ওয়াসার পানি সব ধরনের ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন থেকে পানিতে দূর্গন্ধ ছিল( সম্প্রতি এক কর্মকর্তাকে বলেছেন পানি দূর্গন্ধ হলেও সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ!)। তারপর পানির মধ্য দিয়ে আসতে লাগলো কেঁচো এবং এইরকম নানা ধরণের পোকা আসতে লাগলো। মনে করা হলো আমাদের ভূগর্ভস্থ জলাধারের কোন সমস্যা। ভূগর্ভস্থ জলাধার পরিস্কার করা হলো এমনকি তাতে নতুন করে সিমেন্টের আস্তর দেয়া হলো।
ছাদের উপরকার জলাধার পরিস্কার করা হলো। কাজের কাজ কিছুই হলো না অর্থনষ্ট ছাড়া। পোকার যাতায়াত আগের মতোই সাবলীল। বাধ্য হয়ে খাবার এবং রান্নাবান্নার জন্য বোতলজাত(এই পানিকেও কি ভরসা করা যায়) পানি কিনে ব্যবহার করতে শুরু করলাম।
কথা প্রসঙ্গে বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীদের কাছ থেকে জানতে পারি এ সমস্যা প্রায় সবার।
ঢাকা শহরের প্রায় সব জায়গায় নাকি ওয়াসার পানির চেহারা এক। তো এতদিন কলের মুখে ছাঁকনি বেঁধে ধোয়া মোছা, কাপড় কাঁচা এবং অন্যান্য কৃত্যাদির জন্য কোন মতে ব্যবহার করা হতো ওয়াসার পানি। কিন্তু সম্প্রতি এর সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন উপদ্রব। পানির সাথে এত ময়লা আসছে কলের মুখে সকালবেলা ছাঁকনি আটকালে বিকালেই তা পাল্টাতে হচ্ছে। নাহলে ছাকনির ছিদ্র বন্ধ হয়ে গিয়ে আর পানি পড়ছে না কল দিয়ে অথবা ছাঁকনি ফেটে পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ছে কেঁচো আর ময়লা।
তাহলে দৈনন্দিন ব্যবহারের পানিও কি তবে আলাদা করে কিনতে হবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।