আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুড়া মানুষগুলা কি আমার মতই ভাবে?

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

ষাট বছরের নীচের কাউরে আমি বুড়া ভাবতে পারি না। কারণ সরকারী-বেসরকারী কর্মক্ষমতার স্বীকৃত শেষ সীমা ওটাই। ভাবছি এরপরের বয়সের মানুষগুলোর কথা। ভাবছিলাম আমার বয়সের অর্ধেকদের ভাবনা। তাদের চোখে আমরা তো বুড়োই।

আমাদের চোখে ষাটোর্ধ্বরা। কিন্তু মানস জগতে নিজের সম্বন্ধে তাদের ভাবনাগুলো কেমন হয়! আমার বাবার বয়স ষাটের উপরে। তার ভাবনার গহীনে আমি ঢুকতে পারি না। আমি আমার মত করে ঢুকে যাই আমার ষাটে। দেখি সেখানে আমি এমনই।

যেমন এই চৌত্রিশে আমি যেমন, যেমন পচিশে, যেমন পনেরতে ছিলাম। বয়সগুলা গায়ের উপরে নতুন নতুন জামা পড়িয়ে যায় - কিন্তু আমি তো সেই আমার মধ্যেই বসবাস করি। চারপাশের জমিনে, মানুষে লাগে পরিবর্তন, গড়নে লাগে ভাঙন, কিন্তু আমি তো তাই থাকি যা নিত্য যাপন করি। তা শুধু বয়ে যাওয়ার নাম, কর্মযজ্ঞের নাম। অজন্মিত ভ্রুণগুলোকে সৌভাগ্যবান মনে হয়।

যাদের জন্ম হয় নি তাদেরকে বরঞ্চ বয়সী মনে হয়। প্রতিটি শিশু যেন বয়সী বৃক্ষ, প্রতিটি বয়সী মানুষ যেন পেছনে ফেরা শিশু, ভাবলে এমনও ভাবা যায়। সময়ের কোন অভিযাত্রায় মানুষের বয়োবৃদ্ধতা দেখি না - ভাবনার গুচ্ছতা সময় নিরপেক্ষ। যা কাল ছিল - যা আগামীতে হবে সব মানুষের অভিজ্ঞতার অভিজ্ঞান, বয়সের সংযুক্তিতে নয়। ষাটোর্ধ্ব মানুষগুলোর ভাবনার নবীনতা আমার অথবা আরো তরুনদের মতই হতে পারে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.