পরিবর্তনের জন্য লেখালেখি
দোস্ত হইসে বিলা । আমার উচিত ছিলো তারে ধইরা কিলা । সে আবার ভাব মারে , চায় চোখে ঠারে ঠারে । ভাবের চোটে খাইবে ধরা , বলসি ; তবুও বেশি বাজে জানেন তো কলসি । তার ধারনা সে বিশিষ্ট জ্ঞানী আইজ্যাক , যদিও কর্মকান্ড দেখে লোকে হাসে খ্যাক খ্যাক ।
যাই হোক , সে ভাব মেরে নেয় সব কাম, আর বলে , দুই মিনিটে করে দেবে সব তামাম । কোন কাজেই সে বিন্দু মাত্র দমে না , জুতা সেলাই থেকে চন্ডিপাঠ- এর কমে না ! জগতের সকল কাজেই সে পারদর্শী । মাধুরী দিক্ষিত হয় তার পড়শী । রুপে গুনে সে যে হয় অনন্য , গান গাইলে হইতে চায় সে বন্য । যদিও তার গান শুনে ভাবে নানী , বলদ এবং শিয়ালের হচ্ছে কুরবানী ।
হাইটেকে তার জ্ঞান এর তুলনা নাই । এপেল , ডেল সকলের তারে চাই । বিল গেটস তারে লাঞ্চে ডেকে পায় না , কারন দোস্ত লাঞ্চে রাইস খায় না । মাঝে মাঝে তারে বুলায় কন্ডলিৎসা , খেতে চায় তার সাথে পিৎসা । তার পরেও সে দয়া করে এই দেশে , রয়ে গেছে আমাদের জন্য হেসে ।
আহারে তার এই ত্যাগের তো নাই তুলনা , সব পাখি তারে বলে আমায় ভুলো না । গানের গুরুরে শুধায়েছিলাম , "ওরে , এই গান গাহিয়াছে কে বল মোরে । " "পরানের বান্ধব রে , বুড়ি হইলাম তোর কারনে" , কান খাড়া করিয়া দোস্ত আমার শোনে । তার পর দেয় জসিমের সেই হাসি , বলে , আরে ধুর এইটা কোন ব্যাপার বাতাসী? এই গান তো আমি শুনেছি অনেক বার , যে জানে না , কান কাটা দরকার তার । কত বার যখন পশ্চিমে উঠেছে সূর্য , চাঁদে জেগেছে প্রখর রোদের ঢেউ , যখন বসন্ত বাতাসে পড়েছে বরফ আর শীতের বিড়াল ডেকেছে মেউ মেউ , আমি তখন হেকেছি "এই গানটা কেউ বাজা , আরে ঐ যে যেটা গেয়েছে হাঁসন রাজা।
আসলে এই সব পল্লী রক আমাকে স্যুট করে , তাই শুনে আমি উদাস হই হুট করে । "
শুনিয়া আমি তব্ধা খাইয়া ভাবি , এইটারে চুবানো জনগণের দাবী। কাঙালিনী সুফিয়া যদি জানতো দোস্তের ডায়লগ, লাউ দিয়া পিটাইয়া ছাড়াইতো সব রোগ । এইটারে ডুবানো উচিত গুলশানের লেকে , আর বাঁশ দিয়ে পিটানো উচিত থেকে থেকে । কিন্তু গুলশানের পানির সে নয় যোগ্য , বরং ওয়াসার লেগুনে ইহা হইবে উপভোগ্য ।
তাই বলি , ওরে শমশের , গুণধর, ওয়াসার লেগুনে গিয়া ডুইবা মর!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।