সবসময় মুরুব্বিদের মুখ শুনে এসেছি এই টাইপের কথা। কিন্তু ব্যপারটা বুঝি নাই। এখন বুঝি। বেড়ে চলেছে বয়স। তৃতীয় বিশ্বের নাগরিক হিসাবে নিম্ন গড় আয়ুর একটা প্যাঁচে পড়ে অবস্থা আরো কঠিন।
জিগরি দোস্তরা মিলে গলির মোড়ে সান্ধ্যকালীন আড্ডার সময় ইদানিং আলোচনায় আরও বেশি বেশি চলে আসছে টপিকটা। বয়স আমাদের কতই বা আর?! সবার বয়সই ২৫-২৭ এর কোঠায়। এই বয়সে অন্যান্য (পশ্চিমা) দেশের যুবক/যুবতীরা যখন তাদের কামনা-বাসনার ওয়াইন দিয়ে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করে প্রাণচাঞ্চল্যে ভরা জীবনের বার-বি-কিউ। আর আমরা প্রতিটি অবসর সন্ধ্যায় দোকানের সামনে পার্ক করা গাড়ীর গায়ে হেলান দিয়ে এনার্জি ড্রিংক এ চুমুক দিতে দিতে উড়িয়ে দিতে থাকি নিজেদের আয়ু, সোনালি বাক্স থেকে আসা শলাকার সাথে পুড়িয়ে। সেই সময়ই মঞ্চের পিছনে চলে অন্য খেলা।
কারো মগজের ভিতর একটু পর পর ঘাই মার ২ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে গাড়িতে সি.এন.জি নেয়ার দুশ্চিন্তার মাগুর মাছ। বিয়ের গিলোটিন প্রেতাত্নার ছায়ার মত ঝুলে আছে কারো মাথার উপরে। বেকারত্নের অদৃশ্য জালে মোড়া কারও প্রতিটি হাসি। দম বন্ধ হয়ে আসা ছোট ১০/৮ ফুট বাক্সে গরমে ঘামতে ঘামতে কাশির দমকে গভীর রাতে যখন ভেঙে যায় ঘুম তখন খুব হিংসে হয় প্রেমিকার মাথা বুকে নিয়ে সাগর পাড়ের বাংলোয় ঘুমিয়ে থাকা যে কোন কাউকে। তখন শ্বাপদের মত একটা উপলব্ধি ঝাপিয়ে পড়ে কামড়ে ধরে কাঁচা ঘুম থেকে জেগে উঠা এলোমেলো সব চিন্তার অস্তিত্বটাকে- স্বাভাবিক মৃত্যুর সৌভাগ্যও যদি জোটে এই কপালে, তাহলে আনুমানিক ৫০ বছরের গড় আয়ুর অর্ধেকটা পথ পেড়িয়ে এসেছি।
এখনো দেখিনি, করিনি, পাইনি অনেক কিছু্ই।
হ্য়তো এ জীবনে আর হবেও না কখনো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।