদ্র মিলে কি হয়?
: আমুদ্র
আমার লেখার উপাদান সমুদ্র কিংবা আকাশ নিয়ে নয়। কিংবা কোন ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করেও নয়। তবে এক ব্যক্তির ভেতরটা নিয়ে। সে ব্যক্তির মধ্যে রয়েছে অকৃতজ্ঞতা এবং ভন্ডামি।
আসলে কোন ব্যক্তির মধ্যে অকৃতজ্ঞতা কিংবা ভন্ডামি খুব সহজেই ধরা পড়ে না। ধরাটা ঠিক তখনই পরে যখন খোলস উম্মোচন হয়। আসুন খোলস উম্মেচন করা এক ব্যক্তির ভেতরটা দেখি।
ধরুন-১
আমি একটি কম্পানিতে চাকরি করি। বসের সঙ্গে আমার বেশ ভালো সম্পর্ক..! বস অনেক জ্ঞানি।
জ্ঞানি বলছি এই করনে তিনি আমার চেয়ে অন্তত অনেক বেশি জানেন এবং বেশি জ্ঞান রাখেন। আমি তার কাছ থেকে জ্ঞান নেই কিংবা নেয়ার চেষ্টা করি। তার কাছ থেকে একটু একটু জ্ঞান নিয়ে হলেও নিজেকে সমৃদ্ধ করি কিংবা নিজেকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করি।
ধরুন-২
আমি একটা অফিসে চাকরি করি। বসের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
সপ্তাহে একবার আমাকে বসের রুমে যেতে হয় কোন একটা পেপার ঠিক আছে কিনা সেটা দেখাতে। পেপার ঠিক হলে বস সেটায় সাইন করেন। কিছু যোগ করতে হলে তিন পরামর্শ দেন। আমি রুম থেকে বেরিয়ে এসে নিজের পিসিতে ব্যস্ত হয়ে যাই ব্লগের সাইটগুলো নিয়ে। বস সম্পর্কে আমি তেমন কিছুই জানিনা।
জানতে চেস্টাও করি না। তবে বাইরে থেকে অনেক কিছু শুনি........! তবে জানিনা কতটুকু সত্য। খতিয়ে দেখতে চেষ্টাও করি না।
ততপর......১
বসের কাছ থেকে একটু একটু জ্ঞান নিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করার পর আমি আরো ভালো একটা চাকরি পাই। নতুন কম্পানিতে গিয়েই শুরু করি পুরানো বসের সমালোচনার বন্দনা।
তার চৌদ্দ গোষ্ঠি উদ্ধার করি। আমি যা নিয়ে সমালোচনা করি তাই ছিল আমার কাছে এক সময় প্রিয়। আর ওই ব্যক্তিটিই ছিল আমার ধ্যান, জ্ঞান, বিশ্বাস এবং তেল দেয়ার চরকা।
আচ্ছা আপনারা কি আমাকে অকৃতজ্ঞ বলে অভিহিত করবেন?
ততপর......২
ওই অফিস থেকে পদত্যাগ করে আমি একই ক্যাটাগরির একটা অফিসে চাকরি নেই। সেখানে গিয়ে আমি ততপর...১ এর মতই শুরু করি পুরানো বসের সম্পর্কে সমালোচনা।
ব্লগ লেখার অভাসটা যেহেতু ছিল সেহেতু তার সম্পর্কে সমালোচনার চর্চাটাও চালাই বেশ। যে মানুষটা সম্পর্কে আমি ভালো ভাবে জানিনা শুনিনা। সে মানুষটা সম্পর্কে আমি কি করে এরকম কথা বলি সেটা আমার কাছেই প্রশ্ন। তবে এটা আমি করছি একটি মাত্র কারণে আর সেটা হলো- আমি এখন যেখানে চাকরি করি সেই কম্পানিটা ছিল আগের কোম্পানিটার এক সময়কার শত্রু হয়ত এখনও। তাই আমার বসকে তেল মারার জন্যই আমি এক কাজ করছি।
আমি আসলে যেখানে যেমন...
আপনারা কি আমাকে ভন্ড বলবেন? নাকি অন্য কিছু।
যায়যায়দিন এর সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানকে নিয়ে মাহবুব মোর্শেদ কয়েকটা লেখা লিখেছেন। লেখাগুলো তিনি শফিক রেহমানকে না নিজেকে চারিতার্থ করার জন্য লিখেছেন তা আমি জানিনা। তবে এইটুকু বুঝি তিনি এখন না হলেও ভবিশ্যতে নিজেকে চারিতার্থ করার জন্য লিখবেন। তবে তিনি ঠিক তখন লিখবেন যখন তিনি প্রথম আলোর চাকরিটা ছাড়বেন।
আমি নিশ্চিত তখন ব্লগে আমরা মতিউর রহমানের মুখোশগুলো (যদি থেকে থাকে) সম্পর্কেও জানতে পারবো। কারন তখন তিনি নতুন বসকেও খুশি রাখতে চাইবেন। তার পুরোটা গভীরতাই যে............।
: আচ্ছা অকৃতজ্ঞতার সঙ্গা কি?
: আমি জানিনা, তবে এইটুকু বলতে পারি অকৃতজ্ঞর সঙ্গা কিছু মানুষ।
: তাহলে ভন্ডর সঙ্গা কি ?
: আমি তাও জানিনা, তবে এইটুকু বুঝি সেটাও কিছু মানুষ।
: তাহলে বলো তো অকৃতজ্ঞ ও ভন্ড দুই মিলে এক সঙ্গে কি হয়?
: মানুষ।
: না
: তা হলে?
: অন্ড
: কি বলছ এসব?
: হ্যা এটাই ঠিক। তবে তুমি ‘ অন্ড ’ এর সঙ্গে ‘ কোষ ’ যোগ করো না। কারণ ওর অবস্থান সব সময় নিচে কখনই ওপরে ওঠতে পারে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।