একজন কুটনীতিক, সফল ব্যক্তিত্ব সর্বপরি একজন হ্রদয়বান মানুষের প্রতিকৃতি জনাব আনোয়ার চৌধুরী, বিদায়ী বৃটিশ হাইকমিশনার।
এ অভাগা দেশে জন্মগ্রহন করেও যে মানুষটি বৃটিশ রয়েল সার্ভিস এর হয়ে 'ইয়োর হাইনেস' মর্যাদা নিয়ে এদেশেই সাফল্যের সংগে দায়ীত্ব সম্পন্ন করে গেলেন। জনাব আনোয়ার চৌধুরীকে যারা কাছ থেকে দেখেছেন তারা জানেন, একজন মানুষের জন্মভূমির প্রতি ভালবাসার বহি:প্রকাশ কেমন হতে পারে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে বাংলাদেশে আগমনের পর থেকে এই লোকটি যেন বিবেগ তারিত হয়ে এদেশের সকল সমস্যাকে আপন সমস্যা মনে করে সমাধানের চেষ্টায় এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত ছুটে বেড়িয়েছেন। এমনকি সিলেটে জীবনহানী ঘটার মতো ভয়ানক অভিগ্গতাও তাকে তার জন্মভূমির প্রতি কৃতগ্গতা প্রকাশের স্পৃহাকে দমাতে পারেনি।
আমার ধারনা, এক্ষেত্রে তিনি তাঁর বৃটিশ সরকারের অর্পিত দায়িত্বের গন্ডি অতিক্রম করতেও কুন্ঠিথ হননি।
রাজনৈতীক পরিমন্ডলের অনেকে জনাব আনোয়ার চৌধুরীর ১/১১ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বিভিন্ন যোগাযোগ, সমন্বয় ও কর্মকান্ড নিয়ে কথা তুললেও তিনি তাঁর জন্মভূমির প্রতি কৃতগ্গতায় এর মংগল কামনায় অবিচল ছিলেন আশাকরি ভবিষ্যতেও থাকবেন।
এদেশের তরুনদের ইংরেজি শিক্ষার উন্নয়নে বৃটিশ সরকারের ১০ কোটি পাউন্ড সহায়তার আশ্বাস তাঁর অনেক সফল প্রচেষ্টার মাঝে একটি। জানিনা যে মহতি আকাংক্ষায় তিনি এব্যবস্হা করে গেলেন তা সফল হবে কিনা। কারন সকল সফল উদ্যোগই এদেশের চিরাচরিত নিয়মে ইতিহাস হয়ে যায়।
দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সন্দিক্ষনে জনাব আনোয়ার চৌধুরীর মত মানুষের প্রয়োজনীয়তা আমরা অনুভব করি। তাঁর প্রতি কৃতগ্গতায় মাথা ন্যুয়ে আসে যখন তিনি বলেন 'আমি লন্ডন ফিরে গিয়েও বাংলাদেশের কল্যানে অবদান রাখবো' এবং 'যুদ্বপরাধীদের বৃটিশ ভিসা দেয়া হবে না। '
জানিনা, রাষ্ট্রীয় প্রটোকল বা বিধিমালায় সমর্থন করে কিনা তবুও চলুন সবাই তাঁর বিদায় মুহুর্তে একটি নাগরীক সম্বর্ধনার দাবী তুলি। বাকিটুকু না হয় সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের সুবিবেচনার উপর ছেড়ে দিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।