প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা এই তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “এই আইন কার্যকর হলে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। ”
এ্ই আইনের আওতায় ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য প্রতিষ্ঠান’ নামে একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে, যার কাজ হবে খাদ্যপণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা এবং নিম্নমাণের পণ্য বিক্রি বন্ধের উদ্যোগ নেয়া।
গত এক জুলাইয়ে খাদ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর দায়ে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে আইনে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল সরকার।
ওই প্রস্তাবে দ্বিতীয়বার অপরাধ করলে দ্বিগুণ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছিল।
জরিমানার পরিমাণ ছিল ৫ থেকে ২০ লাখ টাকা।
ফাইল ছবি নতুন আইনের আওতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ফৌজদারি আদালতে ২২ ধরনের অপরাধের বিচার করা হবে, যার মধ্যে বিভিন্ন মাত্রায় জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে বলে জাননো হয়েছিল।
ফাইল ছবি
এই আইনে বিভিন্ন অপরাধে বিভিন্ন ধরনের সাজা যেমন: খাদ্য নিয়ে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিলে দুই বছর কারাদণ্ড, নিবন্ধন ছাড়া বিপণন করলে দুই বছর, ছোঁয়াচে ব্যাধি আক্রান্ত কারো দিয়ে খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করলে তিন বছর কারাদণ্ড ইত্যাদি।
আইনের আওতায় ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য প্রতিষ্ঠান’ পণ্যের গুণগত মানের নিশ্চয়তা ও নিম্ন মানের পণ্য বাজারজাত বন্ধে কাজ করবে। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, যারা নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করে, তাদের কাজ সমন্বয় করে একটি কাঠামোয় নিয়ে আসবে।
কর্তৃপক্ষকে দিক-নির্দেশনা দিতে একটি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হবে যার প্রধান থাকবেন খাদ্যমন্ত্রী।
নিরাপদ খাদ্যমান নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের একটি কারিগরি কমিটি ও কারিগরি প্যানেল থাকবে বলেও জানিয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।