আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রমের মর্যাদাঃ মে দিবস শ্রমিকের নয় সেনাদের!!

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।

একবিংশ শতাব্দিতে এসে আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মূল্যবোধের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে এবং হচ্ছে । এই মূল্যবোধের পরিবর্তন কতখানি ধনাত্মক ?? কতখানি ঋনাত্মক ? সে বিশ্লেষণ এবং কারণ অনুসন্ধান এ নিশ্চয় তিন সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা যেতে পারে । সে অন্য প্রসংগ ।

বর্তমান অরাজনৈতিক, তথাকথিত দলনিরপেক্ষ সরকারের পৃষ্ঠপোষক সামরিক বাহিনী । সেই সামরিক বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় আমাদের শ্রমের মর্যাদাও পরিবর্তিত হয়েছে । এই সরকারের শ্রমের মর্যদা দেয়ার বিষয়ে প্রথম থেকেই সোচ্চার । তাই সরকার ক্ষমতা নেয়া মাত্ ই আমাদের মহান সেনাপ্রধানের শ্রমের মর্যাদা দিতে তাকে পদোন্নতি দিয়ে জেনারেল এর মর্যাদা দিয়েছে । শুধু তাই নয় তিনি যেহেতু এখনও কর্মসক্ষম তাই তার মেয়াদও একবছর বাড়ানো হয়েছে ।

শ্রমের মর্যাদা বিগত রাজনৈতিক সরকারেরা ব্যর্থ তার শ্রমজীবি সেনাদের কোথাও নিয়োগ দেয়নি তাই সেই ঘাটতি পূরণে তারা সচেষ্ট হয়েছে । দেশের শ্রমজীবি মানুষ যখন অনাহারে ধুকছে তখন সেনা প্রধান চালের দাম কমাতে ব্যর্থ হয়ে জনগণকে আলুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আর সেনা সদস্যদের আলুর বণ্ঠন কমিয়ে দিয়েছে তবে তারা ২.২৫ টাকা দরেই চাল খাচ্ছে । খান বাবারা । আপনাদের দিন খান বেশী কইরা খান । এই মে দিবস তো শ্রমিক গো নয় ।

গত দেড় বছরে দেশের কোন কিছু সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য হয়নি । তাদের সবসময় বাশের উপর রাখা হইছে । চালের দাম ৪০ টাকা, ডালের দাম ১২০ টাকা, তেল এর দাম ১২০ টাক গ্যাসের দাম জ্বালানি তেলের দাম দ্বিগুন আর তার বিপরীতে সেনা সদস্যের বেতন বাড়ে , রেশন বরাদ্দ বাড়ে , হাটু বাহিনীর জ্ঞান বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী হয় , পদোন্নতি হয় সরকারের নানা পদে সামরিক সদস্যেরে নিয়োগ বাড়ে । তাই মে দিবস শ্রমিকের নয় সেনাদের ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.